ঢাকা , শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
কাতারের নিয়মানুযায়ী, সেখানে নারীরা খোলামেলা পোশাক পরতে পারেন না।

ফুটবল বিশ্বকাপে নারী দর্শক  খোলামেলা পোশাক পরলে জেল হতে পারে।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ০৫:৫৬:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

কাতারের নিয়মানুযায়ী, সেখানে নারীরা খোলামেলা পোশাক পরতে পারেন না। তাদের সবসময় শরীর ঢেকে রাখতে হয়। বিশ্বকাপ দেখতে আসা সমর্থকদেরও সেটা মেনে চলতে হবে। কোনো নারী দর্শক  খোলামেলা পোশাক পরলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। জেলের সাজা পর্যন্ত হতে পারে।

কাতারে পা রাখা বিদেশি সমর্থকদের জানিয়ে দেয়া হচ্ছে, তারা যাতে খোলামেলা পোশাক না পরেন। মূলত কাঁধ ও হাঁটু ঢেকে রাখতে হবে তাদের। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দর্শককে কোনো বিশেষ পোশাক পরতে বলা হচ্ছে না। তারা নিজেদের পছন্দের পোশাকই পরতে পারেন। তবে খোলামেলা পোশাক পরা যাবে না। শুধু স্টেডিয়াম নয়, মিউজিয়াম ও অন্যান্য সরকারি দফতরে গেলেও শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে তাদের।

শুধু স্টেডিয়ামের বাইরে নয়, স্টেডিয়ামের ভেতরেও দর্শকের পোশাকের দিকে নজর রাখা হবে। কাতার বিশ্বকাপের চিফ টেকনোলজি অফিসার নিয়াস আব্দুল রহমান বলেন, ‘স্টেডিয়ামে আমরা অত্যাধুনিক ক্যামেরা বসিয়েছি। সেই ক্যামেরার সাহায্যে বিশেষ একটি আসনের দিকেও ভালো করে লক্ষ্য রাখা যাবে। পুরো বিষয়টা রেকর্ড করা হবে। তাহলে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন পড়লে আমরা রেকর্ডিং দেখতে পারব। দর্শকের পোশাকের দিকে নজর রাখব আমরা।’

ফিফা অবশ্য জানিয়েছে, দর্শক চাইলে যেকোনো পোশাক পরতে পারেন। সেটা তাদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু দর্শকের কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে, আয়োজক দেশের আইনের কথা মাথায় রেখে যাতে তারা পোশাক পরেন।

আরও কিছু নিয়ম মাথায় রাখতে হবে দর্শককে। প্রকাশ্যে কারো সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করার সময় দাঁড়িয়ে করমর্দন করাই ভালো। বিশেষ করে বয়সে বড় কারো সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করার সময় দাঁড়ানো এক রকম বাধ্যতামূলক। কোনো নারীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করার সময় নিজে থেকে করমর্দনের জন্য হাত না বাড়ানোই ভালো।

বরং সেই নারীর প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। তিনি করমর্দনের জন্য আগ্রহ দেখালেই শুধু হাত বাড়ানো যেতে পারে। কারণ, কাতারের অধিকাংশ নারীই অন্য পুরুষের স্পর্শ এড়িয়ে চলেন। সুতরাং আগ বাড়িয়ে হাত না বাড়ানোই শ্রেয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

কাতারের নিয়মানুযায়ী, সেখানে নারীরা খোলামেলা পোশাক পরতে পারেন না।

ফুটবল বিশ্বকাপে নারী দর্শক  খোলামেলা পোশাক পরলে জেল হতে পারে।

আপডেট সময় ০৫:৫৬:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২

কাতারের নিয়মানুযায়ী, সেখানে নারীরা খোলামেলা পোশাক পরতে পারেন না। তাদের সবসময় শরীর ঢেকে রাখতে হয়। বিশ্বকাপ দেখতে আসা সমর্থকদেরও সেটা মেনে চলতে হবে। কোনো নারী দর্শক  খোলামেলা পোশাক পরলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। জেলের সাজা পর্যন্ত হতে পারে।

কাতারে পা রাখা বিদেশি সমর্থকদের জানিয়ে দেয়া হচ্ছে, তারা যাতে খোলামেলা পোশাক না পরেন। মূলত কাঁধ ও হাঁটু ঢেকে রাখতে হবে তাদের। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দর্শককে কোনো বিশেষ পোশাক পরতে বলা হচ্ছে না। তারা নিজেদের পছন্দের পোশাকই পরতে পারেন। তবে খোলামেলা পোশাক পরা যাবে না। শুধু স্টেডিয়াম নয়, মিউজিয়াম ও অন্যান্য সরকারি দফতরে গেলেও শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে তাদের।

শুধু স্টেডিয়ামের বাইরে নয়, স্টেডিয়ামের ভেতরেও দর্শকের পোশাকের দিকে নজর রাখা হবে। কাতার বিশ্বকাপের চিফ টেকনোলজি অফিসার নিয়াস আব্দুল রহমান বলেন, ‘স্টেডিয়ামে আমরা অত্যাধুনিক ক্যামেরা বসিয়েছি। সেই ক্যামেরার সাহায্যে বিশেষ একটি আসনের দিকেও ভালো করে লক্ষ্য রাখা যাবে। পুরো বিষয়টা রেকর্ড করা হবে। তাহলে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন পড়লে আমরা রেকর্ডিং দেখতে পারব। দর্শকের পোশাকের দিকে নজর রাখব আমরা।’

ফিফা অবশ্য জানিয়েছে, দর্শক চাইলে যেকোনো পোশাক পরতে পারেন। সেটা তাদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু দর্শকের কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে, আয়োজক দেশের আইনের কথা মাথায় রেখে যাতে তারা পোশাক পরেন।

আরও কিছু নিয়ম মাথায় রাখতে হবে দর্শককে। প্রকাশ্যে কারো সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করার সময় দাঁড়িয়ে করমর্দন করাই ভালো। বিশেষ করে বয়সে বড় কারো সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করার সময় দাঁড়ানো এক রকম বাধ্যতামূলক। কোনো নারীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করার সময় নিজে থেকে করমর্দনের জন্য হাত না বাড়ানোই ভালো।

বরং সেই নারীর প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। তিনি করমর্দনের জন্য আগ্রহ দেখালেই শুধু হাত বাড়ানো যেতে পারে। কারণ, কাতারের অধিকাংশ নারীই অন্য পুরুষের স্পর্শ এড়িয়ে চলেন। সুতরাং আগ বাড়িয়ে হাত না বাড়ানোই শ্রেয়।