জুমার দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন- জুমার দিন। এ দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। ‘জুমা’ শব্দটি ‘জমা’ শব্দ থেকে এসেছে। জমা আরবি শব্দ। এর অর্থ একত্র হওয়া বা একত্র করা।
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)
প্রত্যেক সাবালক জ্ঞানসম্পন্ন মুসলমান পুরুষের জন্য মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ পড়া ফরজ। এ নামাজ জামায়াতে আদায় করতে হয়। এ কারণেই মহান আল্লাহ জুমার দিন দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ، ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ অর্থ: হে ঈমানদারগণ! যখন জুমার দিন নামাজের জন্য আহ্বান করা হবে, তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝতে পার। (সুরা জুমা, আয়াত :০৯)
জুমার দিনে হাদিসে বর্ণিত গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো
এক. গোসল করা
দুই. ফজরের ফরজ নামাজে সুরা সাজদা ও সুরা দাহর/ইনসান তিলাওয়াত করা
তিন. উত্তম পোশাক পরা
চার. সুগন্ধি ব্যবহার করা
পাঁচ. আগেভাগে মসজিদে যাওয়া
ছয়. সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করা
সাত. রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সারাদিন যথাসম্ভব বেশি দরুদ পাঠ করা
আট. মসজিদে গিয়ে কমপক্ষে দুই রাকাত সুন্নত আদায় করা
নয়. ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসা
দশ. দুই খুতবার মাঝের সময়ে বেশি বেশি দোয়া করা
এগার. অন্য সময়ে দোয়া করা। কারণ এদিন দোয়া কবুল হয়
বার. মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা। খুতবা চলাকালে কোনো কথা না বলা।