ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার বর্তমান সমাজে মারাত্মক এক ব্যাধির নাম ইভটিজিং বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  বিজয় নৌকার প্রার্থী খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু রাজশাহী শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার অসহায় বৃদ্ধা আলেয়া পেলেন চোখ অপারেশনের টাকা তীব্র তাপপ্রবাহের পর গোদাগাড়ীতে দেখা মিললো সস্তির বৃষ্টি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বনানী ঘোষ মারা গেছেন দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ এক যুবক গ্রেপ্তার নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রভাব সৃষ্টি করলে ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হবে: সিইসি
বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বে গতকালই ছিল শেষ দিনের খেলা।

বিপিএল জয়ে শীর্ষ চারে খুলনা টাইগার্স

সোনালী রাজশাহী খেলাধুলা :  বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বে গতকালই ছিল শেষ দিনের খেলা। এদিন সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে তামিমের খুলনার মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ঘরের মাঠে নিজ দলকে শেষ বারের মতো সমর্থন দিতে এদিন মাঠে দর্শক এসেছিল অন্যদিনের চেয়ে অনেক বেশি।

১৫৭ রানের জবাবে ৪ বল বাকি থাকতেই মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তামিমরা।

শুক্রবার গ্যালারিপূর্ণ দর্শকে দিনের শুরুটা ছিল খুলনারই। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রামের দ্বিতীয় ওভারেই ম্যাক্স’ও দাউদের উইকেট তুলে নিয়ে খুলনাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাইফউদ্দিন। তবে দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খান ও আফিফ হোসেন প্রাথমিক বিপর্যয় সামলিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়লে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল বড় সংগ্রহ পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম। তবে উসমান খান ৪৫ ও আফিফ ৩৫ রান করে আউট হলে মাঝারি মানের সংগ্রহেই (১৫৭) সন্তুষ্ট থাকতে হয় স্বাগতিকদের। এছাড়া এদিন খুলনার পক্ষে ওয়াহাব রিয়াজ চট্টগ্রামের ৪ উইকেট তুলে নেওয়ার পরে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৪০০ উইকেট শিকারির ক্লাবে প্রবেশ করেন।

চট্টগ্রামের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো ছিল না খুলনার। প্রথম ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই চট্টগ্রামের অধিনায়কের বলে ফিরতি ক্যাচ দেন ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। যদিও শুরুর সে সাফল্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি স্বাগতিকদের। দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে তামিম ইকবাল ১০৪ রানের জুটি গড়ে দলকে প্রাথমিক জয়ের ভিত গড়ে দেন। ১টি ছক্কা ও ৪টি বাউন্ডারিতে ৪৪ রান করে তামিম ইকবাল এবং ৫টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৯ রান করে ম্যাচ সেরা মাহমুদুল হাসান জয় আউট হলে স্বাগতিক দর্শকরা আশাবাদী হয়েছিল চট্টগ্রামের ম্যাচে ফেরার। কিন্তু অধিনায়ক ইয়াসির আলীর ১৭ বলে ঝোড়ো ৩৬ রান এবং আজম খানের ১৬ বলে সময়োপযোগী ১৫ রানের দৃঢ়তায় সহজ জয়েই মাঠ ছাড়ে খুলনা।

এ জয়ে খুলনার পয়েন্ট চট্টগ্রামের সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে আসে তামিম-ইয়াসিরদের খুলনা টাইগার্স। এদিকে এদিন ম্যাচ জয়ের সঙ্গে দেশ সেরা ব্যাটার তামিমের সাফল্যের মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত হয়। ৪৪ রান করার পথে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৭ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তামিম। বাংলাদেশের প্রথম ও বিশ্বের ৪০তম ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন গেল বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিদায় বলা তামিম ইকবাল।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার

বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বে গতকালই ছিল শেষ দিনের খেলা।

বিপিএল জয়ে শীর্ষ চারে খুলনা টাইগার্স

আপডেট সময় ০৪:৪০:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

সোনালী রাজশাহী খেলাধুলা :  বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বে গতকালই ছিল শেষ দিনের খেলা। এদিন সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে তামিমের খুলনার মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ঘরের মাঠে নিজ দলকে শেষ বারের মতো সমর্থন দিতে এদিন মাঠে দর্শক এসেছিল অন্যদিনের চেয়ে অনেক বেশি।

১৫৭ রানের জবাবে ৪ বল বাকি থাকতেই মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তামিমরা।

শুক্রবার গ্যালারিপূর্ণ দর্শকে দিনের শুরুটা ছিল খুলনারই। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রামের দ্বিতীয় ওভারেই ম্যাক্স’ও দাউদের উইকেট তুলে নিয়ে খুলনাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাইফউদ্দিন। তবে দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খান ও আফিফ হোসেন প্রাথমিক বিপর্যয় সামলিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়লে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল বড় সংগ্রহ পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম। তবে উসমান খান ৪৫ ও আফিফ ৩৫ রান করে আউট হলে মাঝারি মানের সংগ্রহেই (১৫৭) সন্তুষ্ট থাকতে হয় স্বাগতিকদের। এছাড়া এদিন খুলনার পক্ষে ওয়াহাব রিয়াজ চট্টগ্রামের ৪ উইকেট তুলে নেওয়ার পরে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৪০০ উইকেট শিকারির ক্লাবে প্রবেশ করেন।

চট্টগ্রামের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো ছিল না খুলনার। প্রথম ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই চট্টগ্রামের অধিনায়কের বলে ফিরতি ক্যাচ দেন ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। যদিও শুরুর সে সাফল্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি স্বাগতিকদের। দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে তামিম ইকবাল ১০৪ রানের জুটি গড়ে দলকে প্রাথমিক জয়ের ভিত গড়ে দেন। ১টি ছক্কা ও ৪টি বাউন্ডারিতে ৪৪ রান করে তামিম ইকবাল এবং ৫টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৯ রান করে ম্যাচ সেরা মাহমুদুল হাসান জয় আউট হলে স্বাগতিক দর্শকরা আশাবাদী হয়েছিল চট্টগ্রামের ম্যাচে ফেরার। কিন্তু অধিনায়ক ইয়াসির আলীর ১৭ বলে ঝোড়ো ৩৬ রান এবং আজম খানের ১৬ বলে সময়োপযোগী ১৫ রানের দৃঢ়তায় সহজ জয়েই মাঠ ছাড়ে খুলনা।

এ জয়ে খুলনার পয়েন্ট চট্টগ্রামের সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে আসে তামিম-ইয়াসিরদের খুলনা টাইগার্স। এদিকে এদিন ম্যাচ জয়ের সঙ্গে দেশ সেরা ব্যাটার তামিমের সাফল্যের মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত হয়। ৪৪ রান করার পথে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৭ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তামিম। বাংলাদেশের প্রথম ও বিশ্বের ৪০তম ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন গেল বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিদায় বলা তামিম ইকবাল।