বগুড়াস্হ জয়পুরহাট কল্যাণ সমিতি তার গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যবধি একটি সামাজিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে পরিচিত। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত অত্র অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে বিশেষ করে জয়পুরহাটের আপামর জনসাধারণের জন্য জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড যেমন- শিক্ষার উন্নয়নে গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, সংস্কৃতির সুস্থ্যচর্চা ও তা বিকাশের জন্য বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা, অত্র অঞ্চলের গরিব ও দুঃস্থ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণ, গুণী ব্যক্তিদের সংবর্ধনা প্রদান সহ বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমুখী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। উল্লেখ্য যে, জয়পুরহাটের কৃতি সন্তান ও দেশ বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী খুরশিদ আলমকে একুশে পদক পাওয়ায় অত্র সংগঠনটি এই গুণী শিল্পীকেও ইতোমধ্যে সংবর্ধনা প্রদান করেছে।
গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে শিক্ষাবার্তা ডট কম-অনলাইন নিউজ পোর্টালে 'রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ডিডি পদে পদায়ন পেলেন আ'লীগের হুইপ স্বপনের 'ডান হাত'! শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রতি বগুড়াস্হ জয়পুরহাট কল্যাণ সমিতির দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে জনাব মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, মার্কেটিং বিভাগ, সরকারি আজিজুল হক কলেজ বগুড়া কে আ'লীগের সাবেক সাংসদ হুইপ স্বপনের 'ডান হাত' বলে প্রচার করা হয়েছে যা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
উল্লেখ্য যে, ২০২২ সালের মে মাসে বগুড়াস্হ জয়পুরহাট কল্যাণ সমিতি ও বগুড়ায় অবস্থিত জয়পুরহাটের শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক সংগঠন জয়পুরহাট স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বগুড়া (জেসাব) এর যৌথ উদ্যোগে 'জয়পুরহাট এর উন্নয়ন ভাবনা সংকট ও সম্ভাবনা বিষয়ক এক বিশেষ মতবিনিময় সভা'র আয়োজন করা হয়।
উক্ত মতবিনিময় সভায় বগুড়ায় জয়পুরহাটের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ যেমন ছাত্র-শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, খেটে খাওয়া মানুষ, রাজনীতিবিদ সুশীল সমাজের সদস্যসহ যারা জয়পুরহাটের উন্নয়ন নিয়ে ভাবেন এমন কয়েকশত আপামর জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। যেখানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, গরিব ও অসহায়দের আর্থিক চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে তৎকালীন সাবেক সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সে সময় বগুড়ায় অবস্থান করায় তিনিও উপস্থিত ছিলেন।
এটি একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং সামাজিক অনুষ্ঠান ছিল। এমন একটি অরাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানের ছবি সংগ্রহ করত তা সংবাদ মাধ্যমে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বলে প্রচার করে জনাব মোঃ ইব্রাহিম হোসেন এর মত একজন পরোপকারী, শিক্ষার্থীবান্ধব ও গুণী শিক্ষককে আওয়ামী ভাবধারার শিক্ষক হিসাবে প্রচার করা এবং সেই সাথে সাবেক অধ্যক্ষের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে প্রচার করে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। যা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জনাব মোঃ ইব্রাহিম হোসেনের পারিবারিক জীবন, শিক্ষা জীবন, এমনকি চাকরি জীবনে কোথাও কোনদিন রাজনৈতিক কোন দর্শন প্রতিফলিত হয়নি।
প্রকাশ থাকে যে, জনাব মোঃ ইব্রাহিম হোসেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের মার্কেটিং বিভাগে যোগদান করে অধ্যবধি যথেষ্ট সুনাম ও দক্ষতার সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পেশাদারিত্বের সাথে পালন করে আসছেন। কোনদিন তার বিরুদ্ধে কোথাও কোন অনিয়মের অভিযোগ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি। সরকারি আজিজুল হক কলেজ পরিবার এবং পুরো বগুড়া তথা এই অঞ্চলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের কাছে জনাব মোঃ ইব্রাহিম হোসেন এক আস্থার প্রতীক ও গুণী শিক্ষক হিসেবে অতি অল্প সময়ে দেশ ও বিদেশে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছেন।
জনাব মোঃ ইব্রাহিম হোসেন বিসিএস এ যোগদানের পূর্বে ফিনান্সিয়াল অর্গানাইজেশন, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান সহ কমপক্ষে দশটি প্রতিষ্ঠানে যথেষ্ট সুনাম ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহাম থেকে এম এ ইন এডুকেশন ডিগ্রী অর্জন করেন। নায়েমের ১৫০ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে তিনি সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
জনাব মোঃ ইব্রাহিম হোসেনের সহধর্মিনী জনাব সাবিনা ইয়াসমিন বর্তমানে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত আছেন। আমাদের জানা মতে তিনিও যথাযথ সুনাম ও পেশাদারিত্বের সাথে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। পেশাগত কারণে স্ত্রী ও ছোট দুটি সন্তান রাজশাহীতে অবস্থান করায় জনাব মোঃ ইব্রাহিম হোসেন প্রায় দেড় বছর ধরে সেখানে পদায়নের জন্য চেষ্টা করেছেন। সরকারি চাকরির নীতিমালায় স্বামী স্ত্রী দুজন সরকারি চাকরিজীবী হলে তাদের যথাসম্ভব কাছাকাছি স্থানে রাখার একটি বিধান রয়েছে বলে আমরা জেনেছি। পেশাগত অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা পূর্বক সর্বোপরি মানবিক দিক বিবেচনা করে অবশেষে ১৯/০১/২৫ তারিখের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তিনি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে উপপরিচালক ( হিসাব ও নিরীক্ষা) পদে পদায়ন পান। তার পদায়নের এমন আদেশে অত্র অঞ্চলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আপামর জনসাধারণ অতীব খুশি হয়ে বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
এমতাবস্থায় জনাব মোঃ ইব্রাহিম হোসেনের মত এমন একজন গুণী মানুষকে নিয়ে তার পারিবারিক তথ্য যাচাই না করে উপর্যপুরি কোনরকম স্টাডি ছাড়া এরকম ভিত্তিহীন, বানোয়াট, ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রচার করায় রাজশাহী, জয়পুরহাট ও বগুড়া তথা অত্র অঞ্চলের ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমন সংবাদ প্রচারের আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। সেই সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ রাখছি।
বিনীত
মোঃ জিয়াউল ইসলাম
সাধারণ সম্পাদক
বগুড়াস্হ জয়পুরহাট কল্যাণ সমিতি
মোঃ ফিরোজ মিয়া
সভাপতি
বগুড়াস্থ জয়পুরহাট কল্যাণ সমিতি