নিজস্ব প্রতিবেদক: ফারাক্কা বাঁধের সবগুলো গেট খুলে দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের পদ্মার উজানে ভারতের গঙ্গা নদীতে থাকা এ বাঁধটিতে মোট ১০৯টি গেট রয়েছে। গতকাল সোমবার সবগুলো গেটই খুলে দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। আর গেট খুলে দেওয়ার আগ থেকেই বাড়ছে পদ্মার পানি।
গতকাল পানি বৃদ্ধির হার আরও একটি বেশি পেয়েছে বলে দাবি করেছেন পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা। উজানে ফারাক্কা বাধ খুলে দেওয়ার খবরে পদ্মা পাড়ের বাসিন্দাদারে মাঝে এরই মধ্যে দেখা দিয়ছে আতঙ্ক। তবে আগামী তিন দিনের মধ্যে পদ্মায় পানি বিপৎসীমার নিচেই থাকবে বলে জানিয়েছেন পানি বিষেজ্ঞরা।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উত্তরাঞ্চলীয় পানিবিজ্ঞান পরিমাপ বিভাগ জানিয়েছে, রববার দুপুর থেকেই পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাংখা এলাকা দিয়ে ভারতের গঙ্গা নদী পদ্মা নাম ধারণ করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এই পয়েন্টে সোমবার ভোর ৬টা ও সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা পাওয়া গেছে ২০ দশমিক ৪৮ মিটার। বিকাল ৩টায় তা হয় ২০ দশমিক ৫০ মিটার। পাংখায় পদ্মার পানির বিপৎসীমা ২২ দশমিক ০৫ মিটার। সেই হিসেবে এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মা। অন্যদিকে রাজশাহী নগরের বড়কুটি পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানির বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ০৫ মিটার। সেখানে সোমবার ভোর ৬টায় পানির উচ্চতা পাওয়া গেছে ১৬ দশমিক ২৭ মিটার। সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা আরও এক সেন্টিমিটার বেশি পাওয়া যায়। বিকাল ৩টায় পানির উচ্চতা পাওয়া যায় ১৬ দশমিক ৩০ মিটার।
রাজশাহীর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে চারঘাট উপজেলার সারদায় পদ্মার পানির বিপৎসীমা ১৬ দশমিক ৯২ মিটার। সোমবার ভোর ৬টায় এখানে পানির উচ্চতা ১৫ দশমিক ০৫ মিটার এবং সকাল ৯টা ও বিকাল ৩টায় পানির উচ্চতা পাওয়া গেছে ১৫ দশমিক ০৬ মিটার। এখন রাজশাহীর বড়কুঠি পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ১ দশমিক ৭৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলীয় পানিবিজ্ঞান পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা সাধারণত ১০ দিনের জন্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিই।
আগামী ১০ দিনের মধ্যেও পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে না। তারপরেও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না নদীতে পানি বাড়ছে বলে। রোববার দুপুর থেকেই পানি বাড়ছে। আরও ২-৩ দিন পার হলে প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে।