ঢাকা , বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
একনেকে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি ব‍্যয়ে ১৮ প্রকল্পের অনুমোদন রাসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকে পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা রাজশাহী মহানগরীতে হেরোইনসহ ১ জন গ্রেফতার রাজশাহীতে কেক কাটার মধ্য দিয়ে যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ডিএনসিসি এলাকাতে দুই লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন ” চিফ হিট অফিসার ”   পুঠিয়া থানায় বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেফতার বৃক্ষরোপণ করতে দেশবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান তীব্র দাবদাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ ক্রিকেটারদের  চিন্তাচেতনায় পরিবর্তনে মনোবিদ নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি আফগানিস্তানের বিপক্ষে  টেস্ট সিরিজের ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

রাজশাহীতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রিকশা চালানো সেই সেন্টুর পাশে দাঁড়িয়েছেন ডিসি শামীম আহমেদ

সোনালী রাজশাহী : রাজশাহী শহরে  অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রিকশা চালানো সেই সেন্টুর পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে সেন্টু’র সঙ্গে কথা বলেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন,
তাকে রিকশা চালিয়ে আর সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতে হবে না। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অটোরিকশার পরিবর্তে তার বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

এসময় মাইনুরজ্জামান সেন্টু জেলা প্রশাসককে জানান, শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে চিকিৎসক তাকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ( Oxygen Concentrator) মেশিনটি কিনতে বলেছেন। এই মেশিন ছাড়া তার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব না। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই, এই মেশিনটির প্রয়োজন হবে।

এ কথা শুনে ডিসি শামীম আহমেদ বলেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টুকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন দেওয়া হবে। সেন্টুর চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে।

হাসপাতাল থেকে রিলিজ নেওয়ার পরে সেন্টুর অন্যান্য সমস্যাগুলোও শুনে সমাধান করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (গোপনীয় শাখা) মো. শামসুল ইসলাম।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন মাইনুরজ্জামান সেন্টু। দীর্ঘ সাত বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন তিনি।

গেল দেড় মাসে তিনবার রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সবশেষ গত পাঁচ মাস থেকে তার প্রতিদিন তিনটি অক্সিজেনসহ ওষুধ লাগে। তিনি রিকশা চালিয়ে নিজের অক্সিজেন ও সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতেন

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেকে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি ব‍্যয়ে ১৮ প্রকল্পের অনুমোদন

রাজশাহীতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রিকশা চালানো সেই সেন্টুর পাশে দাঁড়িয়েছেন ডিসি শামীম আহমেদ

আপডেট সময় ০১:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

সোনালী রাজশাহী : রাজশাহী শহরে  অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রিকশা চালানো সেই সেন্টুর পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে সেন্টু’র সঙ্গে কথা বলেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন,
তাকে রিকশা চালিয়ে আর সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতে হবে না। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অটোরিকশার পরিবর্তে তার বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

এসময় মাইনুরজ্জামান সেন্টু জেলা প্রশাসককে জানান, শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে চিকিৎসক তাকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ( Oxygen Concentrator) মেশিনটি কিনতে বলেছেন। এই মেশিন ছাড়া তার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব না। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই, এই মেশিনটির প্রয়োজন হবে।

এ কথা শুনে ডিসি শামীম আহমেদ বলেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টুকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন দেওয়া হবে। সেন্টুর চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে।

হাসপাতাল থেকে রিলিজ নেওয়ার পরে সেন্টুর অন্যান্য সমস্যাগুলোও শুনে সমাধান করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (গোপনীয় শাখা) মো. শামসুল ইসলাম।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন মাইনুরজ্জামান সেন্টু। দীর্ঘ সাত বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন তিনি।

গেল দেড় মাসে তিনবার রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সবশেষ গত পাঁচ মাস থেকে তার প্রতিদিন তিনটি অক্সিজেনসহ ওষুধ লাগে। তিনি রিকশা চালিয়ে নিজের অক্সিজেন ও সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতেন