তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা সারা বছরই থাকে। তবে গরমে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা আরও বেশ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সারাক্ষণ তেল চিটচিটে ত্বকে ধুলোবালি জমে ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকে কালচে ছোপ পড়ে যাওয়া তো একটা সাধারণ সমস্যা। ত্বক যত তৈলাক্ত হবে, ততই বাড়বে তার কালচে ভাবগরমের এই সময়টাতেই ভুলের এই পরিমাণটা থাকে বেশি। অনেককেই দেখবেন ত্বকের তৈলাক্তভাব এড়াতে এ সময় মুখে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার দেওয়া এড়িয়ে চলেন। বারবার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করেন। আবার কেউ কেউ এ সময় তো মুখে স্ক্রাবিংয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন মাত্রাতিরিক্ত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু ভুলের কারণেই অয়েলি স্কিনের সঠিক পরিচর্যা ব্যাহত হয়। তাই ত্বকের সুরক্ষায় কোন ভুলগুলো এড়িয়ে চলবেন–আসুন, তা জেনে নিই আজকের আয়োজনে।
ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করতে প্রথমেই আমরা যে ভুলটি করি তা হলো ঘন ঘন মুখ ধোয়া। মুখ শুষ্ক রাখার জন্য এই অভ্যাস করতে গিয়ে ত্বকের ন্যাচারাল অয়েল খুব তাড়াতাড়ি ত্বক থেকে বের হতে শুরু করে, যা ত্বককে আরও তৈলাক্ত করে তোলে।
অতিরিক্ত ন্যাচারাল অয়েল ত্বক থেকে বের হওয়ায় নির্দিষ্ট সময় পর এই প্রয়োজনীয় উপাদানটি ত্বক থেকে হারিয়ে যায়। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার অভ্যাসেও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন।
অতিরিক্ত স্ক্রাবিং বা এক্সফোলিয়েট করার কারণেও ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি ত্বক হয়ে ওঠে তৈলাক্ত। অনেকেই অ্যালকোহলমুক্ত টোনার ব্যবহার করেন না। এতে মুখের ত্বক অনেকটা তৈলাক্ত হয়ে যায়।
এ ছাড়া অনেকেই স্কিন কেয়ার বা বিউটি প্রোডাক্ট ঘন ঘন পরিবর্তন করে থাকেন। দ্রুত এই প্রোডাক্ট পরিবর্তন করে ত্বকে ব্যবহার করার কারণে অনেক সময় আমাদের ত্বক এই পরিবর্তনের সঙ্গে সহজে মানিয়ে নিতে পারে না। তাই ত্বকের সুরক্ষায় যেকোনো স্কিন প্রোডাক্ট অন্তত ২-৩ মাস ব্যবহার করুন।
গরমের এই সময়টাতে তৈলাক্ত ত্বককে সুরক্ষা দিতে টমেটোকে বেছে নিতে পারেন। এর রস ত্বকে ম্যাসাজ করে অপেক্ষা করুন ১০ মিনিটের মতো। রস শুকিয়ে গেলে পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে তৈলাক্তভাব যেমন কমবে তেমনি চেহারাতেও আসবে বাড়তি লাবণ্যের দ্যুতি।