সারাদেশেই জন্ম নিবন্ধন সার্ভার হ্যাক করে হাজার হাজার জাল নাম ঢুকিয়েছে হ্যাকার চক্রটি।
গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রাম, নড়াইল, ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সদস্যরা।
গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন সাগর আহমেদ ওরফে জোভান, শেখ সেজান, মেহেদী হাসান, শাকিল হোসেন ও মাসুদ রানা। তাদের মধ্যে সেজান, শাকিল ও মাসুদ রানা হ্যাকার। বাকি দু’জন তাদের সহযোগী।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় দামপাড়াস্থ পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সিএমপি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার লিয়াকত আলী খান এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গত ৮ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সার্ভারে অনুপ্রবেশ করে প্রায় ৫০০টি জন্মসনদ ইস্যু করে একটি চক্র। সার্ভারের নিরাপত্তা ত্রুটিকে কাজে লাগিয়েছে চক্রটি। গাজীপুর থেকে মাসুদ রানা, সিরাজগঞ্জে শাকিল হোসেন এবং ঢাকার মেহেদী হাসান জন্ম নিবন্ধন সার্ভার হ্যাক করে। এছাড়া নড়াইলের শেখ সেজান এবং সাগর আহম্মদের জোভান এই গ্রুপের হয়ে লোক সংগ্রহ করতো। প্রতিটি গ্রুপে সর্বনিম্ন ৩০ থেকে ১০০ জন পর্যন্ত সদস্য রয়েছে।’
উপ-কমিশনার লিয়াকত আলী খান আরও বলেন, ‘তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে তৈরি করে বিশেষ কুকিজ ও অ্যাপসের মাধ্যমে সেজান সার্ভারে ঢোকার সুযোগ নেয়। প্রথমবারেই সফল হয়ে সেই কুকিজ ভাড়া দিতো সেজান। এভাবেই সারাদেশে জন্ম নিবন্ধনের হ্যাকার গ্রুপ ছড়িয়ে পড়ে। অন্তত চারটি ভাগে চলতো সার্ভারের হ্যাকিং।’
তিনি জানান, শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারাদেশেই জন্ম নিবন্ধন সার্ভার হ্যাক করে হাজার হাজার জাল নাম ঢুকিয়েছে হ্যাকার চক্রটি। প্রতিজনের কাছ থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা করে নেয়া হতো। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে দেশজুড়ে এজেন্টদের মাধ্যমে গ্রাহক সংগ্রহ করা হতো। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও চক্রটি সক্রিয় ছিল বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় খুলশী থানায় দুটি, হালিশহর ও বন্দর থানায় একটি করে মামলা রয়েছে। চারটি মামলায় এ পাঁচজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে