ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার বর্তমান সমাজে মারাত্মক এক ব্যাধির নাম ইভটিজিং বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  বিজয় নৌকার প্রার্থী খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু রাজশাহী শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার অসহায় বৃদ্ধা আলেয়া পেলেন চোখ অপারেশনের টাকা তীব্র তাপপ্রবাহের পর গোদাগাড়ীতে দেখা মিললো সস্তির বৃষ্টি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বনানী ঘোষ মারা গেছেন দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ এক যুবক গ্রেপ্তার নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রভাব সৃষ্টি করলে ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হবে: সিইসি

রাজশাহীতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রিকশা চালানো সেই সেন্টুর পাশে দাঁড়িয়েছেন ডিসি শামীম আহমেদ

সোনালী রাজশাহী : রাজশাহী শহরে  অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রিকশা চালানো সেই সেন্টুর পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে সেন্টু’র সঙ্গে কথা বলেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন,
তাকে রিকশা চালিয়ে আর সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতে হবে না। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অটোরিকশার পরিবর্তে তার বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

এসময় মাইনুরজ্জামান সেন্টু জেলা প্রশাসককে জানান, শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে চিকিৎসক তাকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ( Oxygen Concentrator) মেশিনটি কিনতে বলেছেন। এই মেশিন ছাড়া তার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব না। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই, এই মেশিনটির প্রয়োজন হবে।

এ কথা শুনে ডিসি শামীম আহমেদ বলেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টুকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন দেওয়া হবে। সেন্টুর চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে।

হাসপাতাল থেকে রিলিজ নেওয়ার পরে সেন্টুর অন্যান্য সমস্যাগুলোও শুনে সমাধান করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (গোপনীয় শাখা) মো. শামসুল ইসলাম।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন মাইনুরজ্জামান সেন্টু। দীর্ঘ সাত বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন তিনি।

গেল দেড় মাসে তিনবার রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সবশেষ গত পাঁচ মাস থেকে তার প্রতিদিন তিনটি অক্সিজেনসহ ওষুধ লাগে। তিনি রিকশা চালিয়ে নিজের অক্সিজেন ও সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতেন

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার

রাজশাহীতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রিকশা চালানো সেই সেন্টুর পাশে দাঁড়িয়েছেন ডিসি শামীম আহমেদ

আপডেট সময় ০১:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

সোনালী রাজশাহী : রাজশাহী শহরে  অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রিকশা চালানো সেই সেন্টুর পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে সেন্টু’র সঙ্গে কথা বলেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন,
তাকে রিকশা চালিয়ে আর সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতে হবে না। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অটোরিকশার পরিবর্তে তার বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

এসময় মাইনুরজ্জামান সেন্টু জেলা প্রশাসককে জানান, শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে চিকিৎসক তাকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ( Oxygen Concentrator) মেশিনটি কিনতে বলেছেন। এই মেশিন ছাড়া তার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব না। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই, এই মেশিনটির প্রয়োজন হবে।

এ কথা শুনে ডিসি শামীম আহমেদ বলেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টুকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন দেওয়া হবে। সেন্টুর চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে।

হাসপাতাল থেকে রিলিজ নেওয়ার পরে সেন্টুর অন্যান্য সমস্যাগুলোও শুনে সমাধান করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (গোপনীয় শাখা) মো. শামসুল ইসলাম।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন মাইনুরজ্জামান সেন্টু। দীর্ঘ সাত বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন তিনি।

গেল দেড় মাসে তিনবার রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সবশেষ গত পাঁচ মাস থেকে তার প্রতিদিন তিনটি অক্সিজেনসহ ওষুধ লাগে। তিনি রিকশা চালিয়ে নিজের অক্সিজেন ও সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতেন