ঢাকা , শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
রাজশাহীর পবায় স্কুল ছাত্রীর শরীরে পেট্রোল নিক্ষেপ বিসিক শিল্প এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে লিটন এর মতিবিনিময় রাজশাহীতে নার্সদের ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন বগুড়ায় নাহিদ হত্যা মামলার ৫ আসামী পুঠিয়ায় গ্রেফতার রাজশাহীতে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু কুস্তি প্রতিযোগিতা ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্ত: ব্যাটালিয়ন ধূমপানের অভ্যাসে দাঁতের ক্ষয় , সুরক্ষায় যা করবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতি, নেতৃবৃন্দের সাথে লিটনের মতবিনিময় সভা তানোর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস

জয়পুরহাটে প্রতিবেশীকে ফাঁসানোর জন্য স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ০৭:৪৫:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

সোনালী রাজশাহী : জয়পুরহাটে প্রতিবেশীকে ফাঁসানোর জন্য স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা সংক্রান্ত মামলার রায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে জয়পুরহাট আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত হলেন ক্ষেতলাল উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের রেজাউল করিম ওরফে ভাদু।

জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৮ এপ্রিল ক্ষেতলাল উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের রেজাউল করিম ওরফে ভাদুর ছেলে রফিকুল (১০) তার নানার বাড়িতে গিয়ে জানায় তার মা অসুস্থ। খবর পেয়ে তার মামা মোজাহার আলী বোনের বাড়িতে এসে দেখেন তার বোন আঙ্গুরি বেগমকে (৪৫)  জবাই করে ও ৫ বছরের ছোট শিশু ছেলে হিটলারকে বুকে ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাড়ি ভুরি বের করে হত্যা করে তার ভগ্নিপতি রেজাউল করিম ওরফে ভাদু পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোজাহার আলী বাদী হয়ে ওই দিনই ক্ষেতলার থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি রেজাউল করিম ওরফে ভাদু, ইব্রাহিম ও লিলি বেগমের নামে ২০০৫ সালের ৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

মামলাতে আরও বলা হয়, আসামি আলাউদ্দিন একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনকে ফাঁসানোর জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। দীর্ঘ শুনানি শেষে জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার দায়ে আলাউদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। সেইসঙ্গে অপর দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাসের আদেশ দেন। ওই মামলায় আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবু তাহের সরদার

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

রাজশাহীর পবায় স্কুল ছাত্রীর শরীরে পেট্রোল নিক্ষেপ

জয়পুরহাটে প্রতিবেশীকে ফাঁসানোর জন্য স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৭:৪৫:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

সোনালী রাজশাহী : জয়পুরহাটে প্রতিবেশীকে ফাঁসানোর জন্য স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা সংক্রান্ত মামলার রায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে জয়পুরহাট আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত হলেন ক্ষেতলাল উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের রেজাউল করিম ওরফে ভাদু।

জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৮ এপ্রিল ক্ষেতলাল উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের রেজাউল করিম ওরফে ভাদুর ছেলে রফিকুল (১০) তার নানার বাড়িতে গিয়ে জানায় তার মা অসুস্থ। খবর পেয়ে তার মামা মোজাহার আলী বোনের বাড়িতে এসে দেখেন তার বোন আঙ্গুরি বেগমকে (৪৫)  জবাই করে ও ৫ বছরের ছোট শিশু ছেলে হিটলারকে বুকে ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাড়ি ভুরি বের করে হত্যা করে তার ভগ্নিপতি রেজাউল করিম ওরফে ভাদু পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোজাহার আলী বাদী হয়ে ওই দিনই ক্ষেতলার থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি রেজাউল করিম ওরফে ভাদু, ইব্রাহিম ও লিলি বেগমের নামে ২০০৫ সালের ৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

মামলাতে আরও বলা হয়, আসামি আলাউদ্দিন একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনকে ফাঁসানোর জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। দীর্ঘ শুনানি শেষে জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার দায়ে আলাউদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। সেইসঙ্গে অপর দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাসের আদেশ দেন। ওই মামলায় আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবু তাহের সরদার