ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার বর্তমান সমাজে মারাত্মক এক ব্যাধির নাম ইভটিজিং বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  বিজয় নৌকার প্রার্থী খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু রাজশাহী শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার অসহায় বৃদ্ধা আলেয়া পেলেন চোখ অপারেশনের টাকা তীব্র তাপপ্রবাহের পর গোদাগাড়ীতে দেখা মিললো সস্তির বৃষ্টি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বনানী ঘোষ মারা গেছেন দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ এক যুবক গ্রেপ্তার নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রভাব সৃষ্টি করলে ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হবে: সিইসি
শিশুর জন্মের প্রথম তিন বছরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

শিশুর মেধা বিকাশে যেসব খাবার প্রয়োজনীয়

শিশুর জন্মের প্রথম তিন বছরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মেধা বিকাশে এই সময়ে তাই শিশুর খাবার নির্বাচন করতে হবে অনেক ভেবে চিন্তে”

শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাবিশ্বে স্বীকৃত শিশুর মেধা বিকাশে ও মস্তিষ্ক গঠনে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো সুপার ফুড হিসেবে দারুণ কাজ করে।

ডিম: মস্তিষ্ক গঠনের পাশাপাশি মেধা বিকাশে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম এমন খাবারের তালিকায় একেবারে প্রথমদিকে রয়েছে ডিমের নাম। ডিমের আয়রন লোহিত কণিকা তৈরি করে রক্তের উপাদানে সঠিক মাত্রা বজায় রাখে। এর ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে। যা ধীরে ধীরে শিশুর চিন্তাশক্তি ও বুদ্ধিমত্তা বাড়িয়ে তোলে।

কলা: শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে প্রতিদিন একটি করে কলা ডায়েটে প্রাধান্য দিতে পারেন। কলাতে থাকা শর্করা দীর্ঘক্ষণ শরীরে শক্তি ধরে রাখতে পারে। যা শিশুর যেকোনো বিষয়ে  মনোযোগ বাড়িয়ে তোলার মাধ্যমে মস্তিস্কের প্রখরতা দৃঢ় করে।

বাদাম: বাদামে থাকা ভিটামিন ই শিশুর মস্তিষ্কের সমন্বয় সাধনের ক্ষমতা বাড়ায়। তাই প্রতিদিন বিকেলে শিশুকে বাইরের খাবার না কিনে দিয়ে ওর হাতে তুলে দিতে পারেন ৮ থেকে ১০ টি বাদাম।

মধু: প্রাকৃতিক উপাদানে ভরপুর একটি খাবার হলো মধু। ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলো থাকার কারণে মধু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি শিশুর হার্ট ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দারুণ কাজ করে।

পালং শাক: শিশুর দুপুরের খাবারে চেষ্টা করুন নিয়মিত পালং শাক রাখতে। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এবং বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। যা শিশুর মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তিকে বাড়িয়ে তোলে।

মাছের তেল: মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা দ্রুত বাড়িয়ে তুলতে পারে মাছের তেল। খাবারে তাই মাছের তেলে প্রাধান্য দিন। বেশি ভালো ফলাফল পেতে সামুদ্রিক মাছ ও এর তেল শিশুর খাবারে প্রাধান্য দিতে পারেন।

এই ৬ খাবার ছাড়াও শিশুকে খাওয়াতে পারেন কর্নফ্লেকস, শুকনো ফল, কিউই, পনির, আখরোট, স্ট্রবেরি, আমলকী, কালোজিরা, লাল আপেল ইত্যাদি। এসব খাবার নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাসে শিশুর মস্তিষ্কের দক্ষতা অন্য শিশুর চেয়ে অনেক বেশিই কার্যকরী হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার

শিশুর জন্মের প্রথম তিন বছরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

শিশুর মেধা বিকাশে যেসব খাবার প্রয়োজনীয়

আপডেট সময় ০১:১০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

শিশুর জন্মের প্রথম তিন বছরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মেধা বিকাশে এই সময়ে তাই শিশুর খাবার নির্বাচন করতে হবে অনেক ভেবে চিন্তে”

শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাবিশ্বে স্বীকৃত শিশুর মেধা বিকাশে ও মস্তিষ্ক গঠনে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো সুপার ফুড হিসেবে দারুণ কাজ করে।

ডিম: মস্তিষ্ক গঠনের পাশাপাশি মেধা বিকাশে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম এমন খাবারের তালিকায় একেবারে প্রথমদিকে রয়েছে ডিমের নাম। ডিমের আয়রন লোহিত কণিকা তৈরি করে রক্তের উপাদানে সঠিক মাত্রা বজায় রাখে। এর ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে। যা ধীরে ধীরে শিশুর চিন্তাশক্তি ও বুদ্ধিমত্তা বাড়িয়ে তোলে।

কলা: শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে প্রতিদিন একটি করে কলা ডায়েটে প্রাধান্য দিতে পারেন। কলাতে থাকা শর্করা দীর্ঘক্ষণ শরীরে শক্তি ধরে রাখতে পারে। যা শিশুর যেকোনো বিষয়ে  মনোযোগ বাড়িয়ে তোলার মাধ্যমে মস্তিস্কের প্রখরতা দৃঢ় করে।

বাদাম: বাদামে থাকা ভিটামিন ই শিশুর মস্তিষ্কের সমন্বয় সাধনের ক্ষমতা বাড়ায়। তাই প্রতিদিন বিকেলে শিশুকে বাইরের খাবার না কিনে দিয়ে ওর হাতে তুলে দিতে পারেন ৮ থেকে ১০ টি বাদাম।

মধু: প্রাকৃতিক উপাদানে ভরপুর একটি খাবার হলো মধু। ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলো থাকার কারণে মধু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি শিশুর হার্ট ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দারুণ কাজ করে।

পালং শাক: শিশুর দুপুরের খাবারে চেষ্টা করুন নিয়মিত পালং শাক রাখতে। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এবং বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। যা শিশুর মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তিকে বাড়িয়ে তোলে।

মাছের তেল: মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা দ্রুত বাড়িয়ে তুলতে পারে মাছের তেল। খাবারে তাই মাছের তেলে প্রাধান্য দিন। বেশি ভালো ফলাফল পেতে সামুদ্রিক মাছ ও এর তেল শিশুর খাবারে প্রাধান্য দিতে পারেন।

এই ৬ খাবার ছাড়াও শিশুকে খাওয়াতে পারেন কর্নফ্লেকস, শুকনো ফল, কিউই, পনির, আখরোট, স্ট্রবেরি, আমলকী, কালোজিরা, লাল আপেল ইত্যাদি। এসব খাবার নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাসে শিশুর মস্তিষ্কের দক্ষতা অন্য শিশুর চেয়ে অনেক বেশিই কার্যকরী হবে।