মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা, দিকনির্দেশনা ও প্রয়োজনীয়তা বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে এজন্যই তিনি চেয়েছিলেন প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে।
দৈনিক সোনালী রাজশাহী
আজকে যিনি বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ প্রদান করেছেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি৷
তিনি আমাদের সিংড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল, বিচ্ছিন্ন প্রতিটি বাড়িকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করে দিয়েছেন।
আজ থেকে ১৩ বছর আগেও আমাদের সিড়ার অনেক পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিলো কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ বর্তমানে শতভাগ পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করে দিয়েছেন। একটি বিচ্ছিন্ন গ্রাম বেড়াবাড়ি সাত কিলোমিটার বিদ্যুতের লাইন টেনে সেই গ্রামকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। প্রত্যন্ত বনকুরাইল গ্রামে প্রায় ১০ কিলোমিটার বিদ্যুতের লাইন টেনে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
মালকুর, থেলকু এমনকি সিংড়ার একেবারে শেষ প্রান্তের গ্রামগুলোকেও বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মাননীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ভাইকে সিংড়ার বিদ্যুতের সমস্যা শুনে সিংড়ার বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন করার জন্য। এবং সিংড়া লোডশেডিংমুক্ত শতভাগ চব্বিশ ঘণ্টা বিদ্যুত নিশ্চিত করার জন্য।
যা কিছু প্রয়োজন সকল উদ্যোগ উনি ২০১৪ সালে গ্রহন করেছিলেন এবং আমাদের একের পর এক দাবি পূরন করে আমাদের শুধুমাত্র শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিতই করেননি বরং আমাদের যে চাহিদা ছিলো ১৩ বছর আগে ৩-৪ মেগাওয়াট সেই চাহিদা সাব-স্টেশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ২০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সব সরকার মিলে ২০০৮ সালের পূর্বে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিলো মাত্র ৩০০০ মেগাওয়াট তাও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ সালে ১৫০০ মেগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি করে ৩২০০ মেগাওয়াট করে রেখে গিয়েছেন ঐ পর্যন্তই ছিলো। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৩০০টি পৌরসভার উদ্যোগে ৭০০ এবং এই পৌর এলাকার আশেপাশে আমরা প্রায় ১০০০ সড়কবাতি দিয়েছি।
আমরা রাজপথকে আলোকিত করেছি, নিরাপদ করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে দশ কোটি টাকা ব্যয়ে কমপ্লেক্স ভবন আমাদের উপহার দিয়েছেন। আমরা সিংড়াকে একটি উন্নত আধুনিক নান্দনিক সিংড়া হিসেবে গড়ে তোলার যে সুযোগ পেয়েছি তা সম্ভব হয়েছে আমাদের সিংড়াবাসী পরপর তিনবার ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করেছেন বলেই সম্ভব হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আগামী নির্বাচনেও আপনারা নৌকা প্রতীককে নির্বাচিত করবেন এবং আমরা আমাদের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখবো।”
সিংড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল, বিচ্ছিন্ন প্রতিটি বাড়িকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করে দিয়েছেন।