ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার বর্তমান সমাজে মারাত্মক এক ব্যাধির নাম ইভটিজিং বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  বিজয় নৌকার প্রার্থী খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু রাজশাহী শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার অসহায় বৃদ্ধা আলেয়া পেলেন চোখ অপারেশনের টাকা তীব্র তাপপ্রবাহের পর গোদাগাড়ীতে দেখা মিললো সস্তির বৃষ্টি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বনানী ঘোষ মারা গেছেন দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ এক যুবক গ্রেপ্তার নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রভাব সৃষ্টি করলে ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হবে: সিইসি

হারিয়ে যাওয়া রিকশা শিল্পকে ধরে রেখেছে নবান্ন বইমেলা

সোনালী রাজশাহী ডেস্ক: রিকশা আর্ট বা এই রিকশা শিল্প যাতে বাঙ্গালি হৃদয় থেকে মুছে না যায়, তরুণ প্রজন্ম যাতে এই শিল্পকে মনে রাখতে পারে, ধরে রাখতে পারে- তাই এবারের বইমেলায় রিকশা আর্ট দিয়ে স্টল সাজিয়েছে ‘নবান্ন প্রকাশনি’।

বইমেলা হারিয়ে যাওয়া রিকশা শিল্পকে ধরে রেখেছে নবান্ন
আমাদের আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা ধুলামাখা পথে যে রিকসাগুলো রয়েছে, তার পেছনে কী আছে দেখেছেন তো? রঙ-বেরঙের ছবি আঁকা আয়তাকার পাতগুলোতে। রিকশাগুলো সাজানো হয়েছে বহু কারুকাজে। ওইগুলোই রিকশাচিত্র বা রিকশা আর্ট।

পেছনে আঁকা ছবিগুলো শিল্পমন নিয়ে দেখার সময় হয়ত আপনার নেই। চোখে পড়লেও হয়ত মনে ধরার সময় নেই। এই শিল্প বাঙ্গালির ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। তবে কালের বিবর্তনে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এই ঐতিহ্য।

নবান্ন প্রকাশনির লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরাসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুমিত আল রশিদ জানান, হারিয়ে যাওয়া রিকশা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টায় নবান্ন প্রকাশনির এমন সাজ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রিকসা শিল্পীদের একাত্রিত করা হয়েছে, যাতে এই শিল্পকে এগিয়ে নেয়া যায়। এই শিল্পীদের রিকশা আর্ট নবান্ন প্রকাশনির স্টলে তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, বইমেলা যেহেতু বাঙ্গালির সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত, তাই এখানেই এই হারিয়ে যাওয়া রিকশা শিল্প প্রদর্শনের বড় একটি জায়গা।

মুমিত আল রশিদ বলেন, আমাদের প্রকাশনির প্রায় সবগুলো বই লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাঙ্গালির কৃষ্টি কালচারকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরার জন্য আমাদের এই স্টল।

নবান্ন প্রকাশনির উপদেষ্টা ও বাংলা একাডেমির ফোকলোর এবং জাদুঘর ও মহাফেজখানা বিভাগের উপপরিচালক ড. আমিনুর রহমান সুলতান বলেন, নবান্ন নামেই লোকজ ভাবনা রয়েছে। নবান্ন নামটা আমাদের ঐতিহ্য থেকে নেয়া। আমাদের যে বইমেলা, এই মেলাটাও আমদের ঐতিহ্য। নাগরিক মেলায় লোকজ যে উপকরণগুলো রয়েছে, সেগুলো যদি উপস্থাপন করা যায়, তাহলে এই বর্তমান প্রজন্মের যারা আছে তারা এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন।

 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার

হারিয়ে যাওয়া রিকশা শিল্পকে ধরে রেখেছে নবান্ন বইমেলা

আপডেট সময় ১১:৫৬:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সোনালী রাজশাহী ডেস্ক: রিকশা আর্ট বা এই রিকশা শিল্প যাতে বাঙ্গালি হৃদয় থেকে মুছে না যায়, তরুণ প্রজন্ম যাতে এই শিল্পকে মনে রাখতে পারে, ধরে রাখতে পারে- তাই এবারের বইমেলায় রিকশা আর্ট দিয়ে স্টল সাজিয়েছে ‘নবান্ন প্রকাশনি’।

বইমেলা হারিয়ে যাওয়া রিকশা শিল্পকে ধরে রেখেছে নবান্ন
আমাদের আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা ধুলামাখা পথে যে রিকসাগুলো রয়েছে, তার পেছনে কী আছে দেখেছেন তো? রঙ-বেরঙের ছবি আঁকা আয়তাকার পাতগুলোতে। রিকশাগুলো সাজানো হয়েছে বহু কারুকাজে। ওইগুলোই রিকশাচিত্র বা রিকশা আর্ট।

পেছনে আঁকা ছবিগুলো শিল্পমন নিয়ে দেখার সময় হয়ত আপনার নেই। চোখে পড়লেও হয়ত মনে ধরার সময় নেই। এই শিল্প বাঙ্গালির ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। তবে কালের বিবর্তনে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এই ঐতিহ্য।

নবান্ন প্রকাশনির লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরাসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুমিত আল রশিদ জানান, হারিয়ে যাওয়া রিকশা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টায় নবান্ন প্রকাশনির এমন সাজ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রিকসা শিল্পীদের একাত্রিত করা হয়েছে, যাতে এই শিল্পকে এগিয়ে নেয়া যায়। এই শিল্পীদের রিকশা আর্ট নবান্ন প্রকাশনির স্টলে তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, বইমেলা যেহেতু বাঙ্গালির সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত, তাই এখানেই এই হারিয়ে যাওয়া রিকশা শিল্প প্রদর্শনের বড় একটি জায়গা।

মুমিত আল রশিদ বলেন, আমাদের প্রকাশনির প্রায় সবগুলো বই লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাঙ্গালির কৃষ্টি কালচারকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরার জন্য আমাদের এই স্টল।

নবান্ন প্রকাশনির উপদেষ্টা ও বাংলা একাডেমির ফোকলোর এবং জাদুঘর ও মহাফেজখানা বিভাগের উপপরিচালক ড. আমিনুর রহমান সুলতান বলেন, নবান্ন নামেই লোকজ ভাবনা রয়েছে। নবান্ন নামটা আমাদের ঐতিহ্য থেকে নেয়া। আমাদের যে বইমেলা, এই মেলাটাও আমদের ঐতিহ্য। নাগরিক মেলায় লোকজ যে উপকরণগুলো রয়েছে, সেগুলো যদি উপস্থাপন করা যায়, তাহলে এই বর্তমান প্রজন্মের যারা আছে তারা এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন।