ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার বর্তমান সমাজে মারাত্মক এক ব্যাধির নাম ইভটিজিং বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  বিজয় নৌকার প্রার্থী খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু রাজশাহী শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার অসহায় বৃদ্ধা আলেয়া পেলেন চোখ অপারেশনের টাকা তীব্র তাপপ্রবাহের পর গোদাগাড়ীতে দেখা মিললো সস্তির বৃষ্টি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বনানী ঘোষ মারা গেছেন দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ এক যুবক গ্রেপ্তার নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রভাব সৃষ্টি করলে ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হবে: সিইসি

রাতে ফল চুরি, পরেরদিন চিঠি দিয়ে ফেরত দিল চুরি করা ফল

সোনালী রাজশাহী : রাতের আধারে কোনো এক সময়  করেছেন ফল চুরি। আর সকালে শুনেছেন বিভিন্ন প্রকারের বকাঝকাসহ নানা কথা। বুঝতে পেরে চিঠির মাধ্যমে মালিকের কাছে ক্ষমা চেয়েছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। একইসঙ্গে চুরির ফল রাতের আঁধারে মালিকের বাড়িতে রেখে যায় তারা।

এমনই এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে।

মালিকের বাড়িতে চুরি করা ফল পৌঁছে দেওয়া এবং চিঠির মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন সব মহলে আলোচনা চলছে।

স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায় , গত কয়েকদিন ধরে বাউতলা গ্রামে পেঁপে, কলা, আমসহ নানা প্রকারের ফল চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শখের বসে বাড়ির আশপাশে লাগানো নানা প্রকারের ফল-ফলাদি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ফল-ফলাদি চুরি হওয়ায় অনেকের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সর্বশেষ ঐ গ্রামের আবু তাহের মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার এবং সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি থেকে কলা ও পেঁপে চুরি হয়।

এ নিয়ে আসমা আক্তার কষ্টে বকাঝকা করেন। বিষয়টি চোরের মনে নাড়া দেয়। তাই দুইদিন আগে রাতের কোনো এক সময় তার বারান্দায় চুরি হওয়া একটি পাকা কলার বড় কাদি রেখে যান। একইসঙ্গে তারা একটি চিঠিও দিয়ে যান।

ঐ চিঠিতে চোরের দল উল্লেখ করে- আমরা আপনার কলা গাছ থেকে কলা চুরি করেছি। তাই আপনারা আমাদেরকে গালাগালি করেছেন। আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই আমাদের পরিমাণ মতো কলা খেয়ে বাকিটা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদেরকে মাফ করে দেন। আর যদি গালাগালি করেন তাহলে বাকি কলা নিয়ে যাব।

এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাড়িতে কোনো গাছের ফল-ফলাদি রাখা যাচ্ছে না। শখ করে বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে কলা, পেঁপেসহ নানা প্রকারের ফলের গাছ লাগানো হয়। অনেক গাছে ফল এসেছে। কিন্তু কে বা কারা রাতের আঁধারে নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, একটি চিঠি পাওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সন্দেহমূলক ছেলেদের হাতের লেখা দেখলে বুঝতে পারা যাবে এ কাজগুলো কারা করছে। সবার মাঝে কৌতূহল জেগেছে- গ্রামে এসব কারা করছে সে বিষয়ে জানার জন্য।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু কালাম বলেন, মৌসুমি ফল মানুষ শখ করে বাড়ির আশপাশে লাগিয়ে থাকেন। এসব চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা দুঃখজনক 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার

রাতে ফল চুরি, পরেরদিন চিঠি দিয়ে ফেরত দিল চুরি করা ফল

আপডেট সময় ০২:৩৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

সোনালী রাজশাহী : রাতের আধারে কোনো এক সময়  করেছেন ফল চুরি। আর সকালে শুনেছেন বিভিন্ন প্রকারের বকাঝকাসহ নানা কথা। বুঝতে পেরে চিঠির মাধ্যমে মালিকের কাছে ক্ষমা চেয়েছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। একইসঙ্গে চুরির ফল রাতের আঁধারে মালিকের বাড়িতে রেখে যায় তারা।

এমনই এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে।

মালিকের বাড়িতে চুরি করা ফল পৌঁছে দেওয়া এবং চিঠির মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন সব মহলে আলোচনা চলছে।

স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায় , গত কয়েকদিন ধরে বাউতলা গ্রামে পেঁপে, কলা, আমসহ নানা প্রকারের ফল চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শখের বসে বাড়ির আশপাশে লাগানো নানা প্রকারের ফল-ফলাদি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ফল-ফলাদি চুরি হওয়ায় অনেকের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সর্বশেষ ঐ গ্রামের আবু তাহের মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার এবং সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি থেকে কলা ও পেঁপে চুরি হয়।

এ নিয়ে আসমা আক্তার কষ্টে বকাঝকা করেন। বিষয়টি চোরের মনে নাড়া দেয়। তাই দুইদিন আগে রাতের কোনো এক সময় তার বারান্দায় চুরি হওয়া একটি পাকা কলার বড় কাদি রেখে যান। একইসঙ্গে তারা একটি চিঠিও দিয়ে যান।

ঐ চিঠিতে চোরের দল উল্লেখ করে- আমরা আপনার কলা গাছ থেকে কলা চুরি করেছি। তাই আপনারা আমাদেরকে গালাগালি করেছেন। আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই আমাদের পরিমাণ মতো কলা খেয়ে বাকিটা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদেরকে মাফ করে দেন। আর যদি গালাগালি করেন তাহলে বাকি কলা নিয়ে যাব।

এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাড়িতে কোনো গাছের ফল-ফলাদি রাখা যাচ্ছে না। শখ করে বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে কলা, পেঁপেসহ নানা প্রকারের ফলের গাছ লাগানো হয়। অনেক গাছে ফল এসেছে। কিন্তু কে বা কারা রাতের আঁধারে নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, একটি চিঠি পাওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সন্দেহমূলক ছেলেদের হাতের লেখা দেখলে বুঝতে পারা যাবে এ কাজগুলো কারা করছে। সবার মাঝে কৌতূহল জেগেছে- গ্রামে এসব কারা করছে সে বিষয়ে জানার জন্য।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু কালাম বলেন, মৌসুমি ফল মানুষ শখ করে বাড়ির আশপাশে লাগিয়ে থাকেন। এসব চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা দুঃখজনক