নিউজ ডেস্ক: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষিখাতে ২৮৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। নতুন বাজেটে কৃষিখাতে (কৃষি, খাদ্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।
৬ জুন, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে ভর্তুকি দেওয়া অব্যাহত রয়েছে এবং তা অদূর ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। সারে ভর্তুকি দেওয়ার পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে যান্ত্রিকীকরণকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
২০১০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া হাওর ও উপকূলীয় এলাকায় উন্নয়ন সহায়তার আওতায় ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের কার্যক্রম চলমান আছে।
সরকারের পদক্ষেপের কারণে ফসলের উৎপাদন বেড়েছে জানিয়ে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ফসলের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদন ছিল ৩২৮ দশমিক ৯৬ লাখ মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা প্রায় ৪২ শতাংশ বেড়ে ৪৬৭ দশমিক ০৩ লাখ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে।
এ সময়ে ভুট্টা উৎপাদন ৭৮০ শতাংশ, আলু উৎপাদন ৯৮ শতাংশ ও সবজি উৎপাদন ৬৭৫ শতাংশ বেড়েছে। কৃষি খাতের এ উৎপাদন-বিপ্লবের ফলে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিশ্বে চাল, সবজি ও পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, চা উৎপাদনে চতুর্থ এবং আলু ও আম উৎপাদনে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে