দানি ওলমো ফিরিয়ে দিলেন ডেক্লান রাইসের হেড। সঙ্গে সঙ্গে ফেটে পড়লেন উল্লাসে। সবসময় গোল করা তার দায়িত্ব। খেলেন স্ট্রাইকার হিসেবে।
কিন্তু ফাইনালে দলের প্রয়োজনে গোলরক্ষক উনাই সিমনের পাশে দাঁড়ালেন। সেখানেই গোললাইন থেকে করলেন দারুণ এক সেইভ। রাইসের হেড ফিরিয়ে দিলেন পাল্টা হেডে। পরমুহুর্তে তার উল্লাসই বলে দিলো, এমন একটা কিছু স্পেনের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ।
দানি ওলমোর এমন সেইভের কয়েকমিনিট আগেই স্পেন পেয়ে যায় নিজেদের জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি। 'টাইম ইজ রানিং আউট এন্ড স্পেন ইজ নিয়ারলি দেয়ার!'
৮৬ মিনিটে মিকেল অরায়াথাবালের গোলের পর ঠিক এভাবেই মুহূর্তটাকে বর্ণনা করেছিলেন ধারাভাষ্যকার পিটার ড্রুরি। নিখুঁত ইংলিশ উচ্চারণে বুঝিয়ে দিলেন আরও একটা ইউরো হারের দ্বারপ্রান্তে আছে ইংল্যান্ড।
২০২১ সালে ঘরের মাঠে ইতালির কাছে হারের পর, এবারে জার্মানির বার্লিনে। প্রতিপক্ষ স্পেন!
২-১ গোলের জয়ে এদিন স্পেন জয় করেছে নিজেদের চতুর্থ ইউরো শিরোপা। নিকো উইলিয়ামস আর মিকেল অরায়াথাবালের গোল তাদের করলো প্রেস্টিজিয়াস এই আসরের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন। কোল পালমারের দুর্দান্ত এক গোল এদিন বৃথা গেল পুরোদমে।
টানা ৭ জয় দিয়ে রেকর্ড গড়েই ইউরো জয় করল স্পেন। আর এমন হারে ৫৮ বছর কোনো মেজর শিরোপা ছাড়াই পার করতে হলো ইংল্যান্ডকে।