ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার বর্তমান সমাজে মারাত্মক এক ব্যাধির নাম ইভটিজিং বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  বিজয় নৌকার প্রার্থী খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু রাজশাহী শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার অসহায় বৃদ্ধা আলেয়া পেলেন চোখ অপারেশনের টাকা তীব্র তাপপ্রবাহের পর গোদাগাড়ীতে দেখা মিললো সস্তির বৃষ্টি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বনানী ঘোষ মারা গেছেন দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ এক যুবক গ্রেপ্তার নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রভাব সৃষ্টি করলে ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হবে: সিইসি

রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে খেজুরের গুনাবলি

 

 

সোনালী রাজশাহী : খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার যা রক্তের সঙ্গে মিশে যায় আবার যেগুলো মেসে না এই দুইধরনের ফাইবারই পাওয়া যায় খেজুরে। ফাইবার আমাদের শরীরের রক্তশর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের পেটও অনেক্ষন ভরা থাকে। রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা ঠিক রাখে ও খাদ্যনালীকে সুস্থ রাখে।

খেজুরে বিভিন্ন ক্ষতিকর চর্বি যাকে ইংরেজিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা ট্রান্স ফ্যাট বলা হয় সেসব থাকে না। এছাড়া খেজুরে সোডিয়াম কিংবা কোলেস্টরল থাকে না বলে খেজুর হৃদযন্ত্রের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া খেজুর শরীরের খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কম করতেও সাহায্য করে। খেজুরে পটাসিয়াম থাকে বলে হৃদ কম্পন ঠিক রাখে ও রক্তচাপ কম করে।  ফলটিতে অনেক পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে ও অনেক কম সোডিয়াম রয়েছে বলে স্নায়ুর পক্ষে খেজুর খুব ভালো।

 

খেজুর মস্তিষ্কের জন্য ভালো। 
আপনি কি জানেন, খেজুরের মধ্যে আঁশ রয়েছে? আঁশ হজম ভালো করতে সাহায্য করে। তাই খেজুর খেলে হজম ভালো হয়।

এ ছাড়া খেজুর পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে খেজুর খুব উপকারী। এটি রক্তচাপ ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে।

খেঁজুরের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক সুগারের জন্য এটি খেতে খুব সুস্বাদু। দিনে কেবল তিনটি খেজুর খাওয়া ভিটামিনের চাহিদা অনেকটাই পূরণে কাজ করে। প্রতিদিন তিনটি খেজুর খাওয়ার আরো কিছু উপকারিতার কথা জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।

আয়রনের চমৎকার উৎস

যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাদের খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখা প্রয়োজন। ১০০ গ্রাম খেজুরে ০.০৯ গ্রাম আয়রন থাকে। এটি শরীরের প্রতিদিনের আয়রনের চাহিদার ১১ ভাগ পূরণ করে। আয়রন রক্তস্বল্পতার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

চোখ ভালো রাখতে

খেজুরের মধ্যে রয়েছে জিক্সাথিন ও লিউটেইন। এগুলো ম্যাকুলার ও রেটিনার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে।  

কোষ্ঠকাঠিন্য

আপনি কি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? ঘুমানোর আগে কিছু খেজুর খান। এরপর এক গ্লাস পানি পান করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই কমবে।

ওজনের ভারসাম্য রাখে

খেজুর অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এটি খেলে চিনি খাওয়ার ইচ্ছাও পূরণ হয়। তবে ওজন বাড়ে না।

হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে

নিয়মিত খেজুর খাওয়া হার্টের সমস্যা কমাতে উপকারী। এক গ্লাস পানির মধ্যে বিচি ফেলে কয়েকটি খেজুর রাখুন। পরের দিন সকালে খেজুরসহ এই পানি ব্ল্যান্ড করুন। দিনে কয়েকবার এই পানি খেতে পারেন। এটি হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে কাজ করে।   

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে

খেঁজুরের মধ্যে রয়েছে কম পরিমাণ সোডিয়াম। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খেঁজুর উপকারী।

স্ট্রোক প্রতিরোধ করে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

খেঁজুরের মধ্যে থাকে উচ্চ পরিমাণ পটাশিয়াম। এটি মস্তিষ্কের স্নায়বিক কার্যক্রম ভালো রাখে। উচ্চ পরিমাণ পটাশিয়াম স্ট্রোকের আশঙ্কা প্রতিরোধ করে।

এ ছাড়া খেঁজুরের মধ্যে রয়েছে ফসফরাস। এটি মস্তিষ্কের জন্য ভালো। এসব উপকারগুলো পেতে খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন অন্তত তিনটি খেজুর রাখুন। তবে যেকোনো খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই শরীরের অবস্থা বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার

রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে খেজুরের গুনাবলি

আপডেট সময় ০৭:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

 

 

সোনালী রাজশাহী : খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার যা রক্তের সঙ্গে মিশে যায় আবার যেগুলো মেসে না এই দুইধরনের ফাইবারই পাওয়া যায় খেজুরে। ফাইবার আমাদের শরীরের রক্তশর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের পেটও অনেক্ষন ভরা থাকে। রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা ঠিক রাখে ও খাদ্যনালীকে সুস্থ রাখে।

খেজুরে বিভিন্ন ক্ষতিকর চর্বি যাকে ইংরেজিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা ট্রান্স ফ্যাট বলা হয় সেসব থাকে না। এছাড়া খেজুরে সোডিয়াম কিংবা কোলেস্টরল থাকে না বলে খেজুর হৃদযন্ত্রের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া খেজুর শরীরের খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কম করতেও সাহায্য করে। খেজুরে পটাসিয়াম থাকে বলে হৃদ কম্পন ঠিক রাখে ও রক্তচাপ কম করে।  ফলটিতে অনেক পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে ও অনেক কম সোডিয়াম রয়েছে বলে স্নায়ুর পক্ষে খেজুর খুব ভালো।

 

খেজুর মস্তিষ্কের জন্য ভালো। 
আপনি কি জানেন, খেজুরের মধ্যে আঁশ রয়েছে? আঁশ হজম ভালো করতে সাহায্য করে। তাই খেজুর খেলে হজম ভালো হয়।

এ ছাড়া খেজুর পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে খেজুর খুব উপকারী। এটি রক্তচাপ ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে।

খেঁজুরের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক সুগারের জন্য এটি খেতে খুব সুস্বাদু। দিনে কেবল তিনটি খেজুর খাওয়া ভিটামিনের চাহিদা অনেকটাই পূরণে কাজ করে। প্রতিদিন তিনটি খেজুর খাওয়ার আরো কিছু উপকারিতার কথা জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।

আয়রনের চমৎকার উৎস

যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাদের খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখা প্রয়োজন। ১০০ গ্রাম খেজুরে ০.০৯ গ্রাম আয়রন থাকে। এটি শরীরের প্রতিদিনের আয়রনের চাহিদার ১১ ভাগ পূরণ করে। আয়রন রক্তস্বল্পতার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

চোখ ভালো রাখতে

খেজুরের মধ্যে রয়েছে জিক্সাথিন ও লিউটেইন। এগুলো ম্যাকুলার ও রেটিনার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে।  

কোষ্ঠকাঠিন্য

আপনি কি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? ঘুমানোর আগে কিছু খেজুর খান। এরপর এক গ্লাস পানি পান করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই কমবে।

ওজনের ভারসাম্য রাখে

খেজুর অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এটি খেলে চিনি খাওয়ার ইচ্ছাও পূরণ হয়। তবে ওজন বাড়ে না।

হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে

নিয়মিত খেজুর খাওয়া হার্টের সমস্যা কমাতে উপকারী। এক গ্লাস পানির মধ্যে বিচি ফেলে কয়েকটি খেজুর রাখুন। পরের দিন সকালে খেজুরসহ এই পানি ব্ল্যান্ড করুন। দিনে কয়েকবার এই পানি খেতে পারেন। এটি হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে কাজ করে।   

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে

খেঁজুরের মধ্যে রয়েছে কম পরিমাণ সোডিয়াম। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খেঁজুর উপকারী।

স্ট্রোক প্রতিরোধ করে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

খেঁজুরের মধ্যে থাকে উচ্চ পরিমাণ পটাশিয়াম। এটি মস্তিষ্কের স্নায়বিক কার্যক্রম ভালো রাখে। উচ্চ পরিমাণ পটাশিয়াম স্ট্রোকের আশঙ্কা প্রতিরোধ করে।

এ ছাড়া খেঁজুরের মধ্যে রয়েছে ফসফরাস। এটি মস্তিষ্কের জন্য ভালো। এসব উপকারগুলো পেতে খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন অন্তত তিনটি খেজুর রাখুন। তবে যেকোনো খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই শরীরের অবস্থা বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন