স্পেনের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার লুইস সুয়ারেজ মারা গেছেন
আপলোড সময় :
১১-০৭-২০২৩ ১২:৪৬:২৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
১১-০৭-২০২৩ ১২:৫৭:৫১ পূর্বাহ্ন
লুইস সুয়ারেজ
নিউজ ডেস্ক :স্পেনেরসর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ছিলেন লুইস সুয়ারেজ মিরামন্টেজ। তিনি দেশটির প্রথম ফুটবলার হিসেবে মর্যাদার ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন । তবে বয়সের ভারে আজ না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন সাবেক এই স্প্যানিশ কিংবদন্তি।
দৈনিক সোনালী রাজশাহী এর সর্বশেষ খবর পেতে Google অনূসরণ করুন http:///sonalirajshahi.com মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। ষাটের দশকে স্পেনের ক্লাবের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। এখানে থাকাকালীন ১৯৬০ সালে হাঙ্গেরিয়ান কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড ফেরেঙ্ক পুসকাসকে পেছনে ফেলে ব্যালন ডি’অর জেতেন এই কিংবদন্তি। ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন তিনি। ইন্টারের হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৭টি শিরোপা জেতেন এই কিংবদন্তি। ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানের পক্ষ থেকে লুইস সুয়ারেজের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইন্টারমিলানে যোগ দেওয়ার আগে বার্সেলোনার হয়ে খেলেছিলেন লুইস সুয়ারেজ। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে ৮ মৌসুমের ক্যারিয়ারে সুয়ারেজের। বার্সার হয়ে ১৭৬ টি ম্যাচ খেলে ৮০টি গোল করেছেন তিনি। কাতালান জায়ান্টদের হয়ে দুবার লা লিগা এবং দুবার স্প্যানিশ কাপ শিরোপা জিতেছেন অ্যাটাকিং এই মিডফিল্ডার। ব্যালন ডি’অর জেতার পর ১৯৬১ সালে বার্সার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে পাড়ি জমান ইতালিতে। সেখানে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ৩২৮ ম্যাচ খেলে করেন ৫৫টি গোল। ইন্টারের হয়ে ৩ বার লিগ টাইটেল এবং ২ বার করে আন্তঃমহাদেশীয় কাপ শিরোপা ও ইউরোপিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নের শিরোপা জিতেছেন তিনি।
সুয়ারেজ তার ক্যারিয়ারের শেষের দিকে ইন্টার ছেড়ে ইতালির আরেক ক্লাব সাম্পদোরিয়াতে যোগ দেন। এই ক্লাবটি থেকেই ১৯৭৩ সালে অবসরে যান তিনি। চমৎকার ফুটবল শৈলীর জন্য বেশ পরিচিতি ছিল সুয়ারেজের। তাই ফুটবল জগতে 'দ্য আর্কিটেক্ট' নামে পরিচিত ছিলেন এই কিংবদন্তি। স্পেনের হয়ে ৩২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৪টি গোল করেছেন সুয়ারেজ। ১৯৬৪ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেনকে শিরোপা জেতাতে স্মরণীয় অবদান রাখেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসরের পর ফুটবলের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। বুট জোড়া তুলে রাখার পর নিজের ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে তিন দফা কোচিং করিয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। এরপর স্পেন জাতীয় দলের ডাগআউট সামলেছেন ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত