পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় দুইজন অঙ্গাত ব্যক্তি বিড়ালদহ মাইপাড়া কসাইখানায় গিয়ে নিজেদের থানা পুলিশ পরিচয় দেয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নামে সাড়ে ৪৩ কেজি গরুর মাংস নিয়ে উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কসাই পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটলে রাতেই থানায় অভিযোগ দেন হান্নান নামের ভুক্তভোগী কসাই।
ভুক্তভোগী কসাই হান্নান বলেন, ‘অটোরিকশায় চরে আমাদের কসাইখানায় এসে দুজন ব্যক্তি নিজেদের থানার পুলিশ সদস্যর পরিচয় দেন। এরপর জানায় ইউএনও স্যার পাঠিয়েছেন, তার বাসায় ছোট অনুষ্ঠান আছে। ৫০ কেজি গরুর গোশত লাগবে। সাথে একজন কসাই যেতে হবে, যেন প্রয়োজন অনুযায়ী গোশতের সাইজ করে দিতে পারে। আর কাজ শেষে বিল পরিশোধ করা হবে। পরে জবাই করা গরুর একটি অংশ সাড়ে ৪৩ কেজি, গরুর চারটি পা ও কসাইসহ তাদের সাথে অটোরিকশাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর ওই দুজন পুঠিয়া সদরে এসে সঙ্গের কসাইকে বলে টাকা থানা থেকে দেওয়া হবে। টাকা আনতে ওই কসাইকে থানায় পাঠিয়ে দিয়ে তারা লাপাত্তা হয়ে যায়।
পরে তাদের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে রাতে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। ওই মাংসের মূল্য ২৯ হাজার ৫০০ টাকা বলে জানান ভুক্তভোগী কহান্নান।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই ভুক্তভোগী গতকাল রাতে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। প্রতারক চক্রের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ পিএএ বলেন, এখনো অনেক মানুষ আছেন যারা সহজ সরল। সে সুযোগে প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রতারণা করছে। এ বিষয়ে সকলকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।