ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার বর্তমান সমাজে মারাত্মক এক ব্যাধির নাম ইভটিজিং বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  বিজয় নৌকার প্রার্থী খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু রাজশাহী শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার অসহায় বৃদ্ধা আলেয়া পেলেন চোখ অপারেশনের টাকা তীব্র তাপপ্রবাহের পর গোদাগাড়ীতে দেখা মিললো সস্তির বৃষ্টি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বনানী ঘোষ মারা গেছেন দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ এক যুবক গ্রেপ্তার নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রভাব সৃষ্টি করলে ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হবে: সিইসি

স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

 

সোনালী রাজশাহী নিউজ: বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পদক ২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্যে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  বলেছেন, ক্ষমতাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবে দেখে আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় আছে বলেই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে; তাই দেশের উন্নয়ন হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ থেকে ২০২৩ একটানা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে বলেই দেশের বর্তমান উন্নয়ন-অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। অতীতের সরকারগুলোর দেশ নিয়ে কী ধারণা ছিল সেটি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অ্যাডহক (অনির্ধারিত) ভিত্তিতে নয়, পরিকল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর তাই ক্ষমতাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবে দেখা হয়। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় আছে বলেই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে; তাই দেশের উন্নয়ন হয়েছে।’

তিনি বলেন, রক্তস্নাত স্বাধীনতা কখনও বৃথা যেতে পারে না; যেতে দেয়া হবে না। স্বাধীনতা পুরস্কারের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, যে আদর্শ ও যে চেতনা নিয়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তা অনেক দূরে চলে গিয়েছিল। এমন একটা সময় এসেছিল যে, মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা বলতে ভয় পেতেন। তারা মুক্তিযোদ্ধা বললেই অবহেলার স্বীকার হতেন। সেটা সরকারি হোক বা বেসরকারি হোক সব ক্ষেত্রেই একই অবস্থা ছিল। সেখান থেকে তাদের উত্তরণে কাজ করেছে বর্তমান সরকার।

এর আগে, জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২৩ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিদের হাতে পদক ‍তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বীর বিক্রম মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ দেশের ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পান।

স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন যারা:

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) সামসুল আলম, মরহুম লে. এ জি মোহাম্মদ খুরশীদ, শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম, সাহিত্যে মরহুম ড. মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন); সংস্কৃতিতে পবিত্র মোহন দে; ক্রীড়ায় এএসএম রকিবুল হাসান; সমাজসেবা/জনসেবায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর; গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বেগম নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) এবং ড. ফিরদৌসী কাদরী।

স্বাধীনতা পুরস্কার সরকারের দেয়া সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসের আগেই এ পদক ঘোষণা করা হয়। এই পুরস্কার জাতীয় জীবনে সরকার নির্ধারিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের নাগরিক এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে দেয়া হয়ে থাকে।

এ ছাড়া ব্যক্তির পাশাপাশি জাতীয় জীবনের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অনন্য উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানকেও এ পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে।

স্বাধীনতা পুরস্কারের স্বর্ণপদক প্রত্যেক পদকপ্রাপ্তকে একটি ১৮ ক্যারেট স্বর্ণনির্মিত ৫০ গ্রাম ওজন বিশিষ্ট পদক, একটি সম্মাননাসূচক প্রত্যয়নপত্র এবং সম্মাননাসূচক নির্দিষ্ট অঙ্কের নগদ অর্থ দেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে দেয়া অর্থের পরিমাণ ২০ হাজার ছিল। ২০১৩ সাল থেকে ২ লাখ টাকা করে দেয়া হতো। পরবর্তী ২০১৭ সালের মে মাসে ৩ লাখ এবং সবশেষ ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়।

এর আগে গত ৯ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩’ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার

স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আপডেট সময় ০১:১৬:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

 

সোনালী রাজশাহী নিউজ: বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পদক ২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্যে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  বলেছেন, ক্ষমতাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবে দেখে আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় আছে বলেই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে; তাই দেশের উন্নয়ন হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ থেকে ২০২৩ একটানা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে বলেই দেশের বর্তমান উন্নয়ন-অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। অতীতের সরকারগুলোর দেশ নিয়ে কী ধারণা ছিল সেটি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অ্যাডহক (অনির্ধারিত) ভিত্তিতে নয়, পরিকল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর তাই ক্ষমতাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবে দেখা হয়। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় আছে বলেই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে; তাই দেশের উন্নয়ন হয়েছে।’

তিনি বলেন, রক্তস্নাত স্বাধীনতা কখনও বৃথা যেতে পারে না; যেতে দেয়া হবে না। স্বাধীনতা পুরস্কারের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, যে আদর্শ ও যে চেতনা নিয়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তা অনেক দূরে চলে গিয়েছিল। এমন একটা সময় এসেছিল যে, মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা বলতে ভয় পেতেন। তারা মুক্তিযোদ্ধা বললেই অবহেলার স্বীকার হতেন। সেটা সরকারি হোক বা বেসরকারি হোক সব ক্ষেত্রেই একই অবস্থা ছিল। সেখান থেকে তাদের উত্তরণে কাজ করেছে বর্তমান সরকার।

এর আগে, জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২৩ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিদের হাতে পদক ‍তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বীর বিক্রম মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ দেশের ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পান।

স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন যারা:

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) সামসুল আলম, মরহুম লে. এ জি মোহাম্মদ খুরশীদ, শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম, সাহিত্যে মরহুম ড. মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন); সংস্কৃতিতে পবিত্র মোহন দে; ক্রীড়ায় এএসএম রকিবুল হাসান; সমাজসেবা/জনসেবায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর; গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বেগম নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) এবং ড. ফিরদৌসী কাদরী।

স্বাধীনতা পুরস্কার সরকারের দেয়া সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসের আগেই এ পদক ঘোষণা করা হয়। এই পুরস্কার জাতীয় জীবনে সরকার নির্ধারিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের নাগরিক এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে দেয়া হয়ে থাকে।

এ ছাড়া ব্যক্তির পাশাপাশি জাতীয় জীবনের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অনন্য উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানকেও এ পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে।

স্বাধীনতা পুরস্কারের স্বর্ণপদক প্রত্যেক পদকপ্রাপ্তকে একটি ১৮ ক্যারেট স্বর্ণনির্মিত ৫০ গ্রাম ওজন বিশিষ্ট পদক, একটি সম্মাননাসূচক প্রত্যয়নপত্র এবং সম্মাননাসূচক নির্দিষ্ট অঙ্কের নগদ অর্থ দেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে দেয়া অর্থের পরিমাণ ২০ হাজার ছিল। ২০১৩ সাল থেকে ২ লাখ টাকা করে দেয়া হতো। পরবর্তী ২০১৭ সালের মে মাসে ৩ লাখ এবং সবশেষ ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়।

এর আগে গত ৯ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩’ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।