আব্দুল কাদের নাহিদঃ বর্ষার পানি নেমে গেলেও নদী ভাঙ্গন বন্ধ হয়নি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুরে। শত শত বিঘা ফসলি জমি ঘরবাড়ির সাথে ভাঙ্গতে বসেছে চকরাজাপুর উচ্চাবিদ্যালয়।
স্থানীয়রা জানান, এবছর বড় বড় ফাটল ধরাই মাটির চাপের কারণে নদীর ভাঙ্গন হচ্ছে৷ এমন ভাঙ্গন তারা এর আগে কখনও দেখেনি। চকরাজাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকের খেলার মাঠের মধ্যেই ভেঙ্গে গেছে অনেকাংশ। আর দুই তিনটি চাপ ভাঙ্গলেই স্কুলের ঘর ভাঙ্গা শুরু হবে। খেলার মাঠ অনেকটাই ভেঙ্গে গেছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
নদীর ২০ গজের ভেতর বসত করা একজন কৃষক, জয়নাল আবেদিন জানান, দুই বার ১ লক্ষের উপর টাকা খরচ করে ঘরবাড়ি বানিয়েছি এবার আবার ভাঙ্গনের কবলে পরতে যাচ্ছি।
৩নম্বর কালিদাশখালি, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনগর, ৪নম্বর ওয়ার্ডের চকরাজাপুরসহ অন্তত ৬০ জন কৃষকের আমবাগানসহ আবাদী ফসলের জমি গিলে খেয়েছে পদ্মা।
চকরাজাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছি। দ্রুত নদী রক্ষা বাঁধ এর কাজ শেষ না হলে আমাদের স্কুলটিও ভেঙ্গে যাবে।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বাবুল মনোয়ার জনান, ইতিমধ্যেই চকরাজাপুরের মূল ভূখন্ড নদীতে ভেঙ্গে গেছে। এখন যতটুকু জায়গা আছে তা যদি রাখা যেত তাহলে বাঘা উপজেলার এই শষ্য ভান্ডারটিকে বাঁচিয়ে রাখা যেতো।