আব্দুল কাদের নাহিদ,বাঘা: আম চাষের পাশাপাশি রাজশাহীতে ব্যাপকভাবে আঙুর ফল চাষের স্বপ্ন দেখছেন মেহেদী হাসান। পরিকল্পনা অনুযায়ী ফলাফলও ভাল পেয়েছেন। গাছে গাছে আঙুর ফলের যেমন ফলন হয়েছে তেমনি মিষ্টি হওয়াতে দিগুন উৎসাহ বেড়েছে চাষি মেহেদির।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় বসত বাড়িতে আঙুর ফল চাষ করে সফলতার পর এবার ২০ শতাংশ জমিতে ভারতীয় মিষ্টি আঙুর ফলের চারা রোপন করেছেন চাষি মেহেদি হাসান। উপজেলার ছাতারি গ্রামের মৃত ইমাম আলীর ছেলে মেহেদি হাসান। ২০১৭ সালে রাজশাহী কোর্ট কলেজ থেকে (সমাজবিজ্ঞান) বিভাগে অনার্স পাশের পর থেকে কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টায় নিয়োজিত হোন মেহেদি।
মেহেদি হাসান জানান, এক বছর আগে মাত্র ১৫ টি আঙুর ফলের চারা রোপন করেছিলেন বাড়ির আঙিনায় ফল মিষ্টি হচ্ছে দেখে এবার চাষ বৃদ্ধি করেছেন। স্থানীয় আরেক উদ্যোক্তা তারিফুন্নাবি তারিফ ও মেহেদি দুজন মিলে আঙুর ফলের চাষ সম্প্রসারণ করার লক্ষে এক সাথে কাজ করছেন । এ বছর বাগানের প্রতিটিা গাছে ১৫-২০ কেজি ফলের আশা করছেন তিনি।
মোট ৭০ গাছে এ বছর আঙুর এর ফলন পেয়েছেন মেহেদি গাছে ফল ধরা পর্যন্ত মোট খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। ফল বিক্রির আশা করছেন ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার। কৃষি অফিসের সহযোগিতে পেলে সামনে আরোও এগিয়ে যেতে পারবেন বলে মনে করেন মেহেদি। জৈষ্ঠের মাঝামাঝি সময়ে ফল সম্পুর্ন পাকবে।
মেহেদির বাড়িতে এখন নিয়মিত উপজেলার বিভিন্ন এলকা থেকে লোকজন বাড়িতে আসছেন আঙুর ফল দেখার জন্য স্থানীয় শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে আমাদের গ্রামের এমন মিষ্টি আঙুর খেয়ে আমি আশাবাদি আমের পাশাপাশি আমারও চেষ্টা করবো এর চাষ কারা জন্য।
বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য কৃষি অফিস সব সময় আন্তরিক বাঘা উপজেলার মাটি ফল চাষের জন্য উপযোগি মেহেদীর আঙুর ফল চাষাবাদে আগামীতে সব ধরনে সহযোগতা প্রদান করা হবে বলে জানান।