সোনালী রাজশাহী নিউজ : রাজশাহীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাকে অপহরণের চেষ্টার সময় দুজন অপহরণকারী গ্রেফতার করছে পুলিশ। ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মারুফ হাসান (৪০) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রাজশাহীর পবা থানার বেতকুড়ি গ্রামের গোলাম মর্তুজার ছেলে মাবুদ সরকার অনিক (২৩) ও বোয়ালিয়া মডেল থানার বোষপাড়া তেতুলতলা এলাকার সেলিম আমজাদের ছেলে সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন (২১)। এ ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মোট আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি অনিক ব্যাংক কর্মকর্তা মারুফ হোসেনকে শনিবার রাতে বাসা থেকে ডেকে নিউমার্কেট এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিল। তারা মারুফের কাছে প্রথমে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামিরা মারুফকে অপহরণ করে মোটর সাইকেলে তোলার চেষ্টা করে। এ সময় মারুফের চিৎকারে প্রত্যক্ষদর্শী একজন পুলিশকে খবর দেয়। তখনই ওই এলাকায় টহলে থাকা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মারুফকে উদ্ধার করে এবং অনিক ও সাকিবুলকে আটক করে।
অপহরণের চেষ্টার শিকার মারুফ হোসেন প্রাইম ব্যাংকের ময়মনসিং সদর শাখায় সিনিয়র অফিসার পদে কর্মরত। তার বাড়ি রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার মুগাইপাড়া গ্রামে। তবে তিনি শহরের বোয়ালিয়া থানার অন্তর্গত উপশহর এলাকার ১ নম্বর সেক্টরে বসবাস করেন। সেখানে তিনি নতুন বাড়িও নির্মাণ করছেন। ছুটিতে তিনি বাড়িতে আসেন।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তাকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির অভিযোগে আটজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি পাঁচজন অজ্ঞাত আসামি। মামলায় এজাহারভুক্ত পালাতক অপর আসামির নাম মাসুদ রানা (৪১)। তিনি বাগমারা থানার মুগাইপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম কবিরাজের ছেলে।
তিনি বলেন, শনিবার রাতে ঘটনার সময় খবর পেয়ে পুলিশ ফারুফ হাসানকে উদ্ধার করে। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুইজনকে আটক করা গেলেও অন্যরা কৌশলে পালিয়ে গেছে। গ্রেফতারকৃত দুইজনকে রোববার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পালাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছেও বলে জানান ওসি।