ঢাকা , শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
তিনি  ১৫ বছর ধরে  বড়ই বাগানের চাষ করে আসছে ।

টাঙ্গাইলের সখিপুরে ৮১ বিঘা জায়গাই সিদ্দিকুরের বড়ই বাগানের সাফল্য

  • আরিফ হোসেন
  • আপডেট সময় ০৩:০১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে
  • টাঙ্গাইলের সখিপুর গ্রামের সিদ্দিকুর এর বড়ই বাগানের সাফল্য
 আরিফ হোসেন :  সিদ্দিকুর তার বড়ইকে বাণিজ্যিক চাষে রূপ দিয়েছে  । উচ্চমূল্যের বিদেশি ফল নই, তিনি দেশি ফল টক বড়ই কে বাণিজ্যিকারে রূপ দিয়েছে । পুষ্টিমান ও স্বাদের ভিন্নতাকে পুঁজি করে অর্থকারী কৃষি পণ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে এই বড়ই বাগান ।

তিনি  ১৫ বছর ধরে  বড়ই বাগানের চাষ করে আসছে । বাগানে আছে সারি সারি বড়ই গাছ।
বাগানের চারপাশে শুধু বড়ই গাছের ছাউনি। বাগান দেখলে যে কারো মন ভরে যাবে। গাছে, গাছে ধরে আছে বড়ই।
মাত্র ২০০(দুইশত) বড়ই গাছ দিয়ে শুরু করে সিদ্দিকুর রহমান তার বড়ই বাগান। এখন এই বাগান ৮১ বিঘা জায়গায় ছোট, বড় গাছ মিলে আছে ৪০০০(চার হাজার) বড়ই গাছ।
শুধু উৎপাদনের চিন্তায় বোধ হয়নি সিদ্দিকুর। বিগত কয়েক বছর ধরে এভাবে বদলে দিয়েছে  তার চিন্তা চেতনা বাগান চাষের পরিকল্পনা।
তিনি বিশ্বাস করেন কৃষকেরাই দেশের প্রকৃত সেবক।
বাগান দেখে অভিভূত হবে যেকেও । গাছে গাছে কুলে , কুলে দারুন ফলন, থরে, থরে ধরে  আছে পাকা বড়ই ।  দেখে অভিভূত হওয়ার মতই এই বাগান।
এবার বাগানে উৎপাদন ফলন বেশি। এ বড়ই বেচে কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা তার।
তিনি বলেন এবার  প্রায় এক কোটি বা ৯০ লক্ষ টাকার বড়ই বাজারজাত হবে  বলে  আশা করি।
তবে তার সাফল্যের পেছনে রয়েছে ভিন্ন এক
 গল্প। তিনি বারবার এই বাগান থেকে হোঁচট খেয়ে এসেছে তবুও ছাড়েননি এই বাগান চাষ।
 বিশ্বাস করেন কোন একদিন সফল হবো।   তিনি  এ কারণেই আজ সফলতার দ্বারে পৌঁছেছে বাগান থেকে কোটি টাকার বাণিজ্যের স্বপ্ন দেখছেন।
সিদ্দিকুর রহমান  মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন আমার সৎ সাহস, সৎ কর্ম কোন একদিন আমাকে সাফল্য নিয়ে আসবে। তবুও বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে।কখনো তিনি পিছু হটেননি।  হয়তোবা কোন একদিন সে  বাগান থেকে সাফল্য অর্জন করবে, এ বিশ্বাস থেকে সিদ্দিকুর আজ  গড়ে তুলেছে ৮১ বিঘা জায়গার ওপর চার হাজার গাছের বড়ই বাগান।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

তিনি  ১৫ বছর ধরে  বড়ই বাগানের চাষ করে আসছে ।

টাঙ্গাইলের সখিপুরে ৮১ বিঘা জায়গাই সিদ্দিকুরের বড়ই বাগানের সাফল্য

আপডেট সময় ০৩:০১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • টাঙ্গাইলের সখিপুর গ্রামের সিদ্দিকুর এর বড়ই বাগানের সাফল্য
 আরিফ হোসেন :  সিদ্দিকুর তার বড়ইকে বাণিজ্যিক চাষে রূপ দিয়েছে  । উচ্চমূল্যের বিদেশি ফল নই, তিনি দেশি ফল টক বড়ই কে বাণিজ্যিকারে রূপ দিয়েছে । পুষ্টিমান ও স্বাদের ভিন্নতাকে পুঁজি করে অর্থকারী কৃষি পণ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে এই বড়ই বাগান ।

তিনি  ১৫ বছর ধরে  বড়ই বাগানের চাষ করে আসছে । বাগানে আছে সারি সারি বড়ই গাছ।
বাগানের চারপাশে শুধু বড়ই গাছের ছাউনি। বাগান দেখলে যে কারো মন ভরে যাবে। গাছে, গাছে ধরে আছে বড়ই।
মাত্র ২০০(দুইশত) বড়ই গাছ দিয়ে শুরু করে সিদ্দিকুর রহমান তার বড়ই বাগান। এখন এই বাগান ৮১ বিঘা জায়গায় ছোট, বড় গাছ মিলে আছে ৪০০০(চার হাজার) বড়ই গাছ।
শুধু উৎপাদনের চিন্তায় বোধ হয়নি সিদ্দিকুর। বিগত কয়েক বছর ধরে এভাবে বদলে দিয়েছে  তার চিন্তা চেতনা বাগান চাষের পরিকল্পনা।
তিনি বিশ্বাস করেন কৃষকেরাই দেশের প্রকৃত সেবক।
বাগান দেখে অভিভূত হবে যেকেও । গাছে গাছে কুলে , কুলে দারুন ফলন, থরে, থরে ধরে  আছে পাকা বড়ই ।  দেখে অভিভূত হওয়ার মতই এই বাগান।
এবার বাগানে উৎপাদন ফলন বেশি। এ বড়ই বেচে কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা তার।
তিনি বলেন এবার  প্রায় এক কোটি বা ৯০ লক্ষ টাকার বড়ই বাজারজাত হবে  বলে  আশা করি।
তবে তার সাফল্যের পেছনে রয়েছে ভিন্ন এক
 গল্প। তিনি বারবার এই বাগান থেকে হোঁচট খেয়ে এসেছে তবুও ছাড়েননি এই বাগান চাষ।
 বিশ্বাস করেন কোন একদিন সফল হবো।   তিনি  এ কারণেই আজ সফলতার দ্বারে পৌঁছেছে বাগান থেকে কোটি টাকার বাণিজ্যের স্বপ্ন দেখছেন।
সিদ্দিকুর রহমান  মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন আমার সৎ সাহস, সৎ কর্ম কোন একদিন আমাকে সাফল্য নিয়ে আসবে। তবুও বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে।কখনো তিনি পিছু হটেননি।  হয়তোবা কোন একদিন সে  বাগান থেকে সাফল্য অর্জন করবে, এ বিশ্বাস থেকে সিদ্দিকুর আজ  গড়ে তুলেছে ৮১ বিঘা জায়গার ওপর চার হাজার গাছের বড়ই বাগান।