♦সোনালী রাজশাহী ডেস্ক : মাদক উদ্ধারে সারাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে রাজশাহী জেলা পুলিশ।
মাদক উদ্ধারে রাজশাহী জেলা পুলিশ সারাদেশে তৃতীয় স্থান অধিকার করায় বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নিকট থেকে পুরস্কার পেয়েছেন রাজশাহীর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার)।
রাজশাহী জেলা পুলিশ সূপার জনাব এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম বার এর দিক নিদর্শনায় জেলার সকল প্রকার মাদক বিরোধী অভিযানে জেলা পুলিশ দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাদক নির্মুলে অভিযান চালিয়ে আসছে। তারই ফলশ্রুপ হিসেবে মাদক উদ্ধারে সারা বাংলাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে রাজশাহী জেলা পুলিশ।
এই পুরষ্কার পেয়ে নিজেদের গর্বিত মনে করছেন জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল অফিসার ও কর্মকর্তারা ।
মাদকের ভয়াবহ ছবল: তরুন যুবকরা রাষ্ট্র, জাতি ও সমাজের উজ্জ্বল নক্ষত্র, জাতির আগামী দিনের কর্ণধার। তরুণ প্রজন্মই আমাদের দেশ-জাতিকে ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে টেনে নেয়ার বিরাট ভূমিকা রাখে এবং রেখে আসছে যুগে যুগে। তবে আমাদের দেশের তরুণ ও যুব সমাজের একাংশ নানাভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে মরণ নেশা মাদকের সঙ্গে। এ নেশা এমনই এক নেশা ধীরে ধীরে বিবর্ণ করে দিচ্ছে আমাদের সবুজ তারুণ্যকে। নষ্ট করে দিচ্ছে দেশের ভবিষ্যত। আমাদের দেশের রয়েছে পর্যাপ্ত তারুণ্যনির্ভর জনশক্তি। দেশের এ মূল্যবান সম্পদ মাদকের চোরাচালান ও অপব্যবহারের কবলে পড়ে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। নেশার ছোবলে পড়ে এ যুবসমাজ কর্মশক্তি।
মাদক বিক্রেতারা দেশের প্রচলিত আইনকে অমান্য করে নেশার অতলে ডুবিয়ে রেখেছে শহর ও গ্রামগঞ্জকে। বেকারত্বের অভিশাপের পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে তরুণরা মাদকাসক্ত হচ্ছে। কেউ কেউ অন্যের সংস্পর্শে গিয়ে এই নেশা দ্রব্যকে গ্রহণ করছে। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত অভিভাবক মহল সন্তানকে শাসনে না রাখতে পেরে দ্বারস্থ হচ্ছে আইনের। মাদকদ্রব্য বেচাকেনা রোধকল্পে রাজশাহী জেলা প্রশাসন মহল মাদক উদ্ধারে কঠোর ভুমিকা নেই।