ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার বর্তমান সমাজে মারাত্মক এক ব্যাধির নাম ইভটিজিং বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  বিজয় নৌকার প্রার্থী খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু রাজশাহী শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার অসহায় বৃদ্ধা আলেয়া পেলেন চোখ অপারেশনের টাকা তীব্র তাপপ্রবাহের পর গোদাগাড়ীতে দেখা মিললো সস্তির বৃষ্টি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বনানী ঘোষ মারা গেছেন দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ এক যুবক গ্রেপ্তার নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রভাব সৃষ্টি করলে ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হবে: সিইসি
শীতকালে অতিথি পাখিরা এসব পল্লীতে এসে জড়ো হচ্ছে।

পুঠিয়ায় অবাধেই চলছে অতিথি পাখি শিকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকাকে অতিথি পাখি পল্লী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শীতকালে অতিথি পাখিরা এসব পল্লীতে এসে জড়ো হচ্ছে। আর তখনই একশ্রেণীর অসাধু মানুষেরা এয়ারগান সহ বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র দিয়ে পাখি শিকার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার কাঠালবাড়িয়া, শিলমাড়িয়া, ফুলবাড়ি, কৈপুকুরিয়া, নন্দনপুর সহ বেশ কিছু এলাকার
পাখি পল্লীতে এবার বেশ অতিথি পাখি দেখা যাচ্ছে। এসব এলাকার মানুষেরা পাখির কলাহলের দৃশ্য দেখে আনন্দিত। তবে এসব এলাকায় কিছু অসাধু পাখি শিকারীরা এয়ারগান সহ নানান রকম পাখি ধরা যন্ত্র দিয়ে অতিথি পাখি শিকার করছে। এসব অতিথি পাখি শিকার করাতে এলাকাবাসীদের মধ্যে এক প্রকার চাপা ক্ষোভ দেখা গেছে। এভাবে পাখি স্বীকার করাতে যেমন নষ্ট হচ্ছে প্রকৃতির সৌন্দর্য, তেমন নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। এভাবে পাখি শিকার অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে হয়তো অতিথি পাখি আসা বন্ধ হয়ে যাবে এমন আশঙ্কা তাদের।
কাঠালবাড়িয়া এলাকার রহিম বক্স জানান, আমাদের বিলটি একটি পাখি পল্লী। শীত মৌসুমে বহু অতিথি পাখি দেখা যায় এখানে। আর কিছু অসাধু মানুষেরা এয়ারগান দিয়ে এই অতিথি পাখিগুলোকে মেরে নিয়ে যায়। শুধু বাহিরে থেকে আসা ব্যাক্তিরা নয়, স্থানীয় এলাকার লোকদের অনেকেই পাখি শিকার করে নিয়ে যায়। তাদেরকে পাখি শিকার করতে নিষেধ করলে কেউ তা শোনে না।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, অতিথি পাখি শিকার করা আইন বিরোধী কাজ। কোথাও পাখি শিকার করতে দেখলে থানায় খবর দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নিয়ামুর রহমান বলেন, যারা এভাবে অতিথি পাখি মারছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আমাদের লোকজন প্রতিনিয়ত পাখি পল্লী গুলো ঘুরে দেখেন। এভাবে অতিথি পাখি নিধন করা কোন ভাবেই কাম্য নয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার

শীতকালে অতিথি পাখিরা এসব পল্লীতে এসে জড়ো হচ্ছে।

পুঠিয়ায় অবাধেই চলছে অতিথি পাখি শিকার।

আপডেট সময় ০৬:৩৬:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকাকে অতিথি পাখি পল্লী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শীতকালে অতিথি পাখিরা এসব পল্লীতে এসে জড়ো হচ্ছে। আর তখনই একশ্রেণীর অসাধু মানুষেরা এয়ারগান সহ বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র দিয়ে পাখি শিকার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার কাঠালবাড়িয়া, শিলমাড়িয়া, ফুলবাড়ি, কৈপুকুরিয়া, নন্দনপুর সহ বেশ কিছু এলাকার
পাখি পল্লীতে এবার বেশ অতিথি পাখি দেখা যাচ্ছে। এসব এলাকার মানুষেরা পাখির কলাহলের দৃশ্য দেখে আনন্দিত। তবে এসব এলাকায় কিছু অসাধু পাখি শিকারীরা এয়ারগান সহ নানান রকম পাখি ধরা যন্ত্র দিয়ে অতিথি পাখি শিকার করছে। এসব অতিথি পাখি শিকার করাতে এলাকাবাসীদের মধ্যে এক প্রকার চাপা ক্ষোভ দেখা গেছে। এভাবে পাখি স্বীকার করাতে যেমন নষ্ট হচ্ছে প্রকৃতির সৌন্দর্য, তেমন নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। এভাবে পাখি শিকার অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে হয়তো অতিথি পাখি আসা বন্ধ হয়ে যাবে এমন আশঙ্কা তাদের।
কাঠালবাড়িয়া এলাকার রহিম বক্স জানান, আমাদের বিলটি একটি পাখি পল্লী। শীত মৌসুমে বহু অতিথি পাখি দেখা যায় এখানে। আর কিছু অসাধু মানুষেরা এয়ারগান দিয়ে এই অতিথি পাখিগুলোকে মেরে নিয়ে যায়। শুধু বাহিরে থেকে আসা ব্যাক্তিরা নয়, স্থানীয় এলাকার লোকদের অনেকেই পাখি শিকার করে নিয়ে যায়। তাদেরকে পাখি শিকার করতে নিষেধ করলে কেউ তা শোনে না।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, অতিথি পাখি শিকার করা আইন বিরোধী কাজ। কোথাও পাখি শিকার করতে দেখলে থানায় খবর দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নিয়ামুর রহমান বলেন, যারা এভাবে অতিথি পাখি মারছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আমাদের লোকজন প্রতিনিয়ত পাখি পল্লী গুলো ঘুরে দেখেন। এভাবে অতিথি পাখি নিধন করা কোন ভাবেই কাম্য নয়।