ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার বর্তমান সমাজে মারাত্মক এক ব্যাধির নাম ইভটিজিং বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  বিজয় নৌকার প্রার্থী খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু রাজশাহী শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার অসহায় বৃদ্ধা আলেয়া পেলেন চোখ অপারেশনের টাকা তীব্র তাপপ্রবাহের পর গোদাগাড়ীতে দেখা মিললো সস্তির বৃষ্টি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বনানী ঘোষ মারা গেছেন দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ এক যুবক গ্রেপ্তার নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রভাব সৃষ্টি করলে ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হবে: সিইসি
সারাদেশে তৃতীয় স্থান অধিকার করায় আইজিপির নিকট থেকে  পুরস্কার পেয়েছেন   সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার)।

মাদক উদ্ধারে সারাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে রাজশাহী জেলা পুলিশ

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ০৪:০২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

♦সোনালী রাজশাহী ডেস্ক : মাদক উদ্ধারে সারাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে রাজশাহী জেলা পুলিশ।

মাদক উদ্ধারে রাজশাহী জেলা পুলিশ  সারাদেশে তৃতীয় স্থান অধিকার করায়  বাংলাদেশ পুলিশের  মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নিকট থেকে  পুরস্কার পেয়েছেন  রাজশাহীর জেলার  সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার)।

রাজশাহী জেলা পুলিশ সূপার জনাব এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম বার এর দিক নিদর্শনায় জেলার সকল প্রকার মাদক বিরোধী অভিযানে জেলা পুলিশ  দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাদক নির্মুলে অভিযান চালিয়ে আসছে। তারই ফলশ্রুপ হিসেবে মাদক উদ্ধারে সারা বাংলাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন  করেছে রাজশাহী জেলা পুলিশ।

এই পুরষ্কার পেয়ে নিজেদের  গর্বিত মনে করছেন জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল অফিসার ও কর্মকর্তারা ।

মাদকের ভয়াবহ ছবল:  তরুন যুবকরা রাষ্ট্র, জাতি ও সমাজের উজ্জ্বল নক্ষত্র, জাতির আগামী দিনের কর্ণধার। তরুণ প্রজন্মই আমাদের দেশ-জাতিকে ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে টেনে নেয়ার বিরাট ভূমিকা রাখে এবং রেখে আসছে যুগে যুগে। তবে আমাদের দেশের তরুণ ও যুব সমাজের একাংশ নানাভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে মরণ নেশা মাদকের সঙ্গে। এ নেশা এমনই এক নেশা ধীরে ধীরে বিবর্ণ করে দিচ্ছে আমাদের সবুজ তারুণ্যকে। নষ্ট করে দিচ্ছে দেশের ভবিষ্যত। আমাদের দেশের রয়েছে পর্যাপ্ত তারুণ্যনির্ভর জনশক্তি। দেশের এ মূল্যবান সম্পদ মাদকের চোরাচালান ও অপব্যবহারের কবলে পড়ে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। নেশার ছোবলে পড়ে এ যুবসমাজ কর্মশক্তি।

  মাদকাসক্ত হয়ে পৃথিবীতে কেউ কিছুই করতে পারেনি নিজেকে ধ্বংস ছাড়া। তাই আসুন মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে সামাজিক আন্দোলন শুরু করি। মাদকমুক্ত সমাজই হোক তারণ্যের  সমাজ।

 

মাদক বিক্রেতারা দেশের প্রচলিত আইনকে অমান্য করে  নেশার অতলে ডুবিয়ে রেখেছে শহর ও গ্রামগঞ্জকে। বেকারত্বের অভিশাপের পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে তরুণরা মাদকাসক্ত হচ্ছে। কেউ কেউ অন্যের সংস্পর্শে গিয়ে এই নেশা দ্রব্যকে গ্রহণ করছে। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত অভিভাবক মহল সন্তানকে শাসনে না রাখতে পেরে দ্বারস্থ হচ্ছে আইনের। মাদকদ্রব্য বেচাকেনা রোধকল্পে রাজশাহী জেলা প্রশাসন মহল মাদক উদ্ধারে  কঠোর ভুমিকা  নেই।

মাদক বিক্রেতাদের অধিকাংশই জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে নতুন লোক নিয়োগ করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাদকদ্রব্য ব্যক্তিকে শুধু শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, সমাজেও এর ক্ষতিকর প্রভাব ছড়িয়ে দেয়। মাদকদ্রব্য গ্রহণের ফলে মাদকাসক্ত ব্যক্তি বদহজম, চরম অবসাদ, আত্মহত্যার প্রবণতা, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, অসংলগ্ন ব্যবহার, দুর্বলচিত্ততা এবং হতাশা ইত্যাদি মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়। এ সামাজিক ব্যাধি থেকে তরুণ সমাজকে যে কোনো মূল্যে রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মাদকদ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারিভাবে কঠোর আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে জোর প্রচারণা চালাতে হবে, যাতে মাদকের কুফল সম্পর্কে জনগণ সচেতন হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং সংগঠনকেও এগিয়ে আসতে হবে এ ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য পুলিশের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তিকে মাদকের কুফল সম্পর্কে অবশ্য সচেতন হতে হবে। একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে সমন্বিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে আসতে হবে। এ অপরাধ আমাদের সমাজ বিবেককে প্রতিনিয়ত কুরে কুরে খেয়ে ধ্বংসের অতলগহ্বরে নিয়ে যাচ্ছে। এসব অপরাধ প্রবণতার পেছনে নানাবিধ কারণ বিরাজ করছে।
 বিদ্যমান আইনের সঠিক ও কঠোর প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীকে মানসিক দিক থেকে সংশোধনের প্রচেষ্টা চালানো উচিত। যাতে এ অপরাধ থেকে মুক্ত হয়ে সে বুঝতে পারে ইতোপূর্বে সে যা করেছে তা ব্যক্তি, সমাজ ও দেশের জন্য ক্ষতিকর। তাহলেই অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার

সারাদেশে তৃতীয় স্থান অধিকার করায় আইজিপির নিকট থেকে  পুরস্কার পেয়েছেন   সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার)।

মাদক উদ্ধারে সারাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে রাজশাহী জেলা পুলিশ

আপডেট সময় ০৪:০২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩

♦সোনালী রাজশাহী ডেস্ক : মাদক উদ্ধারে সারাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে রাজশাহী জেলা পুলিশ।

মাদক উদ্ধারে রাজশাহী জেলা পুলিশ  সারাদেশে তৃতীয় স্থান অধিকার করায়  বাংলাদেশ পুলিশের  মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নিকট থেকে  পুরস্কার পেয়েছেন  রাজশাহীর জেলার  সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার)।

রাজশাহী জেলা পুলিশ সূপার জনাব এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম বার এর দিক নিদর্শনায় জেলার সকল প্রকার মাদক বিরোধী অভিযানে জেলা পুলিশ  দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাদক নির্মুলে অভিযান চালিয়ে আসছে। তারই ফলশ্রুপ হিসেবে মাদক উদ্ধারে সারা বাংলাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন  করেছে রাজশাহী জেলা পুলিশ।

এই পুরষ্কার পেয়ে নিজেদের  গর্বিত মনে করছেন জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল অফিসার ও কর্মকর্তারা ।

মাদকের ভয়াবহ ছবল:  তরুন যুবকরা রাষ্ট্র, জাতি ও সমাজের উজ্জ্বল নক্ষত্র, জাতির আগামী দিনের কর্ণধার। তরুণ প্রজন্মই আমাদের দেশ-জাতিকে ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে টেনে নেয়ার বিরাট ভূমিকা রাখে এবং রেখে আসছে যুগে যুগে। তবে আমাদের দেশের তরুণ ও যুব সমাজের একাংশ নানাভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে মরণ নেশা মাদকের সঙ্গে। এ নেশা এমনই এক নেশা ধীরে ধীরে বিবর্ণ করে দিচ্ছে আমাদের সবুজ তারুণ্যকে। নষ্ট করে দিচ্ছে দেশের ভবিষ্যত। আমাদের দেশের রয়েছে পর্যাপ্ত তারুণ্যনির্ভর জনশক্তি। দেশের এ মূল্যবান সম্পদ মাদকের চোরাচালান ও অপব্যবহারের কবলে পড়ে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। নেশার ছোবলে পড়ে এ যুবসমাজ কর্মশক্তি।

  মাদকাসক্ত হয়ে পৃথিবীতে কেউ কিছুই করতে পারেনি নিজেকে ধ্বংস ছাড়া। তাই আসুন মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে সামাজিক আন্দোলন শুরু করি। মাদকমুক্ত সমাজই হোক তারণ্যের  সমাজ।

 

মাদক বিক্রেতারা দেশের প্রচলিত আইনকে অমান্য করে  নেশার অতলে ডুবিয়ে রেখেছে শহর ও গ্রামগঞ্জকে। বেকারত্বের অভিশাপের পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে তরুণরা মাদকাসক্ত হচ্ছে। কেউ কেউ অন্যের সংস্পর্শে গিয়ে এই নেশা দ্রব্যকে গ্রহণ করছে। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত অভিভাবক মহল সন্তানকে শাসনে না রাখতে পেরে দ্বারস্থ হচ্ছে আইনের। মাদকদ্রব্য বেচাকেনা রোধকল্পে রাজশাহী জেলা প্রশাসন মহল মাদক উদ্ধারে  কঠোর ভুমিকা  নেই।

মাদক বিক্রেতাদের অধিকাংশই জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে নতুন লোক নিয়োগ করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাদকদ্রব্য ব্যক্তিকে শুধু শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, সমাজেও এর ক্ষতিকর প্রভাব ছড়িয়ে দেয়। মাদকদ্রব্য গ্রহণের ফলে মাদকাসক্ত ব্যক্তি বদহজম, চরম অবসাদ, আত্মহত্যার প্রবণতা, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, অসংলগ্ন ব্যবহার, দুর্বলচিত্ততা এবং হতাশা ইত্যাদি মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়। এ সামাজিক ব্যাধি থেকে তরুণ সমাজকে যে কোনো মূল্যে রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মাদকদ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারিভাবে কঠোর আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে জোর প্রচারণা চালাতে হবে, যাতে মাদকের কুফল সম্পর্কে জনগণ সচেতন হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং সংগঠনকেও এগিয়ে আসতে হবে এ ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য পুলিশের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তিকে মাদকের কুফল সম্পর্কে অবশ্য সচেতন হতে হবে। একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে সমন্বিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে আসতে হবে। এ অপরাধ আমাদের সমাজ বিবেককে প্রতিনিয়ত কুরে কুরে খেয়ে ধ্বংসের অতলগহ্বরে নিয়ে যাচ্ছে। এসব অপরাধ প্রবণতার পেছনে নানাবিধ কারণ বিরাজ করছে।
 বিদ্যমান আইনের সঠিক ও কঠোর প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীকে মানসিক দিক থেকে সংশোধনের প্রচেষ্টা চালানো উচিত। যাতে এ অপরাধ থেকে মুক্ত হয়ে সে বুঝতে পারে ইতোপূর্বে সে যা করেছে তা ব্যক্তি, সমাজ ও দেশের জন্য ক্ষতিকর। তাহলেই অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে।