ঢাকা , শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
রাজশাহীর পবায় স্কুল ছাত্রীর শরীরে পেট্রোল নিক্ষেপ বিসিক শিল্প এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে লিটন এর মতিবিনিময় রাজশাহীতে নার্সদের ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন বগুড়ায় নাহিদ হত্যা মামলার ৫ আসামী পুঠিয়ায় গ্রেফতার রাজশাহীতে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু কুস্তি প্রতিযোগিতা ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্ত: ব্যাটালিয়ন ধূমপানের অভ্যাসে দাঁতের ক্ষয় , সুরক্ষায় যা করবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতি, নেতৃবৃন্দের সাথে লিটনের মতবিনিময় সভা তানোর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস

পঞ্চগড়ে প্রথমবারের মতো বিদেশি ফসল চিয়া সিড চাষ হচ্ছে

সোনালী রাজশাহী কৃষি:  চিয়া বীজ এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘সালভিয়া হিসপানিকা’। মেক্সিকোসহ ইউরোপের দেশগুলোতে ওষুধি ফসল হিসেবে চিয়া চাষ হয়। এ বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরোজেনিক, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, কেম্পফেরল, কোয়েরসেটিন ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, দ্রবনীয় এবং অদ্রবণীয় আঁশ। সুপার ফুড হিসেবে খ্যাত চিয়া বীজ। এতে রয়েছে নানান ঔষধি গুণ।

চিকিৎসকরা বলছেন, চিয়া সিড মানদেহে শক্তি-কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। ওজন কমায়, রক্তে সুগার স্বাভাবিক রাখে, হাড়ের ক্ষয়রোধ করে, মলাশয় পরিষ্কার রাখে। ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। চিয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। প্রদাহজনিত সমস্যাও দূর করে।’এটিতে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। শরীরের শর্করার মাত্রা কমিয়ে হজমে সহায়তা করে। উচ্চমাত্রার ক্যালশিয়াম থাকায় হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যাথা দূর করে। এছাড়াও নিয়মিত এটি খেলে ত্বক, চুল ও নখ সুন্দর থাকে। এটি ফল বা দইয়ের মতো বিভিন্ন ধরনের খাবারের সঙ্গে খেতে হয়। পানিতে ভিজিয়ে রেখেও খাওয়া যায়। শরবতে ব্যবহার করা যায়। লেবুর রসের সঙ্গে বা দুগ্ধজাত পদার্থের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যায়।

এক আউন্স চিয়ায় রয়েছে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১১ গ্রাম ফাইবার, ১৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। এতে দুধের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কলার চেয়ে দ্বিগুণ, পালং শাকের চেয়ে তিনগুণ ও ব্রকলির চেয়ে সাতগুণ পুষ্টি রয়েছে। যা মানবদেহে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাঙ্গানিজের চাহিদা পূরণ করে ও ক্ষতিকারক কোলেস্টরল (এলডিল) হ্রাস করে এবং উপকারি এইচডিএল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ও ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চিয়া বীজ বিদেশি একটি ফসল। পুদিনার একটি প্রজাতি। বেলে দো’আঁশ মাটিতে ভালো জন্মে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চিয়া বীজ বপন করতে হয়। মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ফলন তোলা যায়। এটি চাষে উৎপাদনে বেশি ব্যবহার করতে হয় জৈব সার। প্রতি বিঘা জমিতে বীজ উৎপাদন হয়ে থাকে ৭০-৮০ কেজি। বাজারে প্রতি কেজি ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। উৎপাদন খরচ পড়ে বিঘায় ১০/১২ হাজার টাকা।

তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পঞ্চগড়ে প্রথমবারের মতো বিদেশি ফসল চিয়া সিড চাষ হচ্ছে। এটি খুব পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল। এটিকে সুপার ফুড বলা হয়।

এটির যে বিশেষ গুণ রয়েছে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উপকারিসহ অনেক রোগের কাজ করে চিয়া সিড। এ ফসল চাষে যাতে আরও কৃষক আগ্রহী হন সে বিষয়েও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা ও সহযোগিতা করা হবে 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

রাজশাহীর পবায় স্কুল ছাত্রীর শরীরে পেট্রোল নিক্ষেপ

পঞ্চগড়ে প্রথমবারের মতো বিদেশি ফসল চিয়া সিড চাষ হচ্ছে

আপডেট সময় ১১:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

সোনালী রাজশাহী কৃষি:  চিয়া বীজ এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘সালভিয়া হিসপানিকা’। মেক্সিকোসহ ইউরোপের দেশগুলোতে ওষুধি ফসল হিসেবে চিয়া চাষ হয়। এ বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরোজেনিক, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, কেম্পফেরল, কোয়েরসেটিন ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, দ্রবনীয় এবং অদ্রবণীয় আঁশ। সুপার ফুড হিসেবে খ্যাত চিয়া বীজ। এতে রয়েছে নানান ঔষধি গুণ।

চিকিৎসকরা বলছেন, চিয়া সিড মানদেহে শক্তি-কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। ওজন কমায়, রক্তে সুগার স্বাভাবিক রাখে, হাড়ের ক্ষয়রোধ করে, মলাশয় পরিষ্কার রাখে। ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। চিয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। প্রদাহজনিত সমস্যাও দূর করে।’এটিতে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। শরীরের শর্করার মাত্রা কমিয়ে হজমে সহায়তা করে। উচ্চমাত্রার ক্যালশিয়াম থাকায় হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যাথা দূর করে। এছাড়াও নিয়মিত এটি খেলে ত্বক, চুল ও নখ সুন্দর থাকে। এটি ফল বা দইয়ের মতো বিভিন্ন ধরনের খাবারের সঙ্গে খেতে হয়। পানিতে ভিজিয়ে রেখেও খাওয়া যায়। শরবতে ব্যবহার করা যায়। লেবুর রসের সঙ্গে বা দুগ্ধজাত পদার্থের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যায়।

এক আউন্স চিয়ায় রয়েছে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১১ গ্রাম ফাইবার, ১৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। এতে দুধের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কলার চেয়ে দ্বিগুণ, পালং শাকের চেয়ে তিনগুণ ও ব্রকলির চেয়ে সাতগুণ পুষ্টি রয়েছে। যা মানবদেহে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাঙ্গানিজের চাহিদা পূরণ করে ও ক্ষতিকারক কোলেস্টরল (এলডিল) হ্রাস করে এবং উপকারি এইচডিএল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ও ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চিয়া বীজ বিদেশি একটি ফসল। পুদিনার একটি প্রজাতি। বেলে দো’আঁশ মাটিতে ভালো জন্মে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চিয়া বীজ বপন করতে হয়। মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ফলন তোলা যায়। এটি চাষে উৎপাদনে বেশি ব্যবহার করতে হয় জৈব সার। প্রতি বিঘা জমিতে বীজ উৎপাদন হয়ে থাকে ৭০-৮০ কেজি। বাজারে প্রতি কেজি ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। উৎপাদন খরচ পড়ে বিঘায় ১০/১২ হাজার টাকা।

তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পঞ্চগড়ে প্রথমবারের মতো বিদেশি ফসল চিয়া সিড চাষ হচ্ছে। এটি খুব পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল। এটিকে সুপার ফুড বলা হয়।

এটির যে বিশেষ গুণ রয়েছে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উপকারিসহ অনেক রোগের কাজ করে চিয়া সিড। এ ফসল চাষে যাতে আরও কৃষক আগ্রহী হন সে বিষয়েও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা ও সহযোগিতা করা হবে