নিহত রিফাত বরিশাল নগরীর ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অষ্টম সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন। তার স্ত্রী আসমা বেগম (২০) বরিশাল রহমতপুর কৃষি কলেজের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। বাবা-মা না থাকায় রিফাত নানাবাড়ি উজিরপুরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন বলে জানান স্থানীয়রা।

রিফাত জোমাদ্দারের স্ত্রী আসমা বেগম বলেন, রিফাতের সঙ্গে এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে হয়। রিফাত সবসময় আমাকে বোরকা পরে চলাফেরা করতে বলত। কিন্তু কিছুদিন আগে ফেসবুকে বোরকা ছাড়া একটি ছবি আপলোড দেয়ায় রাগ করে চার দিন ধরে আমার সঙ্গে ঠিক করে কথা বলেনি। এরপর হঠাৎ রাতে সাড়ে ১০টার দিকে আমাকে ভিডিওতে কল দিয়ে আত্মহত্যা করবে বলে জানায়। রিফাত একপর্যায়ে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিচ্ছে দেখে তাৎক্ষণিক তার বন্ধু রিয়াদ ও সাওনকে জানাই। রিয়াদ ও সাওন সংবাদ পেয়ে রিফাতের মামা শান্তকে জানান। পরে শান্ত লোকজন নিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক রিফাতকে মৃত ঘোষণা করেন।

উজিরপুর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. তৌহিদুজ্জামান সোহাগ বলেন, বছরখানেক আগে প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে করেন তারা। গত ৪-৫ দিন ধরে আসমা বোরকার পরে মুখ খোলা রেখে ছবি তুলে তা ফেসবুকে দেন। এ নিয়ে অভিমান করে শনিবার (১১ মার্চ) রাতে স্ত্রীকে ভিডিও কল দেন। এ সময় স্ত্রীর সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগান। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উজিরপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।