নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে অপহরণ পর ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামি মো. ফজলুলকে (১৯) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাতে গুরুদাসপুর উপজেলার দৌলতপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
১৯ মার্চ, মঙ্গলবার সকালে নাটোর র্যাব ক্যাম্প থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতার পলাতক আসামি মো. ফজলুল (১৯) সিংড়া উপজেলার বন্দর এলাকার মো. আব্দুল খালেকের ছেলে।
র্যাব-৫ নাটোর জানায়, আসামি মো. ফজলুলসহ অন্য অভিযুক্ত আসামিরা ভিকটিমকে পথে ঘাটে উত্ত্যক্ত করতো এবং কু-প্রস্তাব দিতো। এক পর্যায়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে ভুক্তভোগী
বান্ধবীদের সঙ্গে গ্রামের গোদাই নদীর ধারে পিকনিক করছিল।
এসময় আসামি মো. ফজলুলসহ অন্য আসামিরা কথা বলার জন্য ভুক্তভোগীকে ডাকলে তিনি সরল বিশ্বাসে তাদের ডাকে সাড়া দেন। এরপর ভুক্তভোগী একটু দূরে আসলে আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ভুক্তভোগীকে মুখ চেপে ধরে অপহরণ করে। পরে নাটোর সদরের দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের পুরাতন বাকশোর গ্রামস্থ জনৈক অনিল চন্দ্র দাসের বাড়ির পিছনে সরিষা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে আসামি মো. ফজলুল অন্য আসামিদের সহযোগিতায় ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে আসামিরা ভুক্তভোগীকে ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায়।
র্যাব আরও জানায়, পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে মামলার তদন্তকারী অফিসার আসামিদের গ্রেফতারের জন্য নাটোর র্যাব-৫ বরাবর অধিযাচনপত্র প্রদান করেন।
এরপর র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ ছায়াতদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামি মো. ফজলুলের অবস্থান শনাক্ত করে সোমবার রাতে গুরুদাসপুর উপজেলার দৌলতপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনার আসামিকে নাটোর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানানো হয়।