“রাজশাহী মহানগরীতে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার, সংঘবদ্ধ চোরচক্রের ৩ জন গ্রেফতার “
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো রাজশাহী মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার বায়া ভোলাবাড়ীর মো: রাকিব আলীর ছেলে মো: রিফাত (১৯)), বারইপাড়ার মৃত মাজেদের ছেলে মো: রাসেল আহম্মেদ (১৯) ও মৃত আসাদুলের ছেলে উজ্জ্বল (২০)।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গতকাল ৭ জানুয়ারি ২০২৩ বিকেল ৫.০০ ঘটিকায় উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহমখদুম) মো: নূর আলম সিদ্দিকীর সার্বিক দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: নূরে আলমের নেতৃত্বে শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মেহেদী হাসান, এসআই মো: রনি মিয়া ও তার টিম থানা এলাকায় বিশেষ টহল ডিউটি করছিল। এসময় থানা পুলিশের ঐ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, শাহমখদুম থানার দক্ষিণ নওদাপাড়া বটতলা মোড়ে কতিপয় ব্যক্তি চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রয় করার জন্য অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে শাহমখদুম থানার পুলিশের ঐ টিম বিকেল সাড়ে ৫ ঘটিকায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মো: রিফাতকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল-সহ আটক করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামি রিফাতকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, চোরাই মোটরসাইকেলটি তাকে রাসেল ও উজ্জ্বল বিক্রি করার জন্য দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায় যে, তাদের কাছে আরেকটি চোরাই মোটরসাইকেল বায়া বাজারের একটি বাসায় আছে। রিফাতের দেওয়া তথ্যমতে শাহমখদুম থানার ঐ টিম আজ ৮ জানুয়ারি ২০২৩ (৭ জানুয়ারি ২০২৩ দিবাগত) রাত ২.৩০ ঘটিকায় অভিযান পরিচালনা করে এয়ারপোর্ট থানার বায়া বাজারের একটি বাড়ি হতে আসামি রাসেল ও উজ্জ্বলকে ১ টি চোরাই মোটরসাইকেল-সহ আটক করেন। উল্লেখ্য, আসামিদের নিকট হতে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানায়, সন্তু ও মোমিন চোরাই মোটরসাইকেল ২ টি বিক্রি করার জন্য তাদের দিয়েছিল। আটককৃত আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত মোটর সাইকেল-সহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে বিক্রি করে থাকে বলে স্বীকার করে।
পুলিশ কর্তৃক ২ টি মোটরসাইকেল ও ২ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার সংক্রান্তে শাহমখদুম থানায় ১ টি উদ্ধারজনিত মামলা রুজু হয়েছে।