1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. বিনোদন
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. সারাদেশ
  8. ক্যাম্পাস
  9. গণমাধ্যম
  10. ভিডিও গ্যালারী
  11. ফটোগ্যালারী
  12. আমাদের পরিবার
ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদের জামা-কাপড় কিনেছি, কিন্তু এবার ঈদে বাবা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় : ২৯-০৬-২০২৩ ০২:৪১:০২ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২৯-০৬-২০২৩ ০২:৪১:০২ পূর্বাহ্ন
ঈদের জামা-কাপড় কিনেছি,  কিন্তু  এবার ঈদে বাবা নেই
নিউজ ডেস্ক: যেবাড়িতে ঈদের সময় থাকতো উৎসবের আমেজ। সেই বাড়ি এখন শুনশান, নীরব। একমাত্র অভিভাবকের শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারে নি পরিবারটি। তাই এবার ঈদে কোনো আনন্দ নেই জামালপুরের বকশিগঞ্জে নিহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের পরিবারে। গত ১৪ জুন রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন রব্বানী। এর একদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

 বাবাকে ছাড়া প্রথম ঈদ কোনো ভাবেই   মানতে পারছে না রব্বানীর সন্তানেরা ।

শেষ ঈদের স্মৃতিগুলো বারবার কড়া নাড়ছে তাদের মনের দরজায়। সাংবাদিক রব্বানীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন রিফাত বলেন, ‘গতবার ঈদে বাবার সাথে গরু কিনেছি, কোরবানি করেছি। ঈদের জামা-কাপড় কিনেছি। কিন্তু এবার ঈদে বাবা নেই। আমরা কিছুই করতে পারছি না। কোনো নতুন জামা-কাপড় কিছুই কিনতে পারছি না। আমরা অসহায়। আমাদের কোনো ঈদ নেই।’ রব্বানীর মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত বলেন, ‘ঈদের আগের দিনও বাবা সাথে করে মার্কেটে নিয়ে যাইতো। এবার আমাদের বলার মতো কেউ নেই। আমার বাবাই ছিলো পরিবারের মাথার উপরের বটগাছ। আমার বাবাকে মেরে ফেলার পরে আমরা এতোটা অসহায় হয়ে গেছি যে আমাদের মাথার উপরে কেউ নাই।’ রব্বানীর মৃত্যুর পর গত ১৭ জুন বকশিগঞ্জ থানায় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ২২ জন এবং অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী মনিরা বেগম। এ ঘটনার মুল অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান বাবুসহ ১৪ আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুর ছেলে রিফাতসহ মামলার বেশিরভাগ আসামী এখনও গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ সাংবাদিকের সজনরা। রব্বানীর মা আলেয়া বেগম বলেন, ‘এখন আমার আকুল আবেদন যাতে দ্রুত বাকি আসামীরা গ্রেফতার হয় এবং দ্রুত যেন আমার ছেলে হত্যার বিচার পাই।

বাবার ভালোবসা
বাবা-মা’র কাছে সন্তান হচ্ছে একটি জীবন্ত খেলনা। সেই খেলনার সবকিছুই অত্যান্ত আনন্দের। খেলনা যখন হাসে, বাবা-মা ও হাসে। আবার যখন কাঁদে বাবা-মার মুখ ও চিন্তিত হয়ে যায়। – হুমায়ূন আহমেদ পৃথিবীতে সবাই তোমাকে ভালোবাসবে, সেই ভালোবাসায় কোনো না কোনো প্রয়োজন লুকিয়ে থাকবে। কিন্তু “বাবা” এমন ১জন ব্যক্তি যে কোনো প্রয়োজন ছাড়াই তোমাকে ভালোবাসবে চিরজীবন । পৃথিবীতে একজন ব্যক্তি আছেন যিনি তার সন্তানকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবেসে সব কিছু উজাড় করে দিতে পারেন তিনি হলেন আমাদের বাবা। একটি সন্তানের ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য যা কিছু প্রয়োজন হয়েছে তার সবকিছু তৈরি করে দিয়েছিলেন তার বাবা। সেই বাবাকে ভালোবাসার জন্য কোন টাকা পয়সা লাগে না শুধু একটু আন্তরিকতা লাগে।  

নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ