১২ বছর পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যখন মাঠের খেলায় নামার অপেক্ষায়, ঠিক সেই সময়েই শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জরুরি সভা। আর সেখানেই এলো সিদ্ধান্ত। আগেই জানা গিয়েছিল এই সভা থেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন নাজমুল হাসান পাপন। বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণ পরেই এলো সেই খবর। ২০১২ সালে সভাপতি মনোনয়ন এবং ২০১৩ সালের নির্বাচনের পর এই আসনে বসেন তিনি। এখন অপেক্ষা নতুন এক সভাপতির জন্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অবিচ্ছেদ্য এক অংশই হয়ে উঠেছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। ২০১২ সালে নিয়োগের পর থেকে টানা দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উল্লেখযোগ্য অর্জনটাও ছিল তার সময়ে। যদিও নিজের মেয়াদের শেষদিকে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দ্বিতীয়বারের নিয়োগ, ক্রিকেটার এবং বোর্ডের একাধিক ব্যক্তির মধ্যে অন্তঃকলহ পরিবেশ কিছুটা হলেও বিষাক্ত হয়েছিল।
২০১৩ সালের পর ২০১৭ ও ২১ সালে টানা তিনবার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান পাপন এনএসসি কোটায় পরিচালক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে পরিচালকরা তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। গত দুই নির্বাচনে তিনি ঢাকা আবাহনীর কাউন্সিলর হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে একই প্রক্রিয়ায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পাপন।
এদিকে বিসিবির আজকের জরুরি সভায় যোগ দিয়েছেন ফারুক আহমেদ। একইসঙ্গে দেখা গিয়েছে নাজমুল আবেদিন ফাহিমকেও। এ ছাড়া কাজী ইনাম, মাহবুব আনামকেও দেখা গেছে। আম্পায়ার্স কমিটির সদস্য ইফতেখার আহমেদ মিঠুও যোগ দিয়েছেন বৈঠকে। ১১টায় শুরু হওয়া এই বৈঠকে পরিচালকদের মাঝে আরও উপস্থিত আছেন আকরাম খান, সাইফুল আলম স্বপন, ফাহিম সিনহা, খালেদ মাহমুদ সুজন ও সালাউদ্দিন চৌধুরি।