1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. বিনোদন
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. সারাদেশ
  8. ক্যাম্পাস
  9. গণমাধ্যম
  10. ভিডিও গ্যালারী
  11. ফটোগ্যালারী
  12. আমাদের পরিবার
ঢাকা , সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিউজিম কীটনাশকে স্বপ্নভঙ্গ: ১৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় : ১৪-১১-২০২৪ ১০:৪৬:০৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৪-১১-২০২৪ ১০:৪৬:০৭ অপরাহ্ন
নিউজিম কীটনাশকে স্বপ্নভঙ্গ: ১৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন কৃষকরা ছবি: দৈনিক সোনালী রাজশাহী

দুর্গাপুরে নিউজিম নামক ছত্রাকনাশকে ফুলকপি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনায় কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপরে উপজেলা কনফারেন্স রুমে তাদের ১৪ লাখ ২১ হাজার ৭০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন কৃষকদের হাতে এ ক্ষতিপূরণ তুলে দেন। 
 
জানা গেছে, দুর্গাপুরের গগনবাড়িয়া চুনিয়াপাড়া এলাকায় ১৫ বিঘা জমিতে ফুলকপির আবাদ করেন কৃষকরা। এতে ব্লেসিং এগ্রোভেট কোম্পানির ছত্রাকনাশক কীটনাশক নিউজিম (কার্বেনডাজিম) প্রয়োগের ফলে সব ফুলকপি পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। এরপর তারা দিশেহারা হয়ে পড়েন। এলাকা থেকে লাপাত্তা হন কোম্পানির কর্মকর্তারা। এরপর ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে গত ৬ নভেম্বর দুপুরে সেই জমিতে মানবন্ধন করেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। এসময় জমিতেই জ্ঞান হারান কয়েকজন কৃষক। বিষয়টি নিয়ে দেশের বেশিরভাগ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষি বিভাগ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
 
কৃষকরা বলেন, ঋণ নিয়ে সবজি আবাদ শুরু করেছিলাম। প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। পরে আমরা লিখিত অভিযোগ দিলে কর্মকর্তারা মাঠে পরিদর্শনে আসেন। এরপর আমাদের নিয়ে আলোচনায় বসা হয়। সবশেষ বুধবার (১৩ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোম্পানির লোকদের নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) তারা ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় তারা বেশ খুশি।
 
কৃষক শফিকুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা কিস্তিতে টাকা লোন নিয়ে ফুলকপি চাষ করেছিলাম। সব নষ্ট হওয়ায় আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। বিঘাপ্রতি এক লাখ টাকা করে আমরা ক্ষতিপূরণ বা খরচ পেয়ে প্রাণে রক্ষা পেলাম।
 
শফিকুল বলেন, আজ আমি আমি ৩ লাখ টাকা ক্যাশ হাতে পেয়েছি। বড় লোকসান থেকে আমরা বাঁচলাম। ইউএনও ম্যাডাম আমাদের জমি পরিদর্শনেও এসেছিলেন। তার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। হযরত আলী নামের কৃষক বলেন, বাড়িত থাকতে পারছিলাম না, কিস্তি আলা এসে তাড়াচ্ছিল। আর কোনো আবাদ করতেও পারতাম না। টাকাটা পেয়ে অনেক উপকার হলো। সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
 
এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিন ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা যদি সাপোর্ট না দিই, কৃষকরা শেষ হয়ে যেত। সেজন্য তারা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তাই তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষকরা আাবেদন করেছিল। কোম্পানির কাছ থেকে বিঘাপ্রতি এক লাখ টাকা থরে ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিয়েছি।
 
এদিকে, এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ব্লেসিং এগ্রোভেট নামের অভিযুক্ত কোম্পানিটি। প্রতিষ্ঠানটির হেড অফ বিজনেস আল আমিন বলেন, সকলের কাছেই আমরা আন্তরিক দুঃখিত এই পণ্যটি অতীতে ব্যবহার করেছেন ভাল ফলাফল পেয়েছেন। এটি একটি দুর্ঘটনা কোন কারণে হয়তো এমনটি ঘটেছে। এই লটের প্রোডাক্টগুলো আমরা স্টক করে ফেলেছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোন সমস্যা পেলে বাজারজাতও করবো না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ