1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. বিনোদন
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. সারাদেশ
  8. ক্যাম্পাস
  9. গণমাধ্যম
  10. ভিডিও গ্যালারী
  11. ফটোগ্যালারী
  12. আমাদের পরিবার
ঢাকা , শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ , ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণ-অভ্যুত্থানের পরেও অবহেলিত ত্যাগী কর্মীরা: এক জামায়াত নেতার ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল

আপলোড সময় : ২৬-১০-২০২৫ ০৮:৫৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ৩০-১০-২০২৫ ০৯:২৫:০০ পূর্বাহ্ন
গণ-অভ্যুত্থানের পরেও অবহেলিত ত্যাগী কর্মীরা: এক জামায়াত নেতার ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল ছবি: সংগৃহীত
২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৪ঠা আগস্ট পর্যন্ত দীর্ঘ এক দশক ধরে পুলিশের তাড়া খেয়ে পালিয়ে থাকা এবং একাধিক মামলার শিকার হওয়া সত্ত্বেও সংগঠনের কাছ থেকে যথাযথ সম্মান ও সমর্থন না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর এক নেতা।

সম্প্রতি তাঁর একটি আবেগঘন ফেসবুক পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তিনি তাঁর ত্যাগ, সংগ্রাম ও বর্তমান হতাশার কথা তুলে ধরেছেন।
 
​মামলা-হামলায় জর্জরিত এক যুগ
​ওই নেতা তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন, মিছিল, মিটিং এবং পিকেটিংয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে পুঠিয়া উপজেলায় তাঁকে সর্বপ্রথম গ্রেপ্তার করা হয়। জামিনে মুক্তির ১৫ দিনের মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলা দায়ের হয় এবং এর দুই মাস পর হয় আরেকটি মামলা।

তিনি লেখেন, "পুলিশ প্রশাসন হায়েনার মতো আমার পেছনে পড়ে গেল। পুলিশের তাড়া খেয়ে ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪এর ৪ঠা আগস্ট পর্যন্ত ১২ বছরে হয়ত ১২ টা দিনও শান্তিতে বাসায় ঘুমাতে পারি নি।"
 
​তিনি দাবি করেন, তৎকালীন সময়ে বেলপুকুর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সকল কাজে তিনি সামনের কাতারে থাকতেন এবং তাঁর ও তাঁর দুই সহকর্মী—ইউনুস ভাই ও আবু তালেবের—উপস্থিতিতে এলাকার ছাত্র ও যুবকরা একত্রিত হতো, যা প্রতিপক্ষের মনে ভয়ের সৃষ্টি করত। ২০১৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা হয়।

ওসি সহ ৩২ পুলিশের অভিযান
​পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালে ওসিসহ ৩২ জন পুলিশ কর্মকর্তা তাঁকে এবং আবু তালেবকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে তাঁদের বাড়িতে অভিযান চালান। তিনি সে সময় বাড়িতে না থাকলেও আবু তালেব একটুর জন্য রক্ষা পান। এরপর দুই বন্ধু বাড়ি ছেড়ে চলে যান এবং গণ-অভ্যুত্থানের পূর্ব পর্যন্ত আর ফিরতে পারেননি। ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পরের দিন ৬ই আগস্ট তাঁরা বাড়িতে ফিরে আসেন।
​সংগঠনের প্রতি হতাশা ও ক্ষোভ দীর্ঘ ১২ বছরের এই ত্যাগ ও কষ্টের পরেও বর্তমানে সংগঠনের কাছ থেকে পাওয়া অবহেলায় গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন এই নেতা। তিনি লিখেছেন, "এতো ত্যাগ তিতিক্ষার পরও এখন সংগঠনে মনে হচ্ছে আমাদের সে কষ্টের কোনো দামই নাই, আমরা যেন মূল্যহীন ব্যক্তি।"
 
​তাঁর মূল অভিযোগ, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর সংগঠন মামলা-হামলায় জর্জরিত কর্মীদের কোনো খোঁজখবর নেয়নি। তিনি বলেন, "স্বান্তনা দেওয়ার জন্য হলেও তো তাদের সাথে দেখা করা উচিত ছিল। কিন্তু তা করে নি।" বহুবার বলার পর কেবল কিছুদিন কিছু কথা শোনা গেলেও পরে তাদের আর কোনো খবর নেওয়া হয়নি।
 
​তিনি আক্ষেপ করে বলেন, "তাদের এক ঘন্টা সময় আমাদের জন্য হয় না। অথচ এই সংগঠনের জন্য জীবনের ২০ টা বছর পার করলাম। বিনিময়ে কি পেলাম শুধুই অবহেলা!!!"
 
​পোস্টের শেষে তিনি জানিয়েছেন, আজও তাঁর একটি মামলার হাজিরা রয়েছে। হতাশা সত্ত্বেও তিনি দ্বীন কায়েমের পথে নি:স্বার্থভাবে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

বেলপুকুর ইউনিয়ন শাখা জামায়াতের আমির মোকবুল হোসেন জানান,  ​"আরিফ আমাদের সংগঠনের কোনো কাজই কোনোদিন করেনি। সে শিবিরের সাথী ছিল। 
​তার ব্যক্তিগত মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা তাকে সাহায্য করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সংগঠনের লোক হয়েও সে আমাদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে (ত্যাড়াপোনা করে)। একবার তার মামলার বিষয়ে একজন আইনজীবীর কাছে গিয়েছিলাম, কিন্তু আইনজীবী ক্লান্ত থাকায় তিনি পরের দিন আসতে বলেন। এই সামান্য কারণেও আরিফ রেগে গিয়ে আর যায়নি। অথচ এখন সে ফেসবুকে এসে এই বিষয়ে পোস্ট করছে।
তবে আমি এই সকল ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি দূর করার চেষ্টা করছি।"

নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ