সোনালী রাজশাহী বিপিএল: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৩৩ রানে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয়ের দেখা পেলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ১৮৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করে ঢাকা ডমিনেটর্স।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে কোন রান যোগ করার আগেই ইনিংসের দ্বিতীয় বলে উইকেট হারায় কুমিল্লা। দুই বলে খেলে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস। লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন ইমরুল কায়েস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৭ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৪৭ রানে ২৬ বলে ৩৩ রান করে আউট হন ইমরুল। এরপর ক্রিজে আসা জনসন চার্লসকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন রিজওয়ান।
তবে দলীয় ৮৭ রানে জনসন চার্লসের উইকেট হারায় কুমিল্লা। ১৯ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন খুশদিল। ক্রিজে এসেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। ইনিংসের ১৬তম ওভারে স্পিনার হামজাকে তিন ছয় ও দুই চার মারেন।
মারমুখি ব্যাটিংয়ে ১৮ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন খুশদিল। অর্ধশতকের পরও ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান তিনি। অন্যদিকে কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিং করতে থাকেন রিজওয়ান। দলীয় ১৭১ রানে আউট হন খুশদিল। ২৪ বলে ৬৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
খুশদিলের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন জাকের আলি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। রিজওয়ান ৪৭ বলে ৫৫ ও জাকের আলি ৩ বলে ৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার পক্ষে তাসকিন, নাসির, ইমরান ও সৌম্য নেন ১টি করে উইকেট।
১৮৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় ঢাকা ডমিনেটর্স। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ১১ রানে খালি হাতে সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য সরকার। এরপর ক্রিজে এসে ৪ বল খেলে শূন্য রান করে আউট হন রবিন দাস।
এরপর মোহাম্মদ মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ওপেনার আহমেহ শেহজাদ। তবে দলীয় ৩৪ রানে ১৭ বলে ১৯ রান করে রান আউটের শিকার হন শেহজাদ।
এরপর অধিনায়ক নাসির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিথুন। তবে দলীয় ৮৫ রানে ৩৪ বলে ৩৬ রান করে আউট হন মিথুন। মিথুনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন আরিফুল হক। আরিফুলকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান নাসির।
তবে গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে ব্যর্থ হয় তারা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় ঢাকা ডমিনেটর্স। আরিফুল ১৭ বলে ২৪ ও নাসির ৪৫ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। কুমিল্লার পক্ষে হাসান আলি, তানভির ও মোসাদ্দেক নেন ১টি করে উইকেট।