রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অনেককে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে।
২১ জুলাই, সোমবার বিকেল সোয়া চারটা পর্যন্ত দগ্ধ ৩৫ জনকে সেখানে আনা হয়েছে। অধিকাংশেরই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। অন্তত ১০ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
সোমবার বেলা সোয়া একটার দিকে স্কুল ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর বেলা দেড়টার পর থেকে দগ্ধ ব্যক্তিদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আসতে থাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে।
বার্ন ইনস্টিটিউটে আসা দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। তাদের অধিকাংশ চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। হাসপাতালে নিয়ে আসার পরপরই তাঁদের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। জরুরি বিভাগে আনার সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা চিকিৎসাসেবা শুরু করেন। পরে সেখান থেকে তাঁদের হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দগ্ধ অধিকাংশের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে।
বিকেল সোয়া চারটার দিকে দগ্ধ একজনকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। তাঁর পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুড়ে গেছে। তাঁর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক মো. মারুফুল ইসলাম বলেছেন, চিকিৎসাধীন দগ্ধদের অন্তত ১০ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। দগ্ধদের অধিকাংশেরই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।