শাহ্ সোহানুর রহমানঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় তৃতীয়পক্ষের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে কি না- তা খতিয়ে দেখার আহবান জানানো হয়েছে। রবিবার (১২ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজশাহী জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ আহবান জানানো হয়। রাবি প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মাদার বখশ্-এর নাতি এবং রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সভাপতি সাইদুর রহমান এ আহবান জানান।
সভায় তিনি বলেন, আশির দশকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অশান্ত করতে বুধপাড়া, চৌদ্দপাই, খড়খড়িসহ ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকার লোকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হত। দীর্ঘদিন থেকে রাবি শান্ত থাকলেও অশান্ত করতেই সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে কি না খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ সময় রাজশাহীর এক আওয়ামী লীগ নেতার নামে ভাইরাল হওয়া ভিডিও এবং ওয়ার্কার্স পার্টির দুই নেতাকে বহিস্কার ইস্যুতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না ঘটে, সে ব্যাপারে সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন তিনি।
এদিকে রাবি শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার (১২ মার্চ) বিকেলে এক ভিডিও বার্তায় রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক সাইদুর রহমান বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এখানে কিন্তু অভিভাবক নেই। ব্যবসায়ীরা-এলাকাবাসী শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। তারা ছাত্রদের আশ্রয় না দিয়ে মারামারিতে কেন জড়াচ্ছে? এ ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।’ তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানাই। তবে কেন এ হামলা হলো এটাও খতিয়ে দেখতে হবে। একতরফা নিউজ প্রচার করা ঠিক না। সব মহলের বক্তব্য তুলে ধরাই সাংবাদিকদের দায়িত্ব। সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা দরকার।
রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি বলেন, অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জননেতা মাদার বখশ্ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটা আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়। এ মারামারিতে কী হবে- ক্ষতি কিন্তু ব্যবসায়ীদেরই হবে। দীর্ঘদিন দোকানপাট বন্ধ থাকবে, ব্যবসা লাটে উঠবে। রাজশাহীর বিনোদপুরের ব্যবসা-বাণিজ্য নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর, এটা ভুলে গেলে চলবে না। সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে সবাইকে ভূমিকা রাখারও আহবান জানান ভাষাসৈনিকের এ সন্তান।