শুভ বড়দিনে আনন্দে মেতেছেন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা। সারা দেশে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। সকাল থেকেই গির্জায় গির্জায় প্রার্থনায় অংশ নেন ভক্তরা। পবিত্র বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। করোনা মহামারির পর এবারের বড়দিনে সমবেতদের প্রত্যাশা, বিশ্ব থেকে মুছে যাবে সব অস্থিরতা।
পৌষের ঘনকুয়াশা। তবুও রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই রাজধানীর গির্জায় গির্জায় ভিড় ছিল খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের। সূর্য যখন মাত্র উঁকি দিচ্ছে তখনই প্রতিটি চার্চে প্রার্থনায় সুরে মুখরিত চারদিক। উদ্দেশ্য বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন।
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই বড়দিনেই মাতা মেরির কোলজুড়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন যিশু খ্রিষ্ট। তাই খ্রীষ্টিয় আধ্যাত্মিক ও লৌকিক সংস্কার পালনের মাধ্যমে প্রতিবছর পালিত হয় এ দিনটি।
করোনা মহামারির পর এবার বাধাহীনভাবে বড়দিন পালন করতে পারছেন সকলে। তাই আনন্দটা এবার অন্যান্য বারের তুলনায় অনেক বেশি। চার্চে আসা ভক্তরা জানান, সারা পৃথিবীতে আমরা একযুগে বড়দিন পালন করছি। এই দিনে প্রভু যিশু খ্রিষ্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই আমরা খ্রিষ্টান ভাই-বোনেরা এই দিনটিতে এক হয়ে উৎসবের মাধ্যেমে পালন করে থাকি।
ধর্মগুরুরা বলছেন, জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশুখ্রিষ্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণীয়। বড়দিন থেকে শিক্ষা নিয়ে শান্তি ও মিলন শক্তিতে বলীয়ান হবে মানুষ।
এদিকে রাজধানী ছাড়াও সারা দেশে নানা আড়ম্বরে পালিত হচ্ছে বড়দিন। সাজানো হয়েছে বিভিন্ন রকম আয়োজন।