আরিফ হোসেন : শিশির ভেজা কমল হাওয়া, সবুজের
আলতো ছোঁয়া, মিষ্টি রোদের নরম আলো, আঁখি মেলে রাজশাহী শহর দেখব চলো।
রাজশাহী সিটি, দেখে মনে হবে বিদেশের কোন এক শহর। এই শহরের প্রতিটি ফুল প্রকৃতিতে পরিস্ফুটিত একটি আত্মা।
প্রকৃতির স্পর্শ এমন এক মায়াজাল যা পুরো পৃথিবীকে আত্মীয়তা করে তুলে।
রাজশাহী নগরীর প্রকৃতি সেজেছে যেন রংধনুর সাজে। নগরীর নানা স্থানে ফুটে থাকা লাল,কমলা, হলুদ বা বেগুনি রঙের ফুলগুলো যেন শহরবাসীর কাছে সেই সাক্ষ্যই দিচ্ছে। এই ইট-পাথরের শহরে টিকে থাকা গাছগুলোর ডালে ডালে ফুল এসেছে। এ যেন, শহুরে হাওয়ায় চোখ জুড়ানো রংমশাল। চারদিকে ফুটে থাকা এসব ফুল দেখে গুণগুণ সুরে ঠোঁটের কোণে এমনিতেই চলে আসবে গানের কথাগুলো, ‘ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে, বহে কিবা মৃদু
প্রয়োজনে- অপ্রয়োজনে যারাই ঘরের বাইরে আসছেন,
তারাই মুগ্ধ হচ্ছেন এই নগরীর প্রকৃতি দেখে। নগরীর বিভিন্ন রাস্তার দুইপাশে ছেয়ে আছে মন জুরানো ফুলে। অনেক ভবন বা অফিস চত্বরের আঙিনায় আজ ফুলের বাহার। যেদিকে দিয়ে পথচলি যেমন চোখ জুড়ায়, তেমন প্রাণ জুড়ায় । দেখলে মনে হবে, এ যেন ফুল-পাতা দিয়ে গড়া প্রকৃতির এক স্বর্গরাজ্য।
গাছ না থাকা সবচেয় শাব্দিক উপায়, আমাদের শিকড় ছাড়া থাকার মতো।
প্রকৃতি হল এমন একটি পুস্তক, যার সম্পাদক এবং প্রকাশক হলেন স্বয়ং বিধাতা।
অবাক করা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার ও সবুজ বৃক্ষের সুন্দরী রাজশাহী নগরী।
নীল আকাশের নিচে যেন সবুজ গালিচায় ঢেকে আছে রাজশাহী নগরীর চারপাশ, শুধুই সবুজের সমারোহ। অন্তহীণ সৌন্দর্য্যে যেন একাকার হয়ে আছে এই নগরীতে। পদ্মার কিনারা ঘেঁষে বয়ে গেছে এ শহরের আঁকাবাঁকা মেঠো পথ। কোন যান্ত্রিক দূষণ নেই। প্রকৃতির সব সুন্দর্য যেন এ শহরে ডানা মেলেছে।
ইতিহাস বলুন বা ঐতিহ্য, পত্নীর গড়িমা কিংবা শিল্পীর সুষমা , জীবনের ব্যাপ্তি অথবা জীবিকার ঐশ্বর্য, নিসর্গের রাজ্যপাট কিংবা বৈচিত্রের বৈভব কোন কিছুরই অভাব নেই এ নগরীতে। যেন রুপ ছড়াচ্ছে সবুজ বনলতাতে।
নিসর্গের মায়া জড়ানো এ নগরী রাজধানী ঢাকা শহর থেকে প্রায় ২৮০ কিলোমিটার উত্তরে।
স্বদেশ জন্মভুমির প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে বুনানো, পদ্মার কাঁদা মাখা জলধারা,নীজ শিল্পীর রং তুলিতে আঁকা, সোনালী মায়ামাখা প্রান্তর জুড়ে রুপ লাবন্যে ভরা, নদীর শহর, সবুজের শহর, রুপের শহর রাজশাহী।
কোন শিল্পের তুলির কৃত্রিম আঁচড়ে নয় প্রকৃতির জল-কাদা আর সবুজের অপরুপ সৌন্দর্য্য জুরে রয়েছে আমাদের স্বদেশভূমি রাজশাহী শহরে । পদ্মার জল ধোয়া শরীরে খাড়া হয়ে আছে অসংখ্য পাড়া, মহল্লা পথ ঘাট আর ছোট,বড় বন্দর। একদা দেশে জীবিকার খোঁজে দুর থেকে ছুটে আসা মানুষেরা দেশিদের ঝাঁকে মিশে পদ্মার তীরে মহাকাল গড়ে যে বসতি গড়েছিল তা থেকেই জন্ম নিয়েছে আজকের এই বর্তমান
নগরী রাজশাহী।
নগরী রাজশাহী।
রাজশাহী নগরীর বর্তমান সিটি কর্পোরেশন মেয়র এ এইচ এম খাইরুজ্জামান লিটন।
যার হাত ধরে আধুনিক রূপায়ণ ও সবুজ নগরীতে গড়ে উঠেছে রাজশাহী শহর । যিনি এই শহরের প্রতিটি সবুজ বৃক্ষ, বনলতা ও ফুলকে প্রকৃতির পরিস্ফুটিত একেকটি আত্মা হিসাবে গড়ে তুলছে। রাজশাহী শহর কে দিয়েছে নতুন রূপ ।
“প্রকৃতিকে যদি দোকানী ধরী
আর সকল ঐশ্বর্য যদি হয় পন্য
এ শহর আসলেই তাহলে
রুপ বৈচিত্রের গঞ্জ ।
এমন রুপের গঞ্জ বলে
এমন রুপসী আমার রাজশাহী শহর।
এ শহর আসলেই তাহলে
রুপ বৈচিত্রের গঞ্জ ।
এমন রুপের গঞ্জ বলে
এমন রুপসী আমার রাজশাহী শহর।
রাজশাহী শহর আসলেই পয়মন্তর জনপদের শহর।
রাজশাহী নগরীর বুকে সবুজের গালিচায় ঢেকেছে পথ ঘাট। সবুজের এই জনপদ রাজশাহী নগরীতে প্রকৃতির রংধনুর সাজে জীবন্ত বৃক্ষ ছায়া আর আলোক রশ্মিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে । পরিস্কার , পরিচ্ছন্নতা আর নকশি আঁকা সবুজের সমারোহে চোখ জুড়ানো মনমুগ্ধর মায়াবী শহর রাজশাহী। নগরীর যেখানেই যাই না কেন পিছু ছাড়ে না সবুজের মায়া , বর্ণিল জীবন, প্রকৃতির ঐশ্বর্য ভরা, স্নিগ্ধ সুন্দর মায়াবী নগরী রাজশাহী ।
রাজশাহী নগরীর বুকে সবুজের গালিচায় ঢেকেছে পথ ঘাট। সবুজের এই জনপদ রাজশাহী নগরীতে প্রকৃতির রংধনুর সাজে জীবন্ত বৃক্ষ ছায়া আর আলোক রশ্মিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে । পরিস্কার , পরিচ্ছন্নতা আর নকশি আঁকা সবুজের সমারোহে চোখ জুড়ানো মনমুগ্ধর মায়াবী শহর রাজশাহী। নগরীর যেখানেই যাই না কেন পিছু ছাড়ে না সবুজের মায়া , বর্ণিল জীবন, প্রকৃতির ঐশ্বর্য ভরা, স্নিগ্ধ সুন্দর মায়াবী নগরী রাজশাহী ।
সংক্ষেপে ভৌগলিক অবস্থান:
রাজশাহী মহানগরীর অবস্থান পদ্মার উত্তর তীরে। উত্তর অক্ষাংশ-২৪০২২, পূর্ব দ্রাঘিমাংশ-৮৮০৪২। এর আয়তন প্রায় ৯৬.৭২ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমান মহানগরী ৩০টি ওয়ার্ডে বিভক্ত।
হযরত শাহ্ মখদুম রুপোশ (রহ.) এর মাজার শরীফ, রামচন্দ্রপুর দেবীশিংপাড়ায় মোঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলের স্থাপত্য কীর্তি রাজশাহীকে প্রাচীনতম প্রমান করে। সে সূত্রে বলা হয়, শহর হিসাবে রাজশাহীর বয়স প্রায় পৌনে চারশ বছর।
রাজশাহী মহানগরীর অবস্থান পদ্মার উত্তর তীরে। উত্তর অক্ষাংশ-২৪০২২, পূর্ব দ্রাঘিমাংশ-৮৮০৪২। এর আয়তন প্রায় ৯৬.৭২ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমান মহানগরী ৩০টি ওয়ার্ডে বিভক্ত।
হযরত শাহ্ মখদুম রুপোশ (রহ.) এর মাজার শরীফ, রামচন্দ্রপুর দেবীশিংপাড়ায় মোঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলের স্থাপত্য কীর্তি রাজশাহীকে প্রাচীনতম প্রমান করে। সে সূত্রে বলা হয়, শহর হিসাবে রাজশাহীর বয়স প্রায় পৌনে চারশ বছর।
আয়তন ৯৬.৭২ বর্গ কিলোমিটার।
জলবায়ু : বাংলাদেশের অবস্থান ক্রান্তীয় অঞ্চলে বলে এখানকার আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ।
ওয়ার্ড সংখ্যা ৩০ টি। মহল্লা ১৩৪ টি । জাতীয় সংসদের আসন ১ টি। কারাগার ১টি । সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ১টি। যাদুঘর ১টি