নিজস্ব প্রতিবেদক : সিসিবিভিও-রাজশাহী, রাজাবাড়ী ডিগ্রী কলেজ এবং রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠন সমূহের যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী ডিগ্রী কলেজে সিসিবিভিও-রাজশাহী, রাজাবাড়ী ডিগ্রী কলেজ এবং রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠন সমূহের যৌথ উদ্যোগে এবং ব্রেড ফর দি ওয়ার্ল্ড, জার্মানী-এর সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করা হয়।
দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়:“অধিকার, মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমানে সমান” ।” দিবস উপলক্ষ্যে র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। র্যালীটি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে রাজাবাড়ীহাট হয়ে কলেজ প্রাঙ্গণে শেষ হয়। অত:পর রাজাবাড়ী ডিগ্রী কলেজ মিলনায়তনে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ মো: রেজাউল করিমের সভাপতিত্বি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচনায় অংশ নেন সিসিবিভিও’র নির্বাহী প্রধান সারওয়ার-ই-কামাল স্বপন, অত্র কলেজের প্রভাষক সেলিম রেজা, রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠনের নেতা ঝর্না লাকড়া, সিসিবিভিওর ডক্যুমেন্টেশন এন্ড রির্পোটিং অফিসার আবু আহসান শেলী, রক্ষাগোলার খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের সমন্বয়কারী মি: এভারিষ্ট হেমব্রম, প্রকল্প সমন্বয়কারী (পিএসই) নিরাবুল ইসলাম, গোদাগাড়ী উপজেলার হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ কুমার সরকার, সহকারী প্রকল্প সমন্বয়কারী (পিএসই) শবনম মুস্তারী ও অত্র কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ববিতা রানী দাস। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংস্থার প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী মো: আরিফ।
বক্তাগণ বলেন নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের রয়েছে অবিস্মরনীয় ভূমিকা ও তাৎপর্য। এই দিবসটির সূত্রপাত হয় ১৮৫৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি পোষাক কারখানার নারী শ্রমিকদের মুজরি বৃদ্ধি, শ্রমঘন্টা ১৬ থেকে কমিয়ে ৮ ঘন্টা নির্ধারণ এবং কর্ম পরিবেশ উন্নয়নসহ নানা দাবি ও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯১০ সালে আন্তর্জাতিক নারী নেত্রী ক্লারা জেৎকিন-এর প্রস্তাবক্রমে এই দিনটিকে সারা বিশ্ব ‘নারীদিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চ প্রথমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশে সমাজ ব্যবস্থায় অজ্ঞতার শিকার হন নারীরা। আজও সমাজের অন্তরালে নারীর অশ্রু ঝরছে, সামাজিক ভয়ে নারীরা আইনের আশ্রয় নিতে চায় না নারী অধিকার আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই।