চোখে কাজল, কপালে ছোট্ট টিপ আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক— বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে এটুকু সাজগোজ কমবেশি সকলেই করেন।
লিপস্টিকের প্রতি অবশ্য বাড়তি প্রেম আছে অনেকেরই। লিপস্টিকে ঠোঁট না রাঙালে সাজ সম্পূর্ণ হয় বলে মনেই করেন না। কাজল না পরলেও, তাই লিপস্টিক পরতে ভোলেন না অনেকেই।
লিপস্টিকের রং সাজগোজে বাড়তি চমক আনে। তবে লিপস্টিকে যে ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, ত্বকের জন্য তা একেবারেই ভাল নয়। লিপস্টিকে থাকা মোম ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
তবে এই প্রসাধনীর রং শুধু রঙিন করে তোলে না, ঠোঁটের ক্ষতিও করে। তাই নিয়মিত লিপস্টিক পরতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। সে বারণ না মানলে কোন সমস্যাগুলি হতে পারে?
১) এমন কিছু লিপস্টিক রয়েছে, যা ঠোঁটকে শুষ্ক করে তুলতে পারে। আবার যাঁদের শুষ্ক ত্বকের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা গুরুতর হয়ে যেতে পারে। তাই ঘন ঘন লিপস্টিক ব্যবহার না করাই শ্রেয়। তবে কিছু লিপস্টিকে আবার বিভিন্ন ধরনের তেল, মাখন ব্যবহার করা হয়, সেগুলি ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সে ক্ষেত্রে লিপস্টিক কেনার সময়ে উপকরণের তালিকায় চোখ বুলিয়ে নেওয়া জরুরি।
২) রাসায়নিকে অ্যালার্জি থাকলে লিপস্টিক ব্যবহার নিয়ে সতর্ক হতে হবে। কোনও নতুন সংস্থার প্রসাধনী ব্যবহার করার আগে ‘প্যাচ টেস্ট’ করে নেওয়া জরুরি। অনেক সময়ে যাচাই করে কিনে আনলেও সমস্যা মেটে না। এ ক্ষেত্রে ভাল সংস্থার লিপস্টিক ব্যবহার করা জরুরি।
৩) রোজ রোজ লিপস্টিক পরার আরও একটি ক্ষতিকর দিক হল ঠোঁটে কালচে ছোপ পড়ার ঝুঁকি থাকে। শুধু ধূমপান নয়, লিপস্টিকও ঠোঁট কালো করে দিতে পারে।
৪) ঠোঁটের লিপস্টিক থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে শরীরের অন্যান্য অংশেও। শ্বাসকষ্ট হতে পারে, চোখে সংক্রমণ এবং হাঁচির সমস্যার নেপথ্যেও থাকতে পারে লিপস্টিক।