ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার বর্তমান সমাজে মারাত্মক এক ব্যাধির নাম ইভটিজিং বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  বিজয় নৌকার প্রার্থী খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু রাজশাহী শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার অসহায় বৃদ্ধা আলেয়া পেলেন চোখ অপারেশনের টাকা তীব্র তাপপ্রবাহের পর গোদাগাড়ীতে দেখা মিললো সস্তির বৃষ্টি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বনানী ঘোষ মারা গেছেন দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ এক যুবক গ্রেপ্তার নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রভাব সৃষ্টি করলে ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হবে: সিইসি

নদীতে ভাসমান জীবন থেকে এখন ডাঙায় ‘মানতা’ সম্প্রদায়

সোনালী রাজশাহী নিউজ: মানতা সম্প্রদায়। শত বছর ধরে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে নৌকায় বসবাস তাদের। জন্ম, মৃত্যু, জীবন যাপন সব কিছুই নৌকায়। মুসলিম এই জনগোষ্ঠী ছিল সমাজ সভ্যতা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। বাস্তুভিটা তাদের কাছে ছিল কেবলই স্বপ্নের মতো। এমনকি নাগরিক অধিকারও তাদের ছিল না।

নদীতে নৌকায় ভাসমান জীবন ছিল ‘মানতা’ সম্প্রদায়ের লোকদের। তবে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ডাঙায় তাদের ঠিকানা করে দিয়েছে। বদলে গেছে তাদের জীবনযাত্রা।
চার ধাপে পটুয়াখালী জেলায় সাত হাজার ৩৫১টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
  1. দৈনিক সোনালী রাজশাহী এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News/sonalirajshahi.com
কিন্তু মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় নির্মিত ঘরে হয়েছে তাদের নতুন ঠিকানা। ঠিকানাহীন জলের এসব মানুষের ঠাঁই হয়েছে উপহারের ঘরে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে এখন তাদের দিন কাটছে সুখে শান্তিতে।সরেজমিনে দেখা গেছে, জমিসহ পাকা ঘর পেয়ে বদলে গেছে তাদের জীবন। নিজের বাড়ি পেয়ে কেউ করেছেন সবজির বাগান। আবার কেউ হাঁসমুরগি ও কবুতর পালন করছেন।

মানতা সম্প্রদায়ের লোকেরা জানান, নৌকার জীবন তাদের। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে তাদের মাথা গোঁজার নিরাপদ আশ্রয় হলো। তারাও আজ সমাজের বাকি সবার মতো সমান সুযোগ পাচ্ছেন।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, যুগ যুগ ধরে নদীতে ভাসমান সম্প্রদায়ের মানুষের স্থায়ী ঠিকানা হয়েছে আশ্রয়ণের ঘরে । তাদের সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়াও রাঙ্গাবালী ও গলাচিপার ছিন্নমূল সব মানুষ ঘর ও জমি পেয়েছেন। এখন আর ভূমি-গৃহহীন নেই। মানতা সম্প্রদায়ের জন্য প্রথম পর্যায়ে ২৯টি এবং চতুর্থ পর্যায়ে ৩০টি ঘর নির্মাণ হয়েছে।

সম্প্রতি এই সম্প্রদায়ের মানুষের খোঁজ নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর চর মোন্তাজ মানতা পল্লিতে এসেছিলেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো.মাহবুব হোসেন।

চার ধাপে পটুয়াখালী জেলায় সাত হাজার ৩৫১টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার

নদীতে ভাসমান জীবন থেকে এখন ডাঙায় ‘মানতা’ সম্প্রদায়

আপডেট সময় ০৮:৩৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

সোনালী রাজশাহী নিউজ: মানতা সম্প্রদায়। শত বছর ধরে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে নৌকায় বসবাস তাদের। জন্ম, মৃত্যু, জীবন যাপন সব কিছুই নৌকায়। মুসলিম এই জনগোষ্ঠী ছিল সমাজ সভ্যতা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। বাস্তুভিটা তাদের কাছে ছিল কেবলই স্বপ্নের মতো। এমনকি নাগরিক অধিকারও তাদের ছিল না।

নদীতে নৌকায় ভাসমান জীবন ছিল ‘মানতা’ সম্প্রদায়ের লোকদের। তবে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ডাঙায় তাদের ঠিকানা করে দিয়েছে। বদলে গেছে তাদের জীবনযাত্রা।
চার ধাপে পটুয়াখালী জেলায় সাত হাজার ৩৫১টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
  1. দৈনিক সোনালী রাজশাহী এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News/sonalirajshahi.com
কিন্তু মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় নির্মিত ঘরে হয়েছে তাদের নতুন ঠিকানা। ঠিকানাহীন জলের এসব মানুষের ঠাঁই হয়েছে উপহারের ঘরে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে এখন তাদের দিন কাটছে সুখে শান্তিতে।সরেজমিনে দেখা গেছে, জমিসহ পাকা ঘর পেয়ে বদলে গেছে তাদের জীবন। নিজের বাড়ি পেয়ে কেউ করেছেন সবজির বাগান। আবার কেউ হাঁসমুরগি ও কবুতর পালন করছেন।

মানতা সম্প্রদায়ের লোকেরা জানান, নৌকার জীবন তাদের। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে তাদের মাথা গোঁজার নিরাপদ আশ্রয় হলো। তারাও আজ সমাজের বাকি সবার মতো সমান সুযোগ পাচ্ছেন।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, যুগ যুগ ধরে নদীতে ভাসমান সম্প্রদায়ের মানুষের স্থায়ী ঠিকানা হয়েছে আশ্রয়ণের ঘরে । তাদের সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়াও রাঙ্গাবালী ও গলাচিপার ছিন্নমূল সব মানুষ ঘর ও জমি পেয়েছেন। এখন আর ভূমি-গৃহহীন নেই। মানতা সম্প্রদায়ের জন্য প্রথম পর্যায়ে ২৯টি এবং চতুর্থ পর্যায়ে ৩০টি ঘর নির্মাণ হয়েছে।

সম্প্রতি এই সম্প্রদায়ের মানুষের খোঁজ নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর চর মোন্তাজ মানতা পল্লিতে এসেছিলেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো.মাহবুব হোসেন।

চার ধাপে পটুয়াখালী জেলায় সাত হাজার ৩৫১টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।