ঢাকা , বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
একনেকে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি ব‍্যয়ে ১৮ প্রকল্পের অনুমোদন রাসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকে পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা রাজশাহী মহানগরীতে হেরোইনসহ ১ জন গ্রেফতার রাজশাহীতে কেক কাটার মধ্য দিয়ে যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ডিএনসিসি এলাকাতে দুই লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন ” চিফ হিট অফিসার ”   পুঠিয়া থানায় বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেফতার বৃক্ষরোপণ করতে দেশবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান তীব্র দাবদাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ ক্রিকেটারদের  চিন্তাচেতনায় পরিবর্তনে মনোবিদ নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি আফগানিস্তানের বিপক্ষে  টেস্ট সিরিজের ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

আগামী ১১ মে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশের খেলোয়াররা

 

সোনালী রাজশাহী : দীর্ঘ এক যুগ পর রাজশাহীতে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। আগামী ১১ মে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশের যুবারা।

রাজশাহীর এই ভেন্যুতে দুটি দলের মধ্যে মোট তিনটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সিরিজ দুইটিকে ঘিরে এরইমধ্যে সব প্রস্তুতিও প্রায় শেষের পথে।

আর এই আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ ১২ বছর পর রাজশাহীতে অন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হতে যাচ্ছে। এতে রাজশাহীর ক্রিকেটপ্রেমী ও ক্রীড়ামোদীদের মধ্য উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে।

এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর আয়োজনের প্রতিবন্ধকতা কাটায় ক্রিকেট খেলোয়াড়রদের মধ্যে নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষা দেখা দিয়েছে। ফের উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে রাজশাহীর ঝিমিয়ে পড়া ক্রীড়াঙ্গন। রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় ক্রিকেট ভেন্যু হলেও এতদিন ছিল অবহেলিত।

এখানে বিভিন্ন সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকারা বিভিন্ন দল ও ক্লাবের হয়ে খেলে গেলেও আন্তর্জাতিক কোনো ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হয়নি বহু বছর। ২০০৪ সালে নির্মিত হয় শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার। এই স্টেডিয়ামে ২০০৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের তিনটি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ এবং সর্বশেষ ২০১০ সালের দক্ষিণ এশীয় গেমসের চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে একটি আন-অফিসিয়াল টেস্ট, পাঁচটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলটি সরাসরি ঢাকায় এসে পরে চট্টগ্রামে যাবে। সফরের একমাত্র টেস্ট ও প্রথম দুটি ওয়ানডে ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ ও একমাত্র টি-টোয়েন্টির জন্য ভেন্যু নির্বাচন করা হয়েছে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম।

বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, রাজশাহীতে বহু বছর অন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ হয়নি। অনূর্ধ্ব-১৮, ১৯ দলের খেলাগুলো হলে অন্তত একটা নতুন অধ্যায় শুরু হবে। এটি রাজশাহীর ক্রিকেট অঙ্গনের জন্য খুবই ভালো হবে। রাজশাহী ও রাজশাহীর খেলোয়াড়রা আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রমোট হবে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) রাজশাহী ভেন্যু ম্যানেজার আরেফিন ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামে গিয়ে চারদিন অনুশীলনের সুযোগ পাবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। এরপর ৩০ এপ্রিল চার দিনের ম্যাচে খেলবে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। একই ভেন্যুতে ৬ ও ৮ মে প্রথম দুটি ওয়ানডে হবে। রাজশাহীতে শেষ তিনটি ওয়ানডে হবে ১১, ১৩ ও ১৫ মে। আর একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ১৭ মে অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহীতে 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেকে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি ব‍্যয়ে ১৮ প্রকল্পের অনুমোদন

আগামী ১১ মে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশের খেলোয়াররা

আপডেট সময় ০১:৩৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

 

সোনালী রাজশাহী : দীর্ঘ এক যুগ পর রাজশাহীতে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। আগামী ১১ মে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশের যুবারা।

রাজশাহীর এই ভেন্যুতে দুটি দলের মধ্যে মোট তিনটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সিরিজ দুইটিকে ঘিরে এরইমধ্যে সব প্রস্তুতিও প্রায় শেষের পথে।

আর এই আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ ১২ বছর পর রাজশাহীতে অন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হতে যাচ্ছে। এতে রাজশাহীর ক্রিকেটপ্রেমী ও ক্রীড়ামোদীদের মধ্য উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে।

এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর আয়োজনের প্রতিবন্ধকতা কাটায় ক্রিকেট খেলোয়াড়রদের মধ্যে নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষা দেখা দিয়েছে। ফের উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে রাজশাহীর ঝিমিয়ে পড়া ক্রীড়াঙ্গন। রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় ক্রিকেট ভেন্যু হলেও এতদিন ছিল অবহেলিত।

এখানে বিভিন্ন সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকারা বিভিন্ন দল ও ক্লাবের হয়ে খেলে গেলেও আন্তর্জাতিক কোনো ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হয়নি বহু বছর। ২০০৪ সালে নির্মিত হয় শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার। এই স্টেডিয়ামে ২০০৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের তিনটি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ এবং সর্বশেষ ২০১০ সালের দক্ষিণ এশীয় গেমসের চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে একটি আন-অফিসিয়াল টেস্ট, পাঁচটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলটি সরাসরি ঢাকায় এসে পরে চট্টগ্রামে যাবে। সফরের একমাত্র টেস্ট ও প্রথম দুটি ওয়ানডে ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ ও একমাত্র টি-টোয়েন্টির জন্য ভেন্যু নির্বাচন করা হয়েছে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম।

বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, রাজশাহীতে বহু বছর অন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ হয়নি। অনূর্ধ্ব-১৮, ১৯ দলের খেলাগুলো হলে অন্তত একটা নতুন অধ্যায় শুরু হবে। এটি রাজশাহীর ক্রিকেট অঙ্গনের জন্য খুবই ভালো হবে। রাজশাহী ও রাজশাহীর খেলোয়াড়রা আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রমোট হবে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) রাজশাহী ভেন্যু ম্যানেজার আরেফিন ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামে গিয়ে চারদিন অনুশীলনের সুযোগ পাবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। এরপর ৩০ এপ্রিল চার দিনের ম্যাচে খেলবে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। একই ভেন্যুতে ৬ ও ৮ মে প্রথম দুটি ওয়ানডে হবে। রাজশাহীতে শেষ তিনটি ওয়ানডে হবে ১১, ১৩ ও ১৫ মে। আর একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ১৭ মে অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহীতে