ঢাকা , বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
একনেকে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি ব‍্যয়ে ১৮ প্রকল্পের অনুমোদন রাসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকে পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা রাজশাহী মহানগরীতে হেরোইনসহ ১ জন গ্রেফতার রাজশাহীতে কেক কাটার মধ্য দিয়ে যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ডিএনসিসি এলাকাতে দুই লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন ” চিফ হিট অফিসার ”   পুঠিয়া থানায় বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেফতার বৃক্ষরোপণ করতে দেশবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান তীব্র দাবদাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ ক্রিকেটারদের  চিন্তাচেতনায় পরিবর্তনে মনোবিদ নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি আফগানিস্তানের বিপক্ষে  টেস্ট সিরিজের ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
প্রচণ্ড ঠান্ডায় স্থবির জনজীবন বেশি বিপাকে পড়েছেন হতদরিদ্ররা।

রাজশাহীতে হাড় কাঁপাচ্ছে পৌষের শীত।

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশের মত রাজশাহীতে  হাড় কাঁপাচ্ছে পৌষের শীত।
দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা কমিয়ে এনেছে দৃষ্টিসীমা। ছন্দপতন ঘটিয়েছে জনজীবনের। সূর্যের দেখা না মেলায় দিন ও রাতের ব্যবধান কমে গিয়ে দুদিন ধরে সারা দেশেই অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত।
প্রচণ্ড ঠান্ডায় স্থবির জনজীবন বেশি বিপাকে পড়েছেন হতদরিদ্ররা।

“কুয়াশার চাদরে ঢাকা  রাজশাহী জনপদ”

রাজশাহী: রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ। সারা দিন ধরে পিনপিনে বাতাসের কারণে নগর জীবনে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তীব্র শীতে মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিদেরও জবুথবু অবস্থা।

এদিকে নগরী সহ রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। অন্যদিকে ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। আর ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ।

স্থানীয়রা বলছেন, শীতের সকালে কিংবা সন্ধ্যায় চায়ের দোকানের সামনে মাফলার জড়ানো মুখগুলো দুই হাতে চায়ের কাপ ধরে উষ্ণতা নিচ্ছেন আর চা পান করছেন। শীতের সকালে চায়ের কাপে মুখ না দিয়ে বাড়ি থেকে কাজে বের হচ্ছেন না অনেকে। শীতে এক কাপ চায়ের একটু উষ্ণতা নিতে পাড়ার চায়ের দোকানে এখন শীতের সকালে উপচে পড়া ভিড়।

জেলা শহরের  চা, দোকানে বেচা-বিক্রি সারা বছরই ভালো। তবে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চায়ের বিক্রি-বাট্টাও বেড়েছে দ্বিগুণ।
এক রিকশাচালক বলেন, ‘সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। ঠান্ডার কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে। আগুন পোহাতে পারলে ভালো হতো।’

এ ছাড়া খুলনা, যশোর  মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশা ভেদ করে কাজে যেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষের।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেকে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি ব‍্যয়ে ১৮ প্রকল্পের অনুমোদন

প্রচণ্ড ঠান্ডায় স্থবির জনজীবন বেশি বিপাকে পড়েছেন হতদরিদ্ররা।

রাজশাহীতে হাড় কাঁপাচ্ছে পৌষের শীত।

আপডেট সময় ১১:২৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশের মত রাজশাহীতে  হাড় কাঁপাচ্ছে পৌষের শীত।
দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা কমিয়ে এনেছে দৃষ্টিসীমা। ছন্দপতন ঘটিয়েছে জনজীবনের। সূর্যের দেখা না মেলায় দিন ও রাতের ব্যবধান কমে গিয়ে দুদিন ধরে সারা দেশেই অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত।
প্রচণ্ড ঠান্ডায় স্থবির জনজীবন বেশি বিপাকে পড়েছেন হতদরিদ্ররা।

“কুয়াশার চাদরে ঢাকা  রাজশাহী জনপদ”

রাজশাহী: রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ। সারা দিন ধরে পিনপিনে বাতাসের কারণে নগর জীবনে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তীব্র শীতে মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিদেরও জবুথবু অবস্থা।

এদিকে নগরী সহ রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। অন্যদিকে ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। আর ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ।

স্থানীয়রা বলছেন, শীতের সকালে কিংবা সন্ধ্যায় চায়ের দোকানের সামনে মাফলার জড়ানো মুখগুলো দুই হাতে চায়ের কাপ ধরে উষ্ণতা নিচ্ছেন আর চা পান করছেন। শীতের সকালে চায়ের কাপে মুখ না দিয়ে বাড়ি থেকে কাজে বের হচ্ছেন না অনেকে। শীতে এক কাপ চায়ের একটু উষ্ণতা নিতে পাড়ার চায়ের দোকানে এখন শীতের সকালে উপচে পড়া ভিড়।

জেলা শহরের  চা, দোকানে বেচা-বিক্রি সারা বছরই ভালো। তবে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চায়ের বিক্রি-বাট্টাও বেড়েছে দ্বিগুণ।
এক রিকশাচালক বলেন, ‘সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। ঠান্ডার কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে। আগুন পোহাতে পারলে ভালো হতো।’

এ ছাড়া খুলনা, যশোর  মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশা ভেদ করে কাজে যেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষের।