ঢাকা , বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
একনেকে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি ব‍্যয়ে ১৮ প্রকল্পের অনুমোদন রাসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকে পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা রাজশাহী মহানগরীতে হেরোইনসহ ১ জন গ্রেফতার রাজশাহীতে কেক কাটার মধ্য দিয়ে যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ডিএনসিসি এলাকাতে দুই লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন ” চিফ হিট অফিসার ”   পুঠিয়া থানায় বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেফতার বৃক্ষরোপণ করতে দেশবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান তীব্র দাবদাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ ক্রিকেটারদের  চিন্তাচেতনায় পরিবর্তনে মনোবিদ নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি আফগানিস্তানের বিপক্ষে  টেস্ট সিরিজের ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

রাতে ফল চুরি, পরেরদিন চিঠি দিয়ে ফেরত দিল চুরি করা ফল

সোনালী রাজশাহী : রাতের আধারে কোনো এক সময়  করেছেন ফল চুরি। আর সকালে শুনেছেন বিভিন্ন প্রকারের বকাঝকাসহ নানা কথা। বুঝতে পেরে চিঠির মাধ্যমে মালিকের কাছে ক্ষমা চেয়েছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। একইসঙ্গে চুরির ফল রাতের আঁধারে মালিকের বাড়িতে রেখে যায় তারা।

এমনই এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে।

মালিকের বাড়িতে চুরি করা ফল পৌঁছে দেওয়া এবং চিঠির মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন সব মহলে আলোচনা চলছে।

স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায় , গত কয়েকদিন ধরে বাউতলা গ্রামে পেঁপে, কলা, আমসহ নানা প্রকারের ফল চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শখের বসে বাড়ির আশপাশে লাগানো নানা প্রকারের ফল-ফলাদি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ফল-ফলাদি চুরি হওয়ায় অনেকের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সর্বশেষ ঐ গ্রামের আবু তাহের মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার এবং সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি থেকে কলা ও পেঁপে চুরি হয়।

এ নিয়ে আসমা আক্তার কষ্টে বকাঝকা করেন। বিষয়টি চোরের মনে নাড়া দেয়। তাই দুইদিন আগে রাতের কোনো এক সময় তার বারান্দায় চুরি হওয়া একটি পাকা কলার বড় কাদি রেখে যান। একইসঙ্গে তারা একটি চিঠিও দিয়ে যান।

ঐ চিঠিতে চোরের দল উল্লেখ করে- আমরা আপনার কলা গাছ থেকে কলা চুরি করেছি। তাই আপনারা আমাদেরকে গালাগালি করেছেন। আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই আমাদের পরিমাণ মতো কলা খেয়ে বাকিটা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদেরকে মাফ করে দেন। আর যদি গালাগালি করেন তাহলে বাকি কলা নিয়ে যাব।

এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাড়িতে কোনো গাছের ফল-ফলাদি রাখা যাচ্ছে না। শখ করে বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে কলা, পেঁপেসহ নানা প্রকারের ফলের গাছ লাগানো হয়। অনেক গাছে ফল এসেছে। কিন্তু কে বা কারা রাতের আঁধারে নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, একটি চিঠি পাওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সন্দেহমূলক ছেলেদের হাতের লেখা দেখলে বুঝতে পারা যাবে এ কাজগুলো কারা করছে। সবার মাঝে কৌতূহল জেগেছে- গ্রামে এসব কারা করছে সে বিষয়ে জানার জন্য।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু কালাম বলেন, মৌসুমি ফল মানুষ শখ করে বাড়ির আশপাশে লাগিয়ে থাকেন। এসব চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা দুঃখজনক 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেকে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি ব‍্যয়ে ১৮ প্রকল্পের অনুমোদন

রাতে ফল চুরি, পরেরদিন চিঠি দিয়ে ফেরত দিল চুরি করা ফল

আপডেট সময় ০২:৩৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

সোনালী রাজশাহী : রাতের আধারে কোনো এক সময়  করেছেন ফল চুরি। আর সকালে শুনেছেন বিভিন্ন প্রকারের বকাঝকাসহ নানা কথা। বুঝতে পেরে চিঠির মাধ্যমে মালিকের কাছে ক্ষমা চেয়েছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। একইসঙ্গে চুরির ফল রাতের আঁধারে মালিকের বাড়িতে রেখে যায় তারা।

এমনই এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে।

মালিকের বাড়িতে চুরি করা ফল পৌঁছে দেওয়া এবং চিঠির মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন সব মহলে আলোচনা চলছে।

স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায় , গত কয়েকদিন ধরে বাউতলা গ্রামে পেঁপে, কলা, আমসহ নানা প্রকারের ফল চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শখের বসে বাড়ির আশপাশে লাগানো নানা প্রকারের ফল-ফলাদি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ফল-ফলাদি চুরি হওয়ায় অনেকের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সর্বশেষ ঐ গ্রামের আবু তাহের মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার এবং সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি থেকে কলা ও পেঁপে চুরি হয়।

এ নিয়ে আসমা আক্তার কষ্টে বকাঝকা করেন। বিষয়টি চোরের মনে নাড়া দেয়। তাই দুইদিন আগে রাতের কোনো এক সময় তার বারান্দায় চুরি হওয়া একটি পাকা কলার বড় কাদি রেখে যান। একইসঙ্গে তারা একটি চিঠিও দিয়ে যান।

ঐ চিঠিতে চোরের দল উল্লেখ করে- আমরা আপনার কলা গাছ থেকে কলা চুরি করেছি। তাই আপনারা আমাদেরকে গালাগালি করেছেন। আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই আমাদের পরিমাণ মতো কলা খেয়ে বাকিটা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদেরকে মাফ করে দেন। আর যদি গালাগালি করেন তাহলে বাকি কলা নিয়ে যাব।

এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাড়িতে কোনো গাছের ফল-ফলাদি রাখা যাচ্ছে না। শখ করে বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে কলা, পেঁপেসহ নানা প্রকারের ফলের গাছ লাগানো হয়। অনেক গাছে ফল এসেছে। কিন্তু কে বা কারা রাতের আঁধারে নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, একটি চিঠি পাওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সন্দেহমূলক ছেলেদের হাতের লেখা দেখলে বুঝতে পারা যাবে এ কাজগুলো কারা করছে। সবার মাঝে কৌতূহল জেগেছে- গ্রামে এসব কারা করছে সে বিষয়ে জানার জন্য।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু কালাম বলেন, মৌসুমি ফল মানুষ শখ করে বাড়ির আশপাশে লাগিয়ে থাকেন। এসব চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা দুঃখজনক