ভারতে প্রবল ঠান্ডায় বিপর্যস্ত রাজধানী নয়াদিল্লিসহ এর আশপাশের এলাকা।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া শৈত্যপ্রবাহ বইছে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ভারতের কানপুরে এক দিনে প্রবল ঠান্ডায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দিল্লি এখন টেক্কা দিচ্ছে হিমালয়ের পাহাড়ি শহরগুলোকে। কনকনে ঠান্ডার পাশাপাশি কুয়াশার চাদরে মোড়া ভারতের রাজধানী। দিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল আয়ানগরে তাপমাত্রা নেমেছে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্মরণকালের সর্বনিম্ন।
একদিকে শীত অপরদিকে ঘন কুয়াশায় বিপাকে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘন কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে বিমান, ট্রেন ও যান চলাচল। এ অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শহরজুড়ে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া দফতর।
দিল্লিতে এমন পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার কানপুর শহরে প্রবল ঠান্ডায় হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকের জেরে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঠান্ডায় হঠাৎ করে রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়া ও রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ায় হার্ট ও ব্রেন অ্যাটাকের কারণ। হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, মৃত ২৫ জনের মধ্যে ১৭ জনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার কোনো সময়ই পাওয়া যায়নি।
শুধু দিল্লি নয়, তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। শনিবার (৭ জানুয়ারি) কলকাতায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা গেল পাঁচ বছরের মধ্যে শহরটির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এ ছাড়া দার্জিলিংয়ে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৮, পুরুলিয়ায় ১০ দশমিক ১, শান্তিনিকেতনে সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ছাড়াও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থানসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্য। আবহাওয়া দফতরের তথ্যমতে শনিবার হরিয়ানায় সর্বনিম্ন ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ভয়াবহ শীতে ভারতজুড়ে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা