নিউজ ডেস্ক : রাত পোহালেই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) ভোটগ্রহণ শুরু হবে। এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) অন্যান্য সরঞ্জাম বিতরণ শেষ করেছেন প্রিসাইডিং অফিসাররা।
বুধবার (২৪ মে) দুপুরের পর থেকে গাজীপুর মহানগরের পাঁচটি আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।
নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে জিএমপি কমিশনার বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আছে। যে কোনো বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার যোগাযোগ করে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। ভোটকেন্দ্র সঠিকভাবে আছে কিনা, নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি আছে কিনা, কোথায় নিরাপত্তার ঝুঁকি, এসব বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। আমাদের পারস্পারিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা যাতে নির্বাচনটা সঠিকভাবে করতে পারি।
যখন ভোট গ্রহণ শুরু হবে, তখন সবাই যাতে লাইনে দাঁড়াতে পারে, কেউ যেন পেশীশক্তি ব্যবহার করতে না পারে, কেউ যাতে ও মাস্তানি করতে না পারে এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। ভোটার ও জনগণের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করতে হবে। আমাদের অনেক মা-বোনেরা আছেন, তাদের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করতে হবে। অনেক ভোটার আসবে হয়তো চোখে দেখে না, হাঁটতে পারে না, যেভাবে সাহায্য করা যায় সাহায্য করবেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক প্রেস বিফিংয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচন উপলক্ষে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। নির্বাচনে যেসব কেন্দ্র অতি গুরুত্বপূর্ণ, সেসব কেন্দ্রে বেশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়ার যেসব কথার প্রচলন রয়েছে, এমন কোনো ঘটনা ঘটবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গাজীপুরবাসীকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দিতে চাই। আমাদের কিছু কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ আছে। সেই কেন্দ্রগুলোকে আমরা আলাদাভাবে নজরদারিতে রাখব এবং সেখানে ফোর্স বাড়িয়ে দেব। সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি। সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলার কোনো ব্যত্যয় ঘটলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’