যারা পরীক্ষায় এ+ পায়নি, তাদের জীবন কি তাহলে এখানেই শেষ?
একাডেমিক এ+ পাওয়া আর ব্যক্তি জীবনে এ+ পাওয়া একই কথা নয়। পরিশ্রম করেও অনেক সময় এ+ পাওয়া যায় না। কিন্তু, তাই বলে সেই পরিশ্রম কি বৃথা?
-কখনোই না। বরং, তুমি যা শিখেছো পরিশ্রমের মাধ্যমে, সেই শেখাটাই তোমার ব্যক্তি জীবনকে এ+ বানাবে।
আর যেসব অভিভাবক ভাবছেন- আপনার ছেলে/মেয়ে, ভাই/বোন কিংবা নিকট আত্মীয়ের কেউ একজন এ+ পায়নি বলে, সে ব্যর্থ বা অসফল; তাহলে আপনারা ভুল করবেন।
তার চেয়ে বরং আপনারা তাদের দক্ষতা ও নতুন নতুন শেখার ওপর জোর দিন। মনুষ্যত্ববোধসম্পন্ন মানুষ হতে সাহায্য করুন। দিন শেষে তারাই সফল হবে, যদি তারা সত্যিকারের পরিশ্রমী আর দক্ষতা অর্জন করতে পারে। ফেসবুককে স্ট্যাটাস দিয়ে এমন মন্তব্য করেন বাংলাদেশ পুলিশের এক নারী কর্মকর্তা।
তিনি বলেন আমার এসএসসি ও এইচএসসি কোনোটায়ই এ+ ছিল না। আমার রেজাল্ট যা-ই হতো, কোনো রেজাল্টই আমাকে হতাশ করতে পারেনি। সাময়িক খারাপ লেগেছে হয়তো। কিন্তু আমি বিশ্বাস করতাম যে, আমার পরিশ্রমের প্রতিদান তাৎক্ষণিকভাবে না পেলেও একদিন পাবো, ইনশাআল্লাহ।
আমার স্কুলের যে ৩জন ক্লাসমেটরা এ+ পেয়েছিল, তাদের একজন এইচএসসিতে ফেল করেছে! আরেকজন হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে জব করছে। আরেকজন শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই করতে পারেননি।