নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র আল মামুন খান ও তার কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এক নারীর মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে এক সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। এসময় পৌরসভার কাউন্সিলর কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (২৮ আগস্ট) বিকাল তিনটায় পুঠিয়া পৌরসভায় মেয়রের অফিস কক্ষে এই সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মেয়র আল মামুন খান। আল মামুন খান বলেন, সাহানা খাতুন নামের এক নারী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার সময় পুঠিয়া পৌরসভায় নাগরিক পরিচয় পত্র নিতে আসে। সাড়ে এগারোটার দিকে চলে যায়। এসময় তিনি এবং সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল আলম পৌরসভায় উপস্থিত ছিলেন না। অফিস সহকারী আতিকুর রহমান ওই নারীকে সহযোগিতা করে। ওই নারী সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কক্ষের ছবি তুলে। পরে তিনি অফিসে এসে সবকিছু শুনে জানতে পারি ওই নারী একজন ডিভোর্সি। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার দিকে ও নারীর বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় অভিযোগ করি। পরেরদিন শুক্রবার জানতে পারি ওই নারী আমি, সহকারী প্রকৌশলী ও আরেকজন কর্মকর্তা রিপন আলীর নামে তাকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে মর্মে থানায় একটি অভিযোগ করেছে। অথচ ওই নারী যখন পৌরসভায় আসে তখন তিনি এবং সহকারী প্রকৌশলী অফিসে উপস্থিত ছিলেন না।
তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, আমি বিএনপি থেকে নির্বাচিত। মেয়র হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে একটি কুচক্রী মহল। সাহানা খাতুনের সাথে আসা তার প্রতিবেশী জেমি খাতুন নামের এক মহিলা সংবাদ সম্মেলনকালে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাহানা খাতুনের অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, ওইদিন তার সাথে কারও কথা ঝামেলা হয়নি পৌরসভায়। সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিকদের ভিডিও ফুটে দেখান পৌর মেয়র। তাতে দেখা যায় সাহানা খাতুন নামের ওই নারী তার কাজ শেষে স্বাভাবিকভাবে পৌরভবন থেকে বেরিয়ে গেছে