1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. বিনোদন
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. সারাদেশ
  8. ক্যাম্পাস
  9. গণমাধ্যম
  10. ভিডিও গ্যালারী
  11. ফটোগ্যালারী
  12. আমাদের পরিবার
ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী সিটিতে এবার কাউন্সিলরদের নির্বাচনে জমবে ভোট

আপলোড সময় : ২১-০৬-২০২৩ ১২:০৮:১৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২১-০৬-২০২৩ ১২:০৮:১৩ পূর্বাহ্ন
রাজশাহী সিটিতে এবার কাউন্সিলরদের নির্বাচনে জমবে ভোট রাত পোহালেই ভোট
সোনালী রাজশাহী:  রাত পোহালেই রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভোট। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে চেনা নগরীতে মেয়র পদে এবারের মতো নিরুত্তাপ ভোট দেখেননি পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা। অবশ্য ওয়ার্ডভিত্তিক একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী থাকায় ভোট জমে উঠতে পারে বলে ধারণা নগরীর বাসিন্দাদের।

রাজশাহী সিটির বিভিন্ন এলাকায় শুধু কাউন্সিলর ও নৌকার প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানার দেখা গেছে। রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী চারজন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। তবে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী নির্বাচন বয়কট করেছেন।

মেয়র নির্বাচনে নেই উত্তাপ "
নগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম বয়স ৫০ ছুঁই ছুঁই। এ জীবনে তিনি বেশ কয়েকটি সিটি নির্বাচন দেখেছেন, কিন্তু মেয়র পদে এমন নিরুত্তাপ নির্বাচন এর আগে কখনো দেখেননি। নগরীর শিরোইল মোড়ে দাঁড়িয়ে তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ‘নির্বাচনে বিএনপি থাকলে ভোট জমতো, কিন্তু আওয়ামী লীগ একা থাকায় তেমন আগ্রহ নেই। আর বর্তমান মেয়র রাজশাহীর অনেক উন্নয়ন করেছেন। ফলে মানুষ ভোট দিলে তাকেই দিবে।’ নগরীর ভদ্রা এলাকার বাসিন্দা নুরুন্নবীর মতে, ‘রাজশাহী আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি  সবার জন্য বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি এলাকা। এখানে সব দলেরই ভালো কর্মী-সমর্থক আছে। 

 রাজশাহীর সিটি নির্বাচন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতিবারই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সিটির প্রথম নির্বাচিত মেয়র বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু। ১৯৯৪ সালে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। টানা দুইবারের জয়ে তিনি ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এদিকে বুধবারের ভোটে আওয়ামী লীগ জিতলে টানা দুইবার এবং সব মিলে তিনবার মেয়রের চেয়ারে বসবেন খায়রুজ্জামান লিটন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে লিটনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী বুলবুল। ২০১৮ সালে খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পান ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। ভোট পড়েছিল ৭৮. ৮৬ শতাংশ। ২০১৩ সালে মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন তিনজন। ১৮ দলীয় জোটের সমর্থনে বিএনপির মহানগর যুবদলের আহবায়ক বুলবুল ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান আওয়ামী লীগের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান লিটনকে। ওইবার ভোট পড়েছিল ৭৬.০৯ শতাংশ। আর ২০০৮ এ বিএনপির প্রার্থী বুলবুলের ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোটের বিপরীতে খায়রুজ্জামান লিটন ৯৮ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ফলে দেখা যাচ্ছে প্রতিবারই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির প্রার্থীর মধ্যেই ভোটযুদ্ধ হয়েছে। রাজশাহী সিটির মোড়ে মোড়ে দেখা গেছে নৌকার প্রার্থী ও কাউন্সিলরদের ব্যানার-পোস্টার ।

কাউন্সিলর নির্বাচনে জমবে ভোট"
এদিকে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়ক, স্থাপনা, বিদ্যুতের খুঁটি, সড়কবাতি- সবখানেই নৌকার পোস্টার-ব্যানারের ছড়াছড়ি। তবে কাউন্সিলরদের পোস্টার-ব্যানার নিজ নিজ এলাকায় দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কাউন্সিলর প্রার্থীর ওপর নির্ভর করতে হবে মেয়রদের ভোট। সময় সংবাদের সঙ্গে আলাপকালে সুব্রত কুমার পাল জানান, মেয়র নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হলেও কাউন্সিলর দলীয় পরিচয় হয় না। ফলে যেকোনো দলের যেকোনো নেতা এখানে নিজ উদ্যোগে দাঁড়াতে পারেন। আর যারা কাউন্সিলর পদে দাঁড়ায়, তাদের স্থানীয় যে ভোট ব্যাংক আছে তার ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়ায়। তার মতে, রাজশাহীতেও একই অবস্থা। এখানে প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন, এমনকি আওয়ামী লীগের একাধিক কাউন্সিলর আছেন। তারা নিজস্ব ভোটার কেন্দ্রে নিয়ে আসতে চেষ্টা করবেন। আর যারা কাউন্সিলরকে ভোট দিতে আসবেন তারা মেয়রকেও ভোট দেবেন। এদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাইলেও শেষ দিকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। কেন্দ্রের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকছেন বলেই জানান তিনি। জাতীয় পার্টির এ প্রার্থী বলেন, ‘আমরা প্রচারণা চালিয়েছি। জনগণের সাড়াও পেয়েছি। নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হবে। আশা করছি ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসবেন।’ ভোট হবে ইভিএমে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে এবার সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হবে। সিটি নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নির্বাচনে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আনসার এবং আর্মড পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।’ এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রতি তিনটি ওয়ার্ডের জন্য একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।

বার ২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১১ জন। একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৬ জন প্রার্থী। ১৫৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। রাজশাহী নগরীতে ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এ ছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ছয়জন। একজন হিজড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী। তথ্য সময় নিউজ

নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ